অতিথি চলচ্চিত্র

অতিথি চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন তপন সিংহ। গল্পটি নন্দীগ্রামের একটি ব্রাহ্মণ পরিবারের মেজ ছেলে তারাপদকে নিয়ে। তারাপদ সংসারের বাঁধনে থাকতে চায় না। কিন্তু তার ব্যবহারে সবাই মুগ্ধ হয়ে তাকে স্নেহের বাঁধনে বেঁধে রাখতে চায়। মতিলালবাবু এবং তাঁর স্ত্রী অন্নপূর্ণা তারাপদর ব্যবহারে মুগ্ধহয়ে   মেয়ে চারুশশীর সাথে তার বিয়ে দিয়ে জামাই করে বাড়িতে রাখতে চায়। তারাপদ বুঝতে পারে সবাই মিলে তাকে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করছে তাই সে আবার পালিয়ে যায়।

 

অতিথি চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

অতিথি চলচ্চিত্র

  • প্রযোজনা—নিউ থিয়েটার্স (একজিবিটার্স) প্রাইভেট লিমিটেড।
  • প্রযোজক—দিলীপ সরকার।
  • কাহিনি ও গীতিকার—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
  • চিত্রনাট্য, সংগীত ও পরিচালনা—তপন সিংহ।
  • চিত্রগ্রহণ—দিলীপরঞ্জন মুখোপাধ্যায়।
  • শিল্প নির্দেশনা—সুনীতি মিত্র।
  • সম্পাদনা — সুবোধ রায়।
  • শব্দগ্রহণ—অতুল চট্টোপাধ্যায়, ইন্দু অধিকারী।

অতিথি চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —

পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়, সলিল দত্ত, সৌমেন মুখোপাধ্যায়, বঙ্কিম ঘোষ, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিনয় লাহিড়ী, রসরাজ চক্রবর্তী, নমিতা বিশ্বাস, বাসবী বন্দ্যোপাধ্যায়, মিতা মুখোপাধ্যায়, স্মিতা সিংহ, কৃষ্ণা বসু, দীপালি মুখোপাধ্যায়, শাশ্বতী মুখোপাধ্যায়, শুক্তিধারা দেবী। নেপথ্য সংগীত—সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, উৎপলা সেন, পার্থ মুখোপাধ্যায়।

 

অতিথি চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

অতিথি চলচ্চিত্রের কাহিনি—

নন্দীগ্রামের একটি ব্রাহ্মণ পরিবারের মেজ ছেলে তারাপদ (পার্থ)। বিধবা মা (নমিতা) তাদের চার ভাইকে অতি কষ্টে বড় করে তোলার চেষ্টা করেন। তারাপদ সংসারের বাঁধনের মধ্যে হাঁফিয়ে ওঠে, মাঝে মাঝেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কখনও যাত্রার দলে, কখনও জিমনাস্টিকের দলে, আবার কখনও কোনো পরিবারে আশ্রয় পেলেও কোনো রকম বন্ধন তার সহ্য হয় না। তার ব্যবহারে সকলেই তাকে ভালোবাসে, স্নেহের বাঁধনে বেঁধে রাখার চেষ্টা করলেই সে পালিয়ে যায়। তারাপদকে নিয়ে তার মা এবং দাদার চিন্তার শেষ নেই।

একবার বাড়ি থেকে পালিয়ে তারাপদ আশ্রয় পায় কাঁঠালিয়ার জমিদার মতিলালবাবুর বাড়ি। মতিলালবাবু এবং তাঁর স্ত্রী অন্নপূর্ণা তারাপদর ব্যবহারে মুগ্ধ। তাঁদের মনোগত ইচ্ছা মেয়ে চারুশশীর সাথে তার বিয়ে দিয়ে জামাই করে বাড়িতে রাখেন। তারাপদর শিক্ষা এবং সংগীত শিক্ষার ব্যবস্থা হয়।

 

Google News অতিথি চলচ্চিত্র
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

শিক্ষক মশাইও (অজিতেশ) তারাপদর ব্যবহারে মুগ্ধ। ব্যতিক্রম চারুশশী, সে বুঝতে পারে না কেন তারাপদকে সকলে ভালোবাসবে, তারাপদও চারুশশীর ঈর্ষাকাতরতার কারণ বোঝার চেষ্টা করে। তারাপদকে জামাই করতে চেয়ে মতিলালবাবু তারাপদর মাকে চিঠি দেন। তারাপদ বুঝতে পারে সবাই মিলে তাকে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করছে, সে আবার পালিয়ে যায়।

পুরস্কার—

১৯৬৫ সালে ছবিটি ভারতের রাষ্ট্রপতির পুরস্কার (সার্টিফিকেট অব মেরিট) লাভ করে। ১৯৬৬ সালে ভেনিসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার (সার্টিফিকেট অব মেরিট) পায়।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment