অভিনেতা প্রতীক বাব্বর তার প্রয়াত মা, কিংবদন্তি অভিনেত্রী স্মিতা পাটিল-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নাম পরিবর্তন করে প্রতীক স্মিতা পাটিল রেখেছেন। তবে তার বাবা রাজ বাব্বর-এর নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে তিনি এবং তার স্ত্রী প্রিয়া ব্যানার্জি মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন।
অভিনেতা প্রতীক বাব্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তন করে রাখলেন প্রতীক স্মিতা পাটিল, বললেন, ‘এটি শুধু তার নাম এবং তার উত্তরাধিকার হওয়া উচিত’

নাম পরিবর্তনের পেছনের কারণ
প্রতীক বাব্বর তার নতুন পরিচয় প্রসঙ্গে বলেছেন,
“আমি শুধু ভাবছি কী করলে আমার আত্মা শান্তি পায়, আমার হৃদয় হাসে। আমি ভাবছি না এটি আমার ক্যারিয়ারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা। আমি পরিণতি নিয়ে চিন্তিত নই। আমি শুধু অনুভব করতে চাই, যখন আমি এই নামটি শুনি, তখন আমার কেমন লাগে। আমি সম্পূর্ণভাবে আমার মা স্মিতা পাটিলের নাম এবং উত্তরাধিকারীর সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই। অন্য কোনও নাম যেন এই উত্তরাধিকারকে কলুষিত না করে, আপনি যদি বুঝতে পারেন আমি কী বলতে চাই।”
নাম পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া
প্রতীক বাব্বরের এই সিদ্ধান্ত ভক্তদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন, যেখানে তিনি তার মায়ের ঐতিহ্যকে সম্মান জানাচ্ছেন এবং নিজের পরিচয়কে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছেন। তবে এই সিদ্ধান্তে বাবার নাম সরিয়ে দেওয়ার কারণে কিছু বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতীক বাব্বরের পারিবারিক পরিচয় (নতুন বনাম পুরনো)
বিবরণ | আগের নাম | নতুন নাম |
---|---|---|
পূর্ণ নাম | প্রতীক বাব্বর | প্রতীক স্মিতা পাটিল |
মায়ের নাম | স্মিতা পাটিল | স্মিতা পাটিল |
বাবার নাম | রাজ বাব্বর | (নাম অন্তর্ভুক্ত নয়) |
নাম পরিবর্তনের কারণ | পারিবারিক নামের পরিবর্তন | মাতৃপরিচয়ের প্রতি শ্রদ্ধা |

স্মিতা পাটিলের উত্তরাধিকার
স্মিতা পাটিল ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী, যিনি ‘ভূমিকা’, ‘আরথ’, ‘চক্র’, ‘মান্ডি’-র মতো ছবির জন্য পরিচিত। তার অবদান ভারতীয় সমান্তরাল (parallel) সিনেমার জগতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র ৩১ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন, কিন্তু তার কাজ আজও অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রতীক বাব্বর তার নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে তার মায়ের এই ঐতিহ্যকে সামনে আনতে চেয়েছেন এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন।
প্রতীক বাব্বরের এই সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত হলেও এটি বলিউডে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পরিবারের উত্তরাধিকার এবং নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার এই যাত্রা অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে। ভবিষ্যতে প্রতীক স্মিতা পাটিল কীভাবে তার মায়ের উত্তরাধিকারকে বহন করেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।