দৈনিক পত্রিকা – নাট্য সমালোচনা – আশিস গোস্বামী

দৈনিক পত্রিকা – নাট্য সমালোচনা [ আশিস গোস্বামী ] : পঞ্চাশের দশকে বাংলা থিয়েটারের পালা বদল স্পষ্ট হয়ে গেছে। পেশাদার মঞ্চের যুগ অস্তগামী হতে চলেছে; অপেশাদার সমান্তরাল ধারা থিয়েটারের একদল কমিটেড শিল্পীর সৃজনে তৈরি হয়ে গেছে বাংলা থিয়েটারের অন্য এক ধারা। অথচ পুরো পঞ্চাশ দশক জুড়ে আনন্দবাজার পত্রিকা কিন্তু নতুন ধারার থিয়েটারকে পৃষ্ঠপোষকতা করেনি।

যুগাত্তর সেই তুলনায় ভালো ভূমিকা নিলেও সম্পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা নিতে এই দুটি পত্রিকা আরও দশ বছর সময় নিয়েছিল। তখন যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে পেশাদার মঞ্চের থিয়েটার। পেশাদার মঞ্চের যে-কোনো নতুন প্রযোজনার খবর, তার বিস্তৃত সমালোচনা, পঞ্চাশ একশো-দুশো বা পাঁচশোতম অভিনয়ের খবর ইত্যাদি যতটা স্থান নিত দৈনিক পত্রিকার পৃষ্ঠায়, অন্য ধারার থিয়েটার ততটা গুরুত্ব পেত না। অথচ ‘বহুরূপী’ (১৯৪৮), ‘নাট্যচক্র’ (১৯৫০), ‘উত্তর সারথী’ (১৯৫১), ‘অশনি চক্র’ (১৯৫১), ‘লিটল থিয়েটার গ্রুপ’ (১৯৫৩), “থিয়েটার সেন্টার’ (১৯৫৪), ‘রূপকার’ (১৯৫৫), ‘গন্ধব’ (১৯৫৭), ‘শোভনিক’ (১৯৫৮) ইত্যাদি দলগুলি পুরোদমে কাজ করে চলেছে।

দৈনিক পত্রিকা - নাট্য সমালোচনা - আশিস গোস্বামী [ Ashish Goswami ]
আশিস গোস্বামী [ Ashish Goswami ]
তাদের বহু উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা মঞ্চস্থ হয়ে গেছে। কিন্তু গুরুত্বসহ নাট্য সমালোচনা প্রকাশিত হয়নি দুটি পত্রিকার কোনোটিতেই। আমরা যদি ১৯৫০ সালটিকেই উদাহরণ হিসেবে দেখি, তাহলে দেখব ওই বছরে আনন্দবাজার পত্রিকায় আটটি পেশাদার মঞ্চ প্রযোজনার সমালোচনা, তিনটি অপেশাদার নতুন ধারা প্রযোজনার সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছে। ওই তিনটি সমালোচনা হল নাট্যচক্রের ‘নীলদর্পণ’, বহুরূপীর ‘উলুখাগড়া’, ও জাতীয় নাট্যপরিষদের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’।

অর্থাৎ ‘নীলদর্পণ’-ই আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম সমালোচনা। সমালোচক শচীন সেনগুপ্ত লিখেছেন, “গণনাট্যের এই বাহক আপাতত শহরের বাঁধা মঞ্চকেই বাহনরূপে ব্যবহার করতে চান, যদিচ তাঁরা মনে করেন শহরের শতাব্দীকাল প্রায় প্রতিষ্ঠিত মঞ্চগুলি নাট্যস্রোতকে বহমান রাখতে অসমর্থ হয়েছে। তাঁদের ধারণা তারা যদি সাধারণ রঙ্গমঞ্চগুলি (যাদেরকে তাঁরা পেশাদারী বলেন) দখল করতে পারেন, তাহলেই গণনাট্যের স্রোতকে শতধারায় বহিয়ে দিতে পারবেন। তরুণের স্বপ্ন রঙিন থাকে বলেই তা উপভোগ্য হয়।…

নীলদর্পণের নতুন পরিবেশক দল নীলদর্পণের সম্ভাবনাকে যেমন বুঝেছেন, তেমন তার দুর্বলতাও ধরতে পেরেছেন। তাই এমনভাবে নাটকখানিকে তাঁরা রূপায়িত করেছেন, যাতে করে বাঙালির দুর্বলতাকে বাঙালির মানবতার প্রকাশ দ্বারা মোহন করা যায়।… নীলদর্পণের যে অন্তর্নিহিত ত্রুটি আধুনিকদেরকে অপ্রসন্ন করে এই ভাষ্যে তা অনেকটা দূর করতে সক্ষম হয়েছে, শিল্প শৈলীর দিক দিয়েও তা সঙ্গত হয়েছে, সুন্দর হয়েছে।

প্রযোজনার দিক দিয়েও ‘নাট্যচক্র’ নিবেদিত নীলদর্পণ বৈশিষ্ট্যের দাবী করতে পারে। কয়েকটি দৃশ্য যদি আরো কিছু সংক্ষিপ্ত করা যায়, যেমন, কুঠি প্রাঙ্গনে চাষীদের আলাপের দৃশ্য, অন্দরমহলের প্রথম দৃশ্য, কোর্টের দৃশ্য এবং তাহার পরবর্তী উড সাহেবের আর এক প্রস্থ আস্ফালনের দৃশ্য, তাহলে আরো ভালো হয়। কিছু বিস্তারেরও আবশ্যতকা আমি অনুভব করেছি।…

নাট্যচক্রকে অকুণ্ঠিত চিত্তে অভিনন্দন জানাই। তবুও যেহেতু অভিনয়ের আগে পর্দার সামনে থেকে সাধারণ রঙ্গমঞ্চকে তারা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল, সেই হেতু, একথাও বলে রাখা আবশ্যক মনে করি যে, অন্তত অভিনয়ে তাঁরা সাধারণ মঞ্চাভিনেত্বদের অতিক্রম করে উৎকৃষ্টতর অভিনয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেননি। তা শুধু পারবেন কেবল সাধনার দ্বারা, ‘সব ব্যাটা ঝুট হ্যায়’ বুলির জিগীর তুলে নয়।” (আনন্দবাজার পত্রিকা: ৮/০৯/১৯৫০)

দ্বিতীয় সমালোচনাটিও এই সমালোচকের করা বহুরূপী ‘উলুখাগড়া’ নাটকের সমালোচনা। “বহুরূপীর উলুখাগড়া একখানি সমাজিক নাটক, যদিও এর নাটকীয় দ্বন্দ্বটি প্রকাশ পেয়েছে একটি পরিবারের কর্তা, গিন্নি, ছেলে-মেয়ে এবং তাদের বন্ধুদের দৈনন্দিন জীবন ও সমগ্র জীবনাদর্শের সংঘাত থেকে। আমি কিন্তু ছেলে-মেয়েকেই উলুখাগড়া মনে করেছি এবং সেই কারণেই নাটকখানি জাতির যথার্থ ট্রাজেডির রূপারোপ বলে ধরে নিয়েছি। নাটকখানিকে এই দিক দিয়ে অর্থাৎ ইবসেন প্রভাবান্বিত হয়ে দেখেছি বলেই আমার খুব ভালো লেগেছে।

নাটকখানির ভাষা চমৎকার। তা যেমন রসাল, তেমনই তীক্ষ্ণ জোরালো এবং ধারালো। চরিত্র সৃষ্টিও সুন্দর, চিত্তাকর্ষক, ঘটনা বিন্যাসেও নৈপুণ্য প্রকাশ পেয়েছে। এ নাটকের পরিণতি ট্রাজিক হতে বাধ্য, তবে সে ট্রাজিডি করুণার অর্থাৎ মায়ের আত্মহত্যা ঘটিয়ে লঘু করা হয়েছে। সে সম্বন্ধে ভাববার অবকাশ রয়েছে। কিন্তু সে সন্দেহ নিয়েও বলতে পারি নাটকখানি খুব ভালো হয়েছে, যুগোপযোগী হয়েছে, এক সঙ্গেই মগজকে ও হৃদয়কে আঘাত দিয়েছে। ….

নাটকখানির পুনরাভিনয় হওয়া আবশ্যক। আধুনিক নাটককাররা এবং অভিনেত্বরাও নাটকের কী রূপ দিতে চাইছেন এ থেকে তার আভাস পাওয়া যাবে এবং হয়ত বোঝা যাবে নাটকের ভবিষ্যত ভেবে আমরা যতটা হতাশ হয়ে পড়েছি, আসলে ততটা হতাশ হবার কারণ নেই।” (আনন্দবাজার পত্রিকাঃ ১৫/০৯/১৯৫০)

লক্ষণীয়, আগের আলোচনায় যে কটাক্ষ ছিল, এখানে তা নেই বরং অন্যধারাকে কিছুটা স্বাগত জানিয়েছেন। ‘নীলদর্পণ’ দেখে হতাশা কাটেনি কিন্তু ‘উলুখাগড়া’ দেখে হতাশা কাটবার কারণ খুঁজে পেয়েছেন। এর পরের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’ আলোচনায় কেবলই একপেশে প্রশংসার সুর শোনা গেছে—“রবীন্দ্রনাথের ক্ষুধিত পাষাণ’ যে কখনো নাটকরূপে মঞ্চে অভিনয় হতে পারে তা আগে বোধহয় কেউই চিন্তা করেননি।

গত রবিবার নিউ এম্পায়ার রঙ্গমঞ্চে জাতীয় নাট্য পরিষদ প্রযোজিত ক্ষুধিত পাষাণের অভিনয় দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। কবিতার মত ছন্দে ও সুরে বাঁধা কবিগুরুর এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পটিকে নাট্যরূপ দিয়ে অথচ তার রস ও মাধুর্য ব্যাহত না করে নাট্যকার তরুণ রায় অকুণ্ঠ প্রশংসার দাবী রাখেন।” (আনন্দবাজার পত্রিকা: ২৯/০৯/১৯৫০)

পঞ্চাশের দশকে অপেশাদার নব্য থিয়েটারের সমালোচনা হয়েছিল নামমাত্র। পেশাদার প্রযোজনা ও সিনেমার সমালোচনার পাশাপাশি তা ছিল প্রায় অনুল্লেখিত। যে ক-টি দল উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা করছিল, তার মধ্যে ‘বহুরূপী’ প্রযোজনাগুলির কয়েকটি সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছিল। তার মধ্যে কয়েকটি তো একেবারেই রিপোর্টাজ ধর্মী। যেমন ৭ ডিসেম্বর ১৯৫২ সালের ‘বহুরূপীর নতুন নাটক’ শিরোনামে রিপোর্টটি ছিল এই রকম…

‘পথিক’ ‘উলুখাগড়া’, ‘ছেঁড়াতার’ ও ‘চার অধ্যায়’ অভিনয়খ্যাত বহুরূপী সম্প্রদায় তাদের নতুন নাটক ‘এ্যান এনিমি অফ দি পিপল’-এর বাংলা অনুবাদ ‘দশচক্র’ মঞ্চস্থ করেন গত ২রা ডিসেম্বর নিউ এম্পেয়ার মঞ্চে। এদিনের অভিনয়টি হয়েছিল। ‘লাইট হাউস ফর দি ব্লাইন্ড’ প্রতিষ্ঠানটির সাহায্য কল্পে এবং রাজ্যপাল শ্রী হীরেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে।

বহুরূপী সম্প্রদায় আমাদের মঞ্চের অভিনয় ধারাতে আগেকার চারখানি নাটকের সাহায্যে যে বলিষ্ঠ নাট্যশক্তি সঞ্চারিত করে দিয়েছেন ‘দশচক্র’ সেই শক্তিকে আরও প্রতিষ্ঠিত করে তোলার মতো জোের নিয়ে এসেছে। এবং একথাও বলা অত্যুক্তি হবে না। যে শিল্প পরিকল্পনায় এবং অভিনয়ে এমন মঞ্চ কৃতিত্ব আমাদের দেশে আগে কখনো হয়েছে কিনা মনে করা সহজ হবে না।

ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্যে দেশের জনসাধারণের স্বার্থকে বলি দেওয়ার ঘটনা নিয়ে নাট্যবস্তু। প্রধান চরিত্র এক ডাক্তার যে এক বসতির জলকল থেকে নিষ্কাশিত জলে রোগ বীজানুর অস্তিত্ব ধরতে পারে এবং প্রতিকারের জন্য আন্দোলন বাধাতে চায়। এই নিয়ে জলকলের মালিকদের সঙ্গে তার সংঘর্ষ, ফলে তার অসীম নিগ্রহ। জলকলের মালিকেরা দলে ভারী বলেই ডাক্তার পরাস্ত হল। এখানে দেখানো হয়েছে যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থাৎ মেজরিটির জোরটা সব সময় মঙ্গলের জন্য ব্যবহৃত হয় না।

নাটকখানি পরিচালনা করেছেন শম্ভু মিত্র; আলোক সম্পাত তাপস সেন ও সীতাংশু মুখোপাধ্যায় এবং মঞ্চ ব্যবস্থা অশোক মজুমদার; শম্ভু মিত্র ডাক্তারের ভূমিকায়। এতে বাংলার মঞ্চে উদ্দীপনা এনে দেওয়ার মতো অপূর্ব অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য নাম অমর গাঙ্গুলী, গঙ্গাপদ বসু, কালী সরকার, সাজেদা আসাদ ও তৃপ্তি মিত্র। ‘দশচক্র’ দীর্ঘকাল মনে রাখবার এবং বাংলার মঞ্চতে উদ্দীপনা সঞ্চার করার মতো একটি শক্তিকুশল সৃষ্টি।” (আনন্দবাজার পত্রিকা: ৭/১২/১৯৫২)

পুরো আলোচনাটাই তুলে ধরা হল। এই আলোচনাকে কিছুতেই সমালোচনার পর্যায়ে ফেলা যায় না। ইতিপূর্বে উল্লিখিত ‘উলুখাগড়া’ এবং পরবর্তী সমালোচনা ‘রক্তকরবী’ ছাড়া পঞ্চাশের দশকে এ পত্রিকায় বহুরূপীর যথার্থ সমালোচনা আর একটিও প্রকাশিত হয়নি। কেবলমাত্র বহুরূপী নয়, অন্যান্য দলের প্রযোজনার সমালোচনাও প্রকাশিত হয়নি। সেদিক থেকে ওই দুটি সমালোচনা অবশ্য উল্লেখ্য। বিশেষত ‘রক্তকরবী’র বিষয়গত বিরোধিতার জন্যও সমালোচনাটি উল্লেখ করার মতো। বহুরূপীর একষট্টিতম সংখ্যা (১/৫/১৯৮৮) থেকে আলোচনাটি তুলে ধরা হল।

“ ‘রক্তকরবী’তে তারা নিজেদের আগেকার সব গৌরবকে তো ছাপিয়ে গিয়েছেনই, এমনকি অতি প্রবীণ নাট্যমোদীরাও স্বীকার করবেন যে অভিনয়ের এমন সুতীব্র প্রকাশ তারা হয়তো দেখেনওনি, কখনো বা কমই দেখেছেন। পরিচালনা, দৃশ্যসজ্জা এবং সর্বোপরি একক যেমন, তেমনি সমষ্টিগত সবায়ের অভিনয় এমন একটা ধাপে পৌঁছেছে যা নিউ এম্পায়ার মঞ্চে আর কখনো ঘটেছে বলে মনে পড়ে না।…

কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তটিতে হুঁস যখন ফিরে আসে তখন হঠাৎ মনে পড়ে যে

এতো কৃতিত্ব দেখিয়েও নাটক থেকে যেন রবীন্দ্রনাথকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এমনভাবে নাটকখানির ওপরে যবনিকা টানা হয়েছে যা নিতান্তই অরাবীন্দ্রিক। মূলতঃ নাটকের পরিসমাপ্তি ছিল যন্ত্ররূপী দানব ও দৈত্যপুরী থেকে মুক্তির পথ দেখাবার জন্য নন্দিনীর আত্মত্যাগের ওপরে কিন্তু বহুরূপীর অভিনয়ে তা শেষ হয়েছে লড়াইয়ে যাবার শ্লোগান তুলে।

…বিশু পাগলের মুখে শ্লোগান, ‘চলো ভাই, লড়াইয়ে যাই’ এটার মধ্যে শুধু স্থূলত্বই ফুটে ওঠেনি, আগাগোড়া এদের অভিনয়ভঙ্গী ও দৃশ্য পরিবেশ থেকে মনে করে তখন এইটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, রবীন্দ্রনাথ যেখানে শ্রেণী বিদ্বেষ পরিহার করে গিয়েছেন এবং যাবার জন্য নির্দেশও দিয়েছেন, বহুরূপী তা তো টেনে এনেছেনই অধিকন্তু একটা বিশেষ রাষ্ট্রের প্রতি মানুষকে সংগ্রামী হয়ে ওঠার জন্য উদ্দীপ্ত করারও চেষ্টা করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাই অভিনয়টি রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ না হয়ে বহুরূপীরই ‘রক্তকরবী’তে পরিণত হয়েছে—রবীন্দ্রনাথের ফুলটা ছিল বড় কথা, বহুরূপীর অভিনয়ে জোর পড়েছে রক্তের ওপর।”

‘রক্তকরবী’ আমাদের বাংলা নাট্যপ্রযোজনাকে অন্য এক দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছিল। শুধু বাংলা নয়, ভারতীয় থিয়েটারের এই প্রযোজনার অভাব অসামান্য। স্বভাবতই প্রযোজনাটির অসামান্যতা স্বীকার করেও রক্তকরবীর নতুন ভাষাকে মেনে নিতে না পারার বিষয়টি তৎকালে যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। ওই দশকের সমালোচিত প্রযোজনাগুলির মধ্যে রক্তকরবীই সবচেয়ে উল্লেখিত।

[ দৈনিক পত্রিকা – নাট্য সমালোচনা – আশিস গোস্বামী ]

আরও পড়ুন:

 

Leave a Comment