ধীরাজ ভট্টাচার্য । বাঙালী অভিনেতা

ধীরাজ ভট্টাচার্য এর জন্ম পূর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশ) যশোহর জেলায় হলেও প্রথাগত শিক্ষা নেন কলকাতায়। ১৯২৩ সালে মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে ন্যাট্রিক পাস করেন এবং আশুতোষ কলেজ থেকে স্নাতকের সম্মান লাভ করেন।

 

ধীরাজ ভট্টাচার্য । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

ধীরাজ ভট্টাচার্য । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

প্রথম চলচ্চিত্রাভিনয় ম্যাডান থিয়েটার্স প্রযোজিত এবং জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত সতীলক্ষ্মী (১৯২৫. নির্বাক) ছবিতে। কিছুদিন পুলিসের চাকরি করেছেন। পরে অভিনয়কেই পেশা হিসাবে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। নির্বাক যুগে ৫টি ছবি সহ সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে একশোরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন।

চলচ্চিত্র জীবনে বহু পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয়নাথ গঙ্গোপাধ্যায়, নরেশ মিত্র, মধু বসু, প্রফুল্ল রায়, চারু রায়, সতীশ দাশগুপ্ত, দেবকী বসু, ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, শৈলজানন্দ প্রেমেন্দ্র মিত্র, নীরেন লাহিড়ী প্রভৃতি।

 

ধীরাজ ভট্টাচার্য । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

অভিনীত উল্লেখযোগ্য চরিত্র মণীন্দ্র (কাল পরিণয়, ১৯৩০) গোপিনাথ (গিরিবালা, ১৯৩০), হেমচন্দ্র (মৃণালিনী, ১৯৩০), রমেশ (নৌকাডুবি, ১৯৩২) গোবিন্দলাল (কৃষ্ণকান্তের উইল, ১৯৩২), উপগুপ্ত (বাসবদত্তা, ১৯৩৫) গৌরীকান্ত (কণ্ঠহার, ১৯৩৫) নলিনী (বাঙ্গালী, ১৯৩৬), হীরক রায় (অভিনয়, ১৯৩৮) চন্দন (কুমকুম, ১৯৪০) উদয় (আহুতি, ১৯৪১); অভয় (অভয়ের বিয়ে, ১৯৪২), লোকেশ ( সমাধান, ১৯৪৩), অভয় (কঙ্কাল, ১৯৫০); হাজারি ঠাকুর (আদর্শ হিন্দু হোটেল, ১৯৫৭)। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি নিয়মিত পেশাদার রসনকেও অভিনয় করেছেন।

আদর্শ হিন্দু হোটেল নাটকে হাজারি ঠাকুরের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় তৎকালীন সময়ে প্রশংসিত হয়েছিল।

নিজের কাহিনি ও চিত্রনাট্য অবলম্বনে পরিচালনা করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চিত্র জোয়ারভাটা (১৯৩৬)। অভিনয়ের পাশাপাশি মধু বসু পরিচালিত অভিনয় (১৯৩৮), কুমকুম (১৯৪০) এবং ধীরেন গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত আহুতি (১৯৪১) ছবিগুলিতে তিনি নেপথ্য সংগীত পরিবেশন করেন। অভিনয় জীবনের প্রথম দিকে সাধারণভাবে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করলেও পরবর্তী সময়ে খলনায়ক সহ চরিত্রাভিনয়েও নিজের অভিনয়দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘যখন পুলিস ছিলাম’ ও ‘যখন নায়ক ছিলাম’ বিশেষ জনপ্রিয় হয়েছিল।

 

Google News ধীরাজ ভট্টাচার্য । বাঙালী অভিনেতা
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

চলচ্চিত্রপঞ্জি (নির্বাক) —

  • ১৯২৫ সতীলক্ষ্মী
  • ১৯৩০, কাল পরিণয়, গিরিবালা, মৃণালিনী
  • ১৯৩২ নৌকাডুবি।

চলচ্চিত্রপঞ্জি (সবাক) –

  • ১৯৩২ কৃষ্ণকান্তের উইল:
  • ১৯৩৩ যমুনা পুলিনে
  • ১৯৩৪ চাঁদ সদাগর, বাসবদত্তা, সত্যপথে, কণ্ঠহার
  • ১৯৩৬ কৃষ্ণ সুদামা, বাঙ্গালী, সোনার সংসার, অন্নপূর্ণার মন্দির,
  • ১৯৩৭ বিহার রাজী
  • ১৯৩৮ সাজনীন বিবাহোৎসব অভিনয়, রুপোর ঝুমকো:
  • ১৯৩৯ পথিক, নরনারায়ণ, পরশমণি:
  • ১৯৪০ কুমকুম, ব্যবধান, রাজকুমারের নির্বাসন,
  • ১৯৪১ বাঙলার মেয়ে, শকুন্তলা, এপার ওপার, আহুতি, নন্দিনী-
  • ১৯৪২ পাষাণ দেবতা, অভয়ের বিয়ে, মিলন
  • ১৯৪৩ স্বামীর ঘর, সহধর্মিণী, সমাধান, দ্বন্দ্ব, নীলাঙ্গুরীয়, দাবী, শহর থেকে দূরে:
  • ১৯৪৪ বিদেশিনী:
  • ১৯৪৫ কতদূরে, মানে না মানা, শ্রী কলঙ্কিনী:
  • ১৯৪৭ নতুন খবর
  • ১৯৪৮ শাখা সিঁদুর, প্রতিবাদ, বঞ্চিতা, তরুণের স্বপ্ন, জয়যাত্রা, কালো ছায়া:
  • ১৯৪৯ বন্ধুর পথ, কুয়াশা
  • ১৯৫০ কঙ্কাল, একই গ্রামের ছেলে, পথহারার কাহিনী, রক্তের টান, ধানতলা লাইট রেলওয়ে, বৈকুণ্ঠের উইল,
  • ১৯৫১ অপরাজিতা, নিয়তি, কালসাপ, সেতু, স্পর্শমণি, চীনের পুতুল, সঙ্কেত, ভৈরবমন্ত্র
  • ১৯৫২ নিরক্ষর, রাণী ভবানী, হানাবাড়ি, মহিষাসুর বধ, স্বপ্ন ও সমাধি;
  • ১৯৫৩ চিরন্তনী, চিকিৎসা সঙ্কট, দুই বেয়াই
  • ১৯৫৪ মা ও ছেলে, ময়লা কাগজ, ওরা থাকে ওধারে, মরণের পরে, সতী, অমর প্রেম:
  • ১৯৫৫ সাঁঝের প্রদীপ, ডাকিনীর চর, পরিশোধ
  • ১৯৫৬ মহানিশা, হে মহামানব, মানরক্ষা, রাজপথ, অসমাপ্ত,
  • ১৯৫৭ বড়দিদি, আদর্শ হিন্দু হোটেল, রাত একটা, নীলাচলে মহাপ্রভু, শ্রীমতীর সংসার, তমসা
  • ১৯৫৮ মানময়ী গার্লস স্কুল, বাঘাযতীন, লীলাকঙ্ক, ধূমকেতু,
  • ১৯৫৯ : গরীবের মেয়ে
  • ১৯৬০ অপরাধ।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment