চুম্বন থেকে সঙ্গম, সবেতেই ক্যামেরার সামনে সাবলীল যেসব হেভিওয়েট বাঙালি নায়িকা, তাদের নিয়ে আজকের আলোচনা। চলচ্চিত্রে দৃশ্যের প্রয়োজনে বহুবার বহু সময় সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছেন বহু অভিনেত্রী। তাতে কখনও তাঁদের হতে হয়েছে সমালোচিত, কখনও বা পেয়েছেন সাহসী নারীর প্রশংসা। কিন্তু প্রশংসাতেও তাঁরা যেমন মাটিতে পা রেখে চলেছেন, তেমনই সমালোচনার কর্দমাক্ত পিচ্ছিল পথে। পড়ে গিয়েও উঠে দাঁড়িয়েছেন। আজ দেখে নেওয়া যাক এরকমই কিছু বং বিউটিকে যাদের নামের পাশে পড়েছে ‘সাহসী’ নায়িকার তকমা।
শোবিজে দীর্ঘকাল ধরে একটি ট্রেন্ড চলছে—লাভ সিন বা হট মোমেন্টস অথবা নুড মোমেন্টস। অনেকে এই চ্যাপ্টার থেকে দূরে থাকলেও, বেশিরভাগ অভিনেত্রীই এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন। বিশেষ করে, হলিউড পেরিয়ে সাহসী দৃশ্য পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়েছেন বলিউডের অভিনেত্রীরাও।
ইদানিং অবশ্য টলিউডও পিছিয়ে নেই। স্বস্তিকা, পাওলির, ঋ সেনের মতো বাঙালি অভিনেত্রীরা চরিত্রের প্রয়োজনে পর্দার সামনে নিজেদের মেলে ধরতে দ্বিধাবোধ করেন না। জেনে নিন টলিউডের কোনো সুন্দরীরা সাহসী দৃশ্যগুলোকে যথেষ্ট দক্ষভাবেই পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন-
চুম্বন থেকে সঙ্গম, সবেতেই ক্যামেরার সামনে সাবলীল
রূপা গাঙ্গুলি
বি আর চোপরা পরিচালিত ‘মহাভারত’-এ দ্রৌপদী চরিত্র করে রূপোলি জগতে যাত্রা শুরু করেছিলেন রূপা গাঙ্গুলি। দ্রৌপদী চরিত্রটি বাদ দিলেও রূপার কেরিয়ারে এরকম বেশ কিছু সিনেমা রয়েছে যা তাঁকে সাহসী আখ্যায় ভূষিত করতে পারে। ‘অন্তরমহল’, ‘মহুলবনির সেরেং’, ‘শূন্য এ বুকে’-তে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে রূপা গাঙ্গুলিকে। ঋতুস্রাব থেকে যৌনদৃশ্য যে কোনও দৃশ্যতেই নিজেকে সাবলীল করতে সক্ষম।
চরিত্রের প্রয়োজনে মুহূর্তের দৃশ্যে ধরা দিয়েছিলেন রুপাও। ক্যারিয়ারের শুরুতেই মহাভারতের ‘দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয় করে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। এরপর ‘অন্তরমহল, ‘মহুলবনীর সেরেং, ‘শূন্য এ বুকে এর মতো একাধিক বাংলা ছবিতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি। ঋতুস্রাব থেকে শুরু করে দৃশ্য, সবেতেই সমানভাবে সাবলীল টলিউডের এই অভিনেত্রী।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
বাংলা টেলিভিশন ও চলচিত্র জগৎ মিলিয়ে নয় নয় করে প্রায় ৩০ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাণিজ্যিক ছবি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখলেও ক্রমেই তিনি নিজেকে গড়েছেন নতুন ভাবে। কখনও ভাল, কখনও মন্দ, কখনও বা গড়পড়তা-ছবির মান, অভিনয় নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা, প্রশংসা কোনওটাই পিছু ছাড়েনি অভিনেত্রীর। সেটা হতে পারে প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ নিয়ে, বা সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে। ‘তান’, ‘তিন কন্যা’, ‘তৃষ্ণা’র মতো ছবি তো আছেই, হালফিলের ‘গহীন হৃদয়’-যেন স ব কিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে। এই ছবিতে সঙ্গম দৃশ্যে ঋতুপর্ণার অভিনয় বলে বলে গোল দিতে পারে অন্য অভিনেত্রীদের অনেক অভিনয়কেই। ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেনদের হাত ধরে ছক ভাঙতে শেখা সেদিনের কিশোরী ঋতুপর্ণা আজ যেন দর্শক হৃদয়ের গহীনে গিয়ে হয়ে উঠেছেন প্রাপ্তবয়স্ক ।
টলিউড অভিনেত্রীদের বিকিনি পরে ক্যামেরার সামনে ধরা দেওয়ার প্রথা বলতে গেলে প্রথম ঋতুপর্ণাই চালু করেছিলেন। ‘তৃষ্ণা ছবিতে তার সাহসী লুক দেখে তৎকালীন সময়ে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। যদিও স্থূল চেহারায় বিকিনি পরা নিয়ে জোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ঋতুপর্ণাকে। তবে সাহসী দৃশ্যে তার অভিনয় দেখে নিঃসন্দেহে চমকে উঠেছিলেন দর্শক।
শ্রীলেখা মিত্র
টলিউড ইন্ডাস্ট্রির আরও এক বং বিউটির নাম শ্রীলেখা মিত্র। অভিনয় জীবনের মতো নিজের জীবনেও সাহসী শ্রীলেখা। ডিভোর্সী, এক সন্তানের জননী শ্রীলেখা যে কোনও দৃশ্যে সাবলীল। শ্রীলেখার সৌন্দর্য যে কোনও মানুষকে প্রলোভিত করার জন্য যথেষ্ট তা তাঁর অনুরাগীরা জানেন । ‘উড়ো চিঠি’, ‘আশ্চর্য প্রদীপ’, ‘হ্যালো কলকাতা’, ‘কাঁটাতার’- এর মতো একাধিক সিনেমায় সিডাকটিভ বিউটি দিয়ে
দর্শককে ঘায়েল করেছেন শ্রীলেখা মিত্র।
টলিউড সুন্দরী শ্রীলেখাও রয়েছেন এই তালিকায়। ৫০ এর কাছাকাছি বয়সে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। তবুও তার গ্ল্যামারে কুপোকাত তার অগণিত ভক্ত। শ্রীলেখাও ‘উড়ো চিঠি, ‘আশ্চর্য প্রদীপ, ‘হ্যালো কলকাতা, ‘কাঁটাতার এর মতো একাধিক ছবিতে সাহসী দৃশ্য ধরা দিয়েছেন।
স্বস্তিকা মুখার্জি
টলিউড ইন্ডাস্ট্রির আরও এক সাহসী অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। বিভিন্ন সময় একাধিক ছবিতে যৌন দৃশ্যে ধরা দিয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, যে কোনও যৌনদৃশ্য তাঁর কাছে শুধু অভিনয়ই । তাই এই ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করার আগে তিনি বিশেষ কিছু ভাবেন না। ‘টেক ওয়ান’ সিনেমায় স্বস্তিকা অভিনয় করেছিলেন দোয়েল মিত্র নামে এক অভিনেত্রীর চরিত্রে। সেই সিনেমা মুক্তির আগে স্বস্তিকার যৌনদৃশ্যের ভিডিও ইন্টারনেটে লিক হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এক সন্তানের মা স্বস্তিকাকে নেটিজেনদের সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু সেসব মোটেই গায়ে মাখেননি অভিনেত্রী। বরং এগিয়ে গিয়েছেন নিজের সেরা কাজগুলি নিয়ে।
টলিউডের এই সুন্দরীকে নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বেড়েছে বৈ কমেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোশাক নিয়ে জোর সমালোচনা চলে। তবে বাণিজ্যনির্ভর ছবির বাইরে বেরিয়ে ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরার ক্ষেত্রে কখনও পিছিয়ে আসেননি স্বস্তিকা। চল্লিশোর্ধ স্বস্তিকার বিকিনি ফটোশুট সোশ্যাল মিডিয়ার উষ্ণতার পারদ চড়িয়েছে বহুবার। তবে মৈনাক ভৌমিকের ‘‘আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ডস” ছবিতে প্রথমবার বিকিনি পোশাক পড়ে বড়পর্দায় ধরা দিয়েছিলেন স্বস্তিকা।
ঋ সেন
বাংলা সিনেমায় খুব কম অভিনেত্রী রয়েছেন যারা ফ্রন্টাল ন্যুডিটি শব্দটিকে নিজেদের অভিনয় জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছেন। অবাধ যৌনতা থেকে শুরু করে স্বমেহন যে কোনও দৃশ্যেই অত্যন্ত সাবলীল অভিনেত্রী ঋ। এই অভিনেত্রী সাহসীকতার অন্যতম প্রমাণ ‘কসমিক সে-ক্স’। এখনও পর্যন্ত গুগলও বোধহয় এই সিনেমাটির সার্চ করতে করতে ক্লান্ত। বাংলায় ‘সে-ক্স বম্ব’ বলতে যা বোঝায় তাই হল ঋ। অত্যন্ত স্পষ্টবক্তা এই অভিনেত্রী বারবারই জানিয়েছেন যৌনতা হল তাঁর কাছে আরাধনা। তাই যতটা ভালভাবে সম্ভব সেইভাবেই ক্যামেরার সামনে যৌনতা প্রকাশে সাবলীল তিনি। ‘কসমিক সে-ক্স’ ছাড়াও ‘গান্ডু’, ‘তাসের দেশ’, ‘বিষ’ ঋ অভিনীত এই সব সিনেমার বিষয়বস্তু যৌনতা। আর সবেতেই তিনি এক সে বড়কর এক।
‘ফ্রন্টাল ন্যুডিটিকে কোনো টলিউড অভিনেত্রী যদি সঠিকভাবে পর্দার সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন, তাহলে তিনি হলেন অভিনেত্রী ঋ সেন। ‘কসমিক সে ছবিতে অভিনয় করার পর থেকেই বাংলা ‘সে বম্ব হয়ে উঠেছেন ঋ। যৌতা থেকে শুরু করে স্বমেহন, সব দৃশ্যই পর্দার সামনে সমানভাবে স্বাচ্ছ্যন্দ তিনি।‘গান্ডু, ‘তাসের দেশ, ‘বিষ ছবিতেও তার উপস্থাপনা দর্শককে মোহিত করেছে।
পাওলি দাম
বাংলার অন্যতম সে-ক্স অ্যাপিল পাওলি দামকে বললে বিশেষ ভুল বলা হয় না। তাঁর সাহসের প্রমাণ তিনি আগেই দিয়েছেন ‘ছত্রাক’ ছবির মধ্য দিয়ে। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা চলচিত্র জগতে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকেও। ‘ছত্রাক’-এ পাওলি দামের উন্মুক্ত যৌনতা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল বাংলা চলচিত্র জগৎকে। প্রশ্ন উঠেছিল সত্যিই কি বাংলা ছবি এই দৃশ্য গ্রহণের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠতে পেরেছে? শুধু ছত্রাক নয়, ‘হেট স্টোরি’, ‘ইয়ারা সিলি সিলি’-র মতো হিন্দি সিনেমাতেও একাধিক বোল্ড দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে পাওলি দামকে। ‘কালবেলা’, ‘অভিশপ্ত নাইটি’ও এর বাইরে নয়। অর্থাৎ বলা যেতেই পারে সিনেমা বক্স অফিসে হিট হওয়ার জন্য পাওলি দামের নামই যথেষ্ট।
সাহসী দৃশ্যে পাওলি দামের অভিনয়ের জুড়ি মেলা ভার। তা সে হেট স্টোরিই হোক বা ‘ছত্রাক। চরিত্রের প্রয়োজনে ক্যামেরার সামনে নগ্ন হতে কোনো রকম দ্বিধায় ভোগেন না পাওলি। একাধিকবার বিকিনি পোশাকে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন পাওলি। তার সেই ছবিতে একদিকে যেমন সমালোচনার ঝড় ওঠে, অপরদিকে তেমনই দর্শকের থেকে প্রচুর ভালোবাসাও পান তিনি।
১৯৯২ সাল, পরিচালক লুই মালের সিনেমা ‘ড্যামেজ’ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। শরীর, নগ্নতা ছিল ছবিজুড়ে। গোটা বিশ্বে সমালোচনা এবং আলোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। এর বহু বছর পর ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কাবাসী পরিচালক ভিমুক্তি জয়সুন্দর নিয়ে আসেন ‘ছত্রাক’। ছবিতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল পাওলি দামকে।
একটি সংলাপ, কোটি কোটি মানুষের সমালোচনা- কোনও কিছুই গায়ে মাখেননি পাওলি। ফুলের মতো কোমল অবয়বের নেপথ্যে ইস্পাত তরুণীর স্পষ্টবাদী মনোভাব কিছুটা কপালে ভাঁজ ফেলেছিল কট্টরপন্থীদের।
কিন্তু, পাওলিরা দমে যায় না, তাঁরা ভয় পায় না। ‘ম্যাগো…ভাবতেই পারছি না’ ইত্যাদি ইত্যাদি মন্তব্যের ভিড়ে জোরগলায় পাওলির স্পষ্ট মন্তব্য ছিল, “আমি নগ্ন হয়েছিলাম। আর এই দৃশ্যের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল।”
এক সাক্ষাৎকারে টলিউডের এই নায়িকা জানিয়েছিলেন, “হ্যাঁ আমি নগ্ন হয়েছিলাম। আমার কো-স্টারও নগ্ন হয়েছিল। ওই দৃশ্যে তরুণী সমস্ত সুখ অনুভূত করছেন তা দর্শানো হয়েছিল। ভালোবাসা, যৌনতা এবং পরিতৃপ্তি এই নিয়েই রচিত হয়েছিল দৃশ্যটি। এই দৃশ্যে অভিনয় করা অত্যন্ত কষ্টকর ছিল।”
কী ভাবে ছত্রাকের দৃশ্যের জন্য প্রস্তুতি?
কোনও দৃশ্য নিয়ে সামান্যতম রাখঢাক করেননি পাওলি। ছত্রাকের দৃশ্যজুড়ে শুধুমাত্র যৌনতার গন্ধ ছিল তাও মানতে চাননি অভিনেত্রী।
অকপটে নায়িকার জবাব ছিল, “টলিউড বা বলিউডের কেউ এই ধরনের দৃশ্য আগে কখনও করেননি। তাই কী ভাবে এই দৃশ্যের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন, তা জানা ছিল না। তবে আমার পরিচালকের উপর সম্পূর্ণ আস্থা ছিল। আমি তাঁর সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছিলাম এবং আলোচনাও করি এই দৃশ্যগুলি নিয়ে। শুধু এই দৃশ্যটির জন্য নয়, ছবির জন্যও তাঁর সঙ্গে অনেক আলোচনা হয়। শুধুমাত্র ওরাল সে-ক্সের উপর ছবিটি তৈরি হয়নি। রাজনীতি, ভালোবাসা এবং সামাজিক দিকটিও তুলে ধরা হয়েছিল ছবিটিতে।”
ক্যামেরার সামনে নিজের দেহ সৌষ্ঠব মেলে ধরা নিয়ে কী কোনও ‘কিন্তু কিন্তু’ ভাব ছিল নায়িকার? এই প্রসঙ্গে পাওলি বলেছিলেন, “পুরো বিষয়টিই আসলে মনের উপর নির্ভরশীল। মানসিকভাবে আমি অত্যন্ত নিশ্চিত ছিলাম দৃশ্যটিকে নিয়ে। কারণ আমার কাছে সিনেমা শুধু একটি পেশা নয়, প্যাশনও। আমরা যৌনতার সময় কি পোশাক পরি?”
উল্লেখ্য, যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা পাওলির। পড়াশুনোতেও তুখোড় ছিলেন নায়িকা। কিন্তু, পরবর্তীতে তিনি অভিনয়কেই কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেন।
আরও দেখুন: