অনিল গুপ্তর জন্ম পূর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশ) ঢাকা জেলায়। ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কাজের সন্ধানে কলকাতায় আসেন। আনন্দবাজার পত্রিকার স্থির চিত্রগ্রাহক হিসাবে কিছুদিন কাজ করেছিলেন। পরে কিছুদিন টালিগঞ্জে সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসাবেও কাজ করেন।
অনিল গুপ্ত
অনিল গুপ্ত স্বাধীন চিত্রগ্রাহক হিসাবে প্রথম কাজ দেবনারায়ণ গুপ্ত ও বিনয় সেন পরিচালিত রামপ্রসাদ (১৯৪৭)। সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে প্রায় নব্বইটি বাংলা ছবির চিত্রগ্রহণের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৮ সালের পর থেকে প্রায় চুয়াল্লিশটি ছবির কাজ যুগ্মভাবে করেছেন জ্যোতি লাহার সাথে ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জ্যোতি লাহা আগে অনিলবাবুর সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। যাত্রিক পরিচালিত ৯টি ছবির পাশাপাশি সুশীল মজুমদার, চিত্ত বসু, অসিত সেন, হরিসাধন কাজ দাশগুপ্ত, পিনাকী মুখোপাধ্যায়, অজিত গাঙ্গুলী ছাড়াও অন্যান্য বেশ কিছু পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন।
বাংলা ছবির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দী ছবির চিত্রগ্রাহক হিসাবেও তিনি করেছেন।সবিতা বসুর সাথে যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন এরা কারা (১৯৬৪)। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন বীরেশ্বর বসু।
চলচ্চিত্রপঞ্জি—
- ১৯৪৮ : বিচারক;
- ১৯৪৯ : দাসীপুত্র, সিংহদ্বার, যার যেথা ঘর;
- ১৯৫০ : গরবিনী, ইন্দ্রজাল;
- ১৯৫১ : ভক্ত রঘুনাথ, ওরে যাত্রী, সেতু;
- ১৯৫২ : রাণী ভবানী, স্বপ্ন ও সমাধি;
- ১৯৫৩ : বৈমানিক, রামী চণ্ডীদাস, শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ;
- ১৯৫৪ : এটম্ বম্, মণি আর মানিক, ভাঙা গড়া;
- ১৯৫৫ : দত্তক, কথা কও, কালো বৌ, মেজ বৌ, ব্রতচারিণী;
- ১৯৫৬ : কীর্তিগড়, পরাধীন, অসমাপ্ত, মহাকবি গিরিশচন্দ্র;
- ১৯৫৭ : নতুন প্রভাত, পরের ছেলে, বসন্ত বাহার, ওগো শুনছো, জীবনতৃষ্ণা;
- ১৯৫৮ : প্রিয়া, স্বর্গ মর্ত্য, মর্মবাণী;
- ১৯৫৯ : মরুতীর্থ হিংলাজ, চাওয়া পাওয়া, শ্রীশ্রী নিত্যানন্দ প্রভু, দেড়শো খোকার কাণ্ড, দীপ জ্বেলে যাই, অগ্নি সম্ভবা;
- ১৯৬০ : রাজাসাজা, হাত বাড়ালেই বন্ধু, হসপিটাল, স্মৃতিটুকু থাক;
- ১৯৬১ : কেরী সাহেবের মুন্সী, সাথীহারা, স্বরলিপি, স্বয়ম্বরা;
- ১৯৬২ : কাঁচের স্বর্গ, আগুন, রক্তপলাশ ;
- ১৯৬৩ : দ্বীপের নাম টিয়ারং, ভ্রান্তিবিলাস, উত্তর ফাল্গুনী;
- ১৯৬৪ : তাহলে, জীবন কাহিনী, স্বর্গ হতে বিদায়, কাঁটাতার, মোমের আলো, সন্ধ্যাদীপের শিখা;
- ১৯৬৫ : তৃষ্ণা;
- ১৯৬৭ : গৃহদাহ;
- ১৯৬৯ : আঁধার সূর্য, কমললতা, অগ্নিযুগের কাহিনী;
- ১৯৭১ : এখানে পিঞ্জর, চৈতালী;
- ১৯৭২ : আলো আমার আলো, ছিন্নপত্র, হার মানা হার;
- ১৯৭৩ : নতুন দিনের আলো, রাতের রজনীগন্ধা;
- ১৯৭৪ : আলোর ঠিকানা, শজারুর কাঁটা, যদি জানতেম;
- ১৯৭৫ : নগর দর্পণে, কমললতা;
- ১৯৭৬ : চাঁদের কাছাকাছি, মোমবাতি, হোটেল স্নো ফক্স:
- ১৯৭৭ : রামের সুমতি;
- ১৯৭৮ : বাবা তারকনাথ, করুণাময়ী, টুসি;
- ১৯৭৯ : যত মত তত পথ, কৃষ্ণ সুদামা;
- ১৯৮০ : সীতা; ১৯৮১ : স্বামী স্ত্রী;
- ১৯৮২ : সোনার বাংলা;
- ১৯৮৪ : দুজনে, সমর্পিতা;
- ১৯৮৬ : জীবন;
- ১৯৮৯ : মহাপীঠ তারাপীঠ;
- ১৯৯০ : ভাঙাগড়া;
- ১৯৯১ : রাজনর্তকী;
- ১৯৯২ : নবরূপা, পেন্নাম কলকাতা;
- ১৯৯৩ : কাঁচের পৃথিবী।
আরও দেখুনঃ