নব্বইয়ের দশক: মধ্যবিত্তের নাট্যচর্চার শেষ পরিণাম
নব্বইয়ের দশক: মধ্যবিত্তের নাট্যচর্চার শেষ পরিণাম নিয়ে জানার জন্য আজকের আয়োজন। বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশকের প্রধান ঘটনাবলীর একটি হলো দীর্ঘ নয় …
নাটক সাহিত্যের একটি বিশেষ ধরন। সাধারণত একটি লিখিত পাণ্ডুলিপি অনুসরণ করে অভিনয় করে নাটক পরিবেশিত হয়ে থাকে। নাটক লেখা হয় অভিনয় করার জন্য। তাই নাটক লেখার আগেই তার অভিনয় করার যোগ্য হতে হয়। নাটকে স্থান, সময় ও পরিবেশের বর্ণনা ছাড়াও সংলাপ লেখা থাকে। সংলাপ বলেই একজন অভিনেতা নাটকের বিভিন্ন বিষয়ে বলে থাকেন। তবে সংলাপই শেষ কথা নয়। সংলাপবিহীন অভিনয়ও নাটকের অংশ।
সংস্কৃত আলঙ্কারিকগণ নাট্যসাহিত্যকে কাব্য সাহিত্যের মধ্যে স্থান দিয়েছেন। তাদের মতে কাব্য দুই প্রকার – দৃশ্য কাব্য ও শ্রব্য কাব্য। নাটক দৃশ্য ও শ্রব্যকাব্যের সমন্বয়ে রঙ্গমঞ্চের সাহায্যে গতিমান মানবজীবনের প্রতিচ্ছবি আমাদের সম্মুখে মূর্ত্ত করে তোলে। রঙ্গমঞ্চের সাহায্য ব্যতীত নাটকীয় বিষয় পরিস্ফুট হয় না। নাট্যোল্লিখিত কুশীলবগণ তাদের অভিনয়-নৈপুণ্যে নাটকের কঙ্কালদেহে প্রাণসঞ্চার করেন, তাকে বাস্তব রূপৈশ্বর্য্য দান করেন। নাটকে অনেক সময় পাত্র-পাত্রীদের কথায় নাট্যকার নিজের ধ্যান-ধারণার কথাও সংযোগ করে দেন। এইজন্য এটি সম্পূর্ণরূপে বস্তুনিষ্ঠ বা তন্ময় বা অবজেকটিভস্ না-ও হতে পারে। কিন্তু শ্রেষ্ঠ নাট্যকার নিজেকে যথাসাধ্য গোপনে রাখেন এবং তার চরিত্র-সৃষ্টির মধ্যে বিশেষ একটি নির্লিপ্ততা বর্তমান থাকে।
সংস্কৃত নাটকে দেখা যায় যে, প্রথমত পূর্বরঙ্গ বা মঙ্গলাচরণ, দ্বিতীয়তঃ সভাপূজা (সামাজিকগণের), তৃতীয়তঃ কবিসংজ্ঞা বা নাটকীয় বিষয়-কথন এবং তারপর প্রস্তাবনা। ‘মঙ্গলাচরণে’ সূত্রধর (তিনি জাতিতে ব্রাহ্মণ, সংস্কৃতজ্ঞ ও অভিনয়-পটু) রঙ্গভূমিতে উপস্থিত থেকে অভিনয়-কার্য্যের বিঘ্নপরিসমাপ্তির জন্য যে মঙ্গলাচরণ করেন তার নাম ‘নান্দী’।
প্রস্তাবনার পর সাধারণতঃ প্রথম অঙ্ক আরম্ভ হয়। নাটকীয় কুশীলবগণ ‘সূচিত’ না হয়ে রঙ্গমঞ্চে প্রবেশ করতে পারে না। শুধু নায়ক বা আর্ত্ত যে-কোন চরিত্রের প্রবেশের জন্য সূচনার প্রয়োজন নেই। নাটকের ভাষায় গদ্য ও পদ্য উভয়ই ব্যবহৃত হয়। তবে, সংস্কৃত নাটকে বিদ্বানপুরুষ সাধারণতঃ সংস্কৃত, বিদুষী মহিলাগণ শৌরসেনী, রাজপুত্র ও শ্রেষ্ঠিগণ অর্দ্ধমাগধী, বিদূষক প্রাচ্যা এবং ধূর্ত্ত অবন্তিক ভাষা ব্যবহার করতেন।
নব্বইয়ের দশক: মধ্যবিত্তের নাট্যচর্চার শেষ পরিণাম নিয়ে জানার জন্য আজকের আয়োজন। বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশকের প্রধান ঘটনাবলীর একটি হলো দীর্ঘ নয় …
আশির দশক: শ্লোগানসর্বস্ব রাজনৈতিক নাট্যের উন্মেষ : – নাট্য আন্দোলনের এই পর্বের বেশিরভাগ সময়টা ছিলো, সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের …
সত্তরের দশক: নাট্য আন্দোলনের প্রস্তুতি পর্ব ও গতিধারা। সত্তর দশক ছিলো বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের প্রথম পর্ব। আশির দশকের পূর্ব পর্যন্ত …
বাংলাদেশের মঞ্চনাটক : উৎস ও কর্মধারার ব্যাপকতা নিয়ে আজকের আলোচনা। বর্তমান অধ্যায়ে আমরা বুঝতে চেষ্টা করবো বাংলাদেশের যে নাট্য আন্দোলন …
বিশ শতকের রাজনৈতিক নাট্যধারায় মার্কসীয় প্রভাব : রাজনৈতিক নাট্যচিন্তা বা রাজনৈতিক নাটক বলতে আমরা কি বুঝবো এর একটি সংজ্ঞা দেয়া …
নাটক মঞ্চায়নের উদ্দেশ্য ও রাজনৈতিক নাট্যচিন্তার পশ্চাৎপট : নাটক হোক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার-বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকে …
রাজনৈতিক নাট্যচিন্তা ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের মঞ্চনাটক – হাজার বছরের বাংলা নাট্যচর্চা ঔপনিবেশিক শাসন- শোষণে আপন কক্ষপথ চ্যুত হয়ে আধুনিক …
আলাল দুলালের পালা নাট্যকার এস এম সোলায়মানের একটি বিখ্যাত নাটক। এই নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিলো ২ জানুয়ারি ২০০১। শেখ মোহাম্মদ …
বার্থ ফ্যান্টাসি নাটকটি এস এম সোলায়মান এর একটি বিখ্যাত নাটাক। এই নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হয়েছে ১৮ মে ১৯৯৬ তারিখে। ‘বার্থ …
সুনাই কইন্যার পালা নাটকটি নাট্যকার এস এম সোলায়মানের একটি বিখ্যাত নাটক। এই নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হয় ২৯ অক্টোবর ১৯৯১। শেখ …