অগ্রদূত গোষ্ঠী

অগ্রদূত গোষ্ঠী বাংলা সিনেমার প্রযুক্তিবিদের একটি গ্রুপ। ১৯৪৬ সালে গঠিত অগ্ৰদূত কোর ইউনিট, যার সদস্য ছিলেন বিভুতি লাহা (ক্যামেরাম্যান, ১৯১৫-১৯৯৭), যতীন দত্ত (শব্দ), শৈলেন ঘোষাল (ল্যাব), নিতাই ভট্টাচার্য (দৃশ্য) এবং বিমল ঘোষ (উৎপাদন) গঠিত। বিভুতি লাহাই অগ্রদূত ছদ্মনামে সিনেমা পরিচালনা করতেন। গোষ্ঠী পরিচালক হিসাবে অগ্রদূত গোষ্ঠী বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক বিভূতি লাহার নেতৃত্বে চিত্রনাট্যকার নিতাই ভট্টাচার্য, শব্দযন্ত্রী যতীন দত্ত, রসায়নাগার কর্মী শৈলেন ঘোষাল এবং প্রযোজনা তত্ত্বাবধায়ক বিমল ঘোষ মিলিত ভাবে অগ্রদূতকে গড়ে তোলেন।

 

অগ্রদূত গোষ্ঠী

 

অগ্রদূত গোষ্ঠী

অগ্রদূত পরিচালিত প্রথম ছবি স্বপ্ন ও সাধনা (১৯৪৭)। এই গোষ্ঠীর পরিচালনায় নির্মিত মোট ৩৩টি ছবির বেশির ভাগই বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল।

 

অগ্রদূত গোষ্ঠী । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

উত্তমকুমার এই গোষ্ঠীর পরিচালনায় নির্মিত ১৯টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। বিভিন্ন সময়ে সদস্যদের অনেকেই গোষ্ঠী ছেড়ে চলে গেলেও বিভূতি লাহা ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এই গোষ্ঠীর নামে চলচ্চিত্র পরিচালনার কাজ করেছেন যদিও চিত্রগ্রাহক হিসাবে কাজের সময় তিনি নিজের নামই ব্যবহার করতেন।

এই গোষ্ঠীর পরিচালনায় নির্মিত বাবলা (১৯৫১) ৭ম কার্লো ভি ভ্যারি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সামাজিক অগ্রগতির দিশারী’ হিসাবে পুরস্কৃত হয়।

 

google news , গুগল নিউজ
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

চলচ্চিত্রপঞ্জি—

১৯৪৭ : স্বপ্ন ও সাধনা; ১৯৪৮ : সমাপিকা; ১৯৪৯ : সঙ্কল্প; ১৯৫১ : সহযাত্রী, বাবলা; ১৯৫৪ : অগ্নিপরীক্ষা; ১৯৫৫ : অনুপমা, সবার উপরে; ১৯৫৬ : ত্রিযামা; ১৯৫৭: পথে হল দেরী; ১৯৫৮ : সূর্যতোরণ; ১৯৫৯ : লালু ভুলু; ১৯৬০ : কুহক, খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন; ১৯৬১ : অগ্নিসংস্কার, বিপাশা, নবদিগন্ত; ১৯৬৩ : উত্তরায়ণ, বাদশা; ১৯৬৫ : অন্তরাল, সূর্যতপা, তাপসী; ১৯৬৬ : নায়িকা সংবাদ; ১৯৬৭ : কখনো মেঘ; ১৯৬৯: চিরদিনের; ১৯৭০ : মঞ্জরী অপেরা; ১৯৭১ : ছদ্মবেশী; ১৯৭৩ : সোনার খাঁচা ; ১৯৭৫ : সেদিন দুজনে; ১৯৭৭ : দিন আমাদের; ১৯৮১ : সূর্যসাক্ষী; ১৯৮৯ : অপরাহ্নের আলো ৷

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment