অভিনয়, অভিনয় দর্পণ পত্রিকা, নাট্যপত্র [ আশিস গোস্বামী ] ‘অভিনয় দর্পণ’ পত্রিকার সম্পাদক ঋত্বিক ঘটক পত্রিকার সম্পাদনার ভার ছেড়ে দেবার পর দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ‘অভিনয়’ পত্রিকা প্রকাশিত হতে আরম্ভ করে ১৯৭০ সালেই। পূর্ব-পত্রিকার অনেকেই এর সম্পাদকমণ্ডলীতে রইলেন এবং একই ভাবে নতুন পত্রিকা পুরাতনের প্রথানুসরণ করে চলতে শুরু করে। আমাদের আলোচ্য সময়সীমার মধ্যেই অর্থাৎ এক বছরেই বেশ কিছু সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছিল।
[ অভিনয় দর্পণ নামে একটি বই রয়েছে, লেখক: অশোকনাথ শাস্ত্রী, বিষয়: কলকাতা। এই আর্টিকেলটি সেই বিষয়ে নয় ]
বাংলা নাট্য প্রযোজনার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অনেকগুলি প্রযোজনার সমালোচনা ওই এক বছরের মধ্যেই পেয়েছিলাম। তবে মনে রাখতে হবে সত্তরের দশকের শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে উঠে গেছে। থিয়েটারের অস্তিত্বের সংকট ততটা প্রকট না হলেও নিয়মিত থিয়েটার করা যাচ্ছিল না।
থিয়েটারে রাজনৈতিক নতুন চেহারা প্রতিফলিত হতে লাগল অবশ্যম্ভাবী রূপেই। শতাব্দীর ‘সাগিনা মাহাতো’ বা থিয়েটার ওয়ার্কশপের ‘রাজরক্ত’র মতো নাটক এ সময় অভিনয় হওয়াটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। নাট্য সমালোচনায় নাটকের সেই অস্থির রাজনৈতিক সত্তার প্রতি সমালোচনা করা হয়েছে। যেমন শতাব্দীর ‘সাগিনা মাহাতো’ নাটকের সমালোচনায় লেখা হয় :
“১৯৭৩-এর অভিনয় সংখ্যার ১৯৮০ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছিল, এর পরিবেশনার সুরটি বড়ো ধীর ঠাণ্ডা পর্দায় বাঁধা। তাই নিষ্প্রাণ খবরের কাগজ পড়ার মতো করে জানলাম যে, শহর থেকে দূরের এক কল্পিত শিল্পাঞ্চলে, গলায় ঢোল, মুখে চিও-জিওর বোল, গলা ভেজাবার জন্য ছেদির দিশী বোতল আর জুয়ার আড্ডা নিয়ে নিঃস্ব শ্রমজীবীর দল হাড়ভাঙ্গা খাটুনির জ্বালা জুড়োয়।
খাটুনির জ্বালার সাথে সাথে, কারো আছে মেয়ে মানুষ হারাবার জ্বালা, কেউ বা শোষক মালিকের নানা উপদ্রবে জর্জরিত। বলিষ্ঠ জওয়ান সাগিনা ক্রমে ফুসমন্ত্রে হঠাৎ এদের অমানবিকতার মাঝে মনুষ্যত্ববোধের অনুসন্ধিৎসা জাগিয়ে তোলে। জোটবদ্ধ শ্রমিকের শঠে শাঠ্যম্ নীতির মুখে মালিকপক্ষ শোষণের উগ্রতা কমাতে বাধ্য হয়। শ্রমিকের জীবনায়নে অবশ্য কোন পরিবর্তন আমরা দেখি না। হঠাৎ এই রামরাজত্বে কোলকাতার বাবু নেতারা আবির্ভূত।
ভোটের ভিত শক্ত করার জন্য সাগিনাকে দলে টেনে তারা লেবার ফ্রন্টে সাগিনার প্রভাবের বদলে দলীয় প্রভাব বাড়াতে বদ্ধ পরিকর। দলভুক্ত সাগিনার জনপ্রিয়তায় পার্টির জনপ্রিয়তা খর্ব হয়—এমনি একটা যুক্তি খাড়া করে আমাদের দেখানো হয় পার্টি আর মালিকপক্ষ গোপন চুক্তি করে সাগিনাকে লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসারের পদস্থ ধোঁকা দিচ্ছে।…এদিকে এক অলৌকিক কারণে শ্রমিক দল পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায়।
শ্রমিকদের দাবী দাওয়া উপেক্ষিত হতে থাকে; ওরা সংহতি হারিয়ে পরস্পর বিরোধী স্লোগানে মারমুখী হয়ে ওঠে।…দল-সাথী-শক্তি-নারী-নেতৃত্ব-বেইমানি সব খুইয়ে সাগিনা যখন হতাশা -জর্জর, তখন বাদলবাবু চুপিসারে তার এ্যাবসার্ড রাজ্যের দরজা দুটি একটুকু ফাঁক করে তাকে মদের মধ্য দিয়ে বাঁচতে বলে হয়তো দৃষ্টান্ত রাখতে চাইলেন যে, এ্যাবসার্ড নাটকে কেবল হতাশার কথা বলে না, বাঁচবার প্রেরণাও জোগায়।..
রাজনৈতিক দলের ভুল নীতি ও শোষকের ক্রমবর্ধমান পীড়ন নীতিতে শ্রমিক শ্রেণী আজ দিশাহারা মানি, কিন্তু এই তথ্যটিকে মাথায় রেখে গল্পকার-নাট্যকার কার্যকারণ ঘটনা-চরিত্রের যে বিন্যাস-বিশ্লেষণ করেছেন তাতে কোন কৈশোরোত্তর মনের পরিচয় মেলেনি, তাই ওঁদের অজান্তেই ওঁরা প্রতিটি চরিত্রকেই উদ্দেশ্যহীনভাবে আক্রমণ করে বসেছেন।”
আবার অভিনয় ১৯৭০-এর ৭৪ পৃষ্ঠায় ‘রাজরক্ত’ নাটকের আলোচনায় নাটকের রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রতি সমালোচক সমর্থন জানিয়েছেন।
“রাজা সাহেবের এই জগতটাতে আমরা সকলে যেন একটা খেলায় জড়িয়ে পড়েছি। তিনি কাউকে একেবারে মেরে ফেলতে চান না, নিশ্চিহ্ন করে দিতে চান না, তিনি সকলকে কাছে পেতে চান; একেবারে পোষা জানোয়ারের মতো বিনীত নম্রতায় মানুষগুলো তার নির্দেশে চলাফেরা করবে, গণ্ডী আঁকা সীমিত জমির মধ্যে, মানুষের উপর তিনি গিনিপিগের মতো এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যাবেন।
… পুঁজিবাদী শোষণ ব্যবস্থা তার শেষ মরণ কামড় দিচ্ছে শোষিত মানুষের বুকে, সর্বত্র তার ছুরির মতো বিষাক্ত দাঁতের দাগ বসিয়ে দিচ্ছে। সর্বত্র তার প্রাধান্য বিস্তার করছে, মানুষের শোষণের শেষ স্তরে নিয়ে যেতে বেতারে, ভাষণে, টেলিভিশানে, নিউজপ্রিন্ট, সিনেমায়, পোস্টারে, সব কিছুর পশ্চাতে উলংগ অত্যাচারের বিকৃত বিশাল জিহ্বার লালসা।
… নাটকের সূক্ষ্ম আধুনিক অলংকারিক রসতত্ত্ব মেনে নিয়েও বলতে পারি এখন অন্তত বাংলাদেশে সে সময়টা নিশ্চয়ই এসেছে যখন রসতত্ত্বের সত্তা সকল মেনে নিয়েও State machinary-কে আঘাত করার মতো কিছু তত্ত্ব চীৎকার করিয়া ঘোষণা করার প্রয়োজন। শিল্পের মহান গাম্ভীর্যের প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করিয়াও আমাদের রাজনৈতিক চতুরতার প্রতিক্রিয়াশীল বদমাইশিকে দর্শকের সামনে তুলিয়া ধরাই এখন বৃহত্তর উদ্দেশ্য।…
লক্ষ্যণীয় দুটি নাট্য সমালোচনাতেই বিষয়গত দিকটিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। ‘অভিনয়’ পত্রিকার প্রায় সমস্ত আলোচনাতেই নাট্য বিষয়ের Political easthatic-টাই বড়ো করে দেখা হয়েছে। এর ফলে ওই এক বছরের সমালোচিত নাটকগুলির মধ্যে তৎকালের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের ছাপ কতখানি ছিল তা যেমন ধরা যায়, অন্যদিক থেকে ভাবনার পরিমণ্ডলটাও জেনে নিতে পারি। কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হল।
যেমন ‘অভিনয়’ পত্রিকায় ১৯৭০ সালে ১৩১৩-১৩১৬ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত থিয়েটার গিল্ডের ‘যদুবংশ’ প্রযোজনার উল্লেখ করা যেতে পারে। “যদুবংশের প্রেক্ষাপট এক মফস্বল শহরে বিস্তৃত।
চারটি যুবক–সূর্য, কৃপাময়, বুলি আর অভয় অমোঘ ধ্বংসের উপত্যকা দিয়ে যারা একটা অতলান্ত গভীর খাদের দিকে পা বাড়িয়ে চলেছে, দ্বিতীয় বিশ্ব মহাযুদ্ধে এই উপমহাদেশের মধ্যবিত্ত মানসিকতার যা কিছু গরল—অপ্রেম, অস্থিরতা, অর্থনৈতিক নিরাশ্রয় দু-হাতের মুঠোয় সমস্ত শক্তি দিয়ে আঁকড়ে ধরে চিরন্তন আক্রোশে তার আঘাত হানতে চেয়েছে সেই অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণকে—যার কাছে শুধু বয়সের ঋণ শোধ করতে করতে তারা শুকিয়ে যাচ্ছে;
যে তাদের কিছুই দিতে পারে নি–যে যুদ্ধের আওতার বাইরে থাকলেও—অন্য এক ভয়ংকর যুদ্ধের প্রাঙ্গনে তারা ভীষণ ভাবে হেরে যাচ্ছে আর বারবার সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর উঠে দাঁড়িয়ে আরো একবার সেই ভাঙনকে চূড়ান্তভাবে টুকরো টুকরো করে ফেলার ক্ষোভে চীৎকার করে উঠতে চেয়েছে।”
একই বছরে ২৭৯-২৮৩ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। শৌভনিকের ‘হয়তো সেদিন’ “নাটকটির গল্পাংশ সরল। এক নির্জন দ্বীপে একটি কারখানাকে ঘিরে কিছু সংখ্যক highly skilled মানুষের বসবাস। বহু বছরের প্রচেষ্টায় এখন তারা রোবট (যন্ত্র মানব) তৈরী করছে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুসারে হাজারে হাজারে supply দিচ্ছে।
রোবটেরা আজ্ঞাবহ, একান্ত অনুগত। আকৃতি ও ব্যবহারে মরা মানুষেরই মতো কিন্তু প্রাকৃতিক মানুষের হৃদয় নামক অনুভূতির স্বাদ এদের অজানা। রোবটেরা ভালবাসা কাকে বলে জানে না। একে অপরকে ভালবাসে না। সকলেই বিচ্ছিন্ন, একক। তাই শোষিত হয়েও বিক্ষোভ নেই, দাবী নেই, … প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকাল থেকে আজ পর্যন্ত যে দ্বান্দ্বিক সত্যটি সমগ্র, মানবজাতিকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে, সেটাই নাটকটির আলোচ্য বিষয়বস্তু।
…আজকের ভারতবর্ষে যখন বিভিন্ন শ্রেণীর অবস্থান স্পষ্ট তখন বিষয়টিকে সোজাসুজি উপস্থাপিত না করে রোবটের মতো এক কাল্পনিক রূপকথার ভেতর দিয়ে শ্রেণীসংগ্রাম দেখান নাট্যকারের পলায়নী মনোবৃত্তি নয় তো? শ্রমিকেরা একে অপরকে ভালবাসে না (অবশ্য নাটকে ভালবাসা অর্থে নরনারীর ভালবাসা বোঝান হয়েছে) বলেই কি তারা সংঘবদ্ধ হতে অপারগ এবং সংগ্রাম বিমুখ?…
নাটকের মধ্যে রাজনৈতিক অস্তিরতার ছবি যেমন আছে, তেমনি সুস্থির একটা পথ অনুসন্ধানের চেষ্টাও বর্তমান, ‘অভিনয়’-এর সমালোচনায় তার প্রতি অধিক মনোনিবেশটা বিশেষভাবে ধরা পড়ে। বলা যায় ‘অভিনয়’ পত্রিকার নাট্য সমালোচনার বিশিষ্টতা এটাই। এই রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সেই সময়ের বাংলা নাট্য মঞ্চ অধিকার করেছিল ‘অ্যাবসার্ড’ নাটকের প্রযোজনা।
বহু দল ও মঞ্চ এই ‘কিমিতিবাদী নাট্য’ প্রযোজনা করেছে। ‘অভিনয়’ পত্রিকায় এ ধরনের বিখ্যাত কয়েকটি নাট্য সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছিল। যেমন শতাব্দী-র ‘শেষ নেই’, নক্ষত্র-র ‘নয়ন কবিরের পালা। থিয়েটার ওয়ার্কশপ-এর ‘রাজরক্ত’ ইত্যাদি। এই ধরনের নাটকগুলি সম্পর্কে সমালোচকের মতামতগুলি প্রণিধানযোগ্য। নীচে কয়েকটি উদাহরণ পরপর তুলে দেয়া হল।
ওই বছরে ৩৬০-৩৬৯ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত শতাব্দীর শেষ নেই’ : ‘শেষ নেই’এর গল্পাংশ একটা আছে বটে তবে গল্পের আকারে তা বলা নেই।… নাটকটি ‘ইউনিটি অব টাইম’ এবং ‘ইউনিটি অব প্লেস’কে খান খান করে ভেঙেছে। ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ দেখতে দেখতে যে ব্যাপারটা খুবই মনে হয়েছিলো। ধরে নেওয়া যেতে পারে আধুনিক পাশ্চাত্যের ‘ইউনিটি অব ইম্প্রেশানে তিনি বিশ্বাস রাখেন।
এই নাটকটির ব্যাপারে প্রশান্ত দাসের চরিত্রের যে ব্যাখ্যা তিনি রেখেছেন তা ভালো লাগেনি।…নাটকের শেষে লাল ঝান্ডার আগমন, অন্যথায় চলতে হবে চলাতেই শেষ অসহ্য হয়ে উঠেছে নাকি? অবশ্য মনস্তাপ করতে হয়নি, কারণ ‘শেষ নেই’, ‘শেষ নেই’ করতে করতে সবাই ‘ফ্রিজ’ হয়ে নাটকটি শেষ করেননি।”
২৮৩-২৮৬ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত নক্ষত্রর ‘নয়ন কবীরের পালা’: “… ব্যর্থ হবার পর ক্লাউন দুজনের স্বীকারোক্তি ‘আসলে আমাদের জীবনে কোনো ঘটনাই ঘটে না’ । নাটকে সম্পূর্ণ ব্যাপারটাকে Symbolise করার চেষ্টা হয়েছে, এবং সাথে সাথে ক্লাউন দুজন
হোয়ে উঠেছেন সাচ্চা type symbol L… এ সমস্ত চমৎকার, image সৃষ্টি করেছে এবং নাটকের বক্তব্য (এরা বড় অভিনেতা, অথচ এদের জীবনে প্লট নেই, এবং বাধ্য হোয়ে বাহ্যিক জীবনকেই মানতে হবে) ভীষণ concentrated আর নাটক টির পক্ষে এটুকুই maxi অর্থাৎ কিনা যেমন বাঁটগুলো চেটে দেয় বাছুর তারপর দুধটুকু খাবে অন্যে, কিন্তু, তবুও নাটকটাকে নির্মমভাবে টানহ্যাঁচড়া করা হোলো— সে এক তুলকালাম কান্ড।
যেমন ধরুন ক্লাউন দুজন comatic হোয়ে বলেছে, নিলাম… ভালোবাসা এক, ভালোবাসা দুই… প্রতারণা এক, প্রতারণা দুই … আসলে আমরা নিজেদেরই বিকিয়ে দিচ্ছি, বৃত্ত পরিবর্তন করছে, মুখে চরম হতাশার স্লোগান, তারপর গাড়ীর হর্ণের আওয়াজ মনে করিয়ে দিচ্ছে যে তাদের সময় নেই, ‘মাননীয় দর্শকদের কাছে মনের কথা আরো কিছু বললে তাদের হৃদযন্ত্রণা কিছুটা কমতো। এগুলোতে revealation মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেছে। এবং মনে হয়েছে আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ব্যাপারটি একটি চটুল fancy |”
এগুলি ছাড়াও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রযোজনার সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছিল। যেমন, শতাব্দীর শেষ নেই’ ও ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ শৌভনিকের হয়তো সেদিন’ ও ‘কারাগার’, গন্ধর্বর ‘ফুলওয়ালী’, ব্রেশট সোসাইটির ‘টিনের তলোয়ার’, রূপকারের ‘আলো দেখাও’ ইত্যাদি নাট্য সমালোচনা হিসেবে সবগুলিই যে অত্যন্ত উঁচুমানের তা নয়, তবে অভিনয় পত্রিকা গোষ্ঠী যে দল এবং তাদের প্রযোজনাগুলিকে সমালোচনার কলমে এনে হাজির করেছিল সেগুলি কিন্তু খুবই উল্লেখযোগ্য।
মাত্র এক বছরের আয়ুষ্কালে নাট্য সমালোচনায় সামাজিক প্রেক্ষাপটের প্রতি গুরুত্ববোধ তৈরি করতে এই সমালোচনাগুলির ঐতিহাসিক ভূমিকা আছেই। এই ধারাকেই পরবর্তীকালে অনেকেই অনুসরণ করেছেন। ‘অভিনয়’ পত্রিকা এরপরেও বহু কাল এই দায়িত্ব পালন করেছিল। বিশেষত কলকাতার নাট্য প্রযোজনার পাশাপাশি গ্রাম ও মফস্সলের নাট্য প্রযোজনাকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে সমালোচনার সম্মান দিয়েছিল এই পত্রিকা।
[ অভিনয়, অভিনয় দর্পণ পত্রিকা, নাট্যপত্র – আশিস গোস্বামী ]
আরও পড়ুন: