বর্ষীয়ান অভিনেতা রাকেশ পাণ্ডে ২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবার সকাল ৮ টা ৪৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৭৭ বছর। তিনি জুহুর আরোগ্যনিধি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাঁর শেষকৃত্য শাস্ত্রী নগর শ্মশানে সম্পন্ন হয়, যেখানে পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। রাকেশ পাণ্ডে ছিলেন হিন্দি ও ভোজপুরী ছবির দুনিয়ার একটি পরিচিত নাম।
ভারতীয় সিনেমার জগতে রাকেশ পাণ্ডে অভিনয় শুরু করেন ১৯৬৯ সালে বাসু চ্যাটার্জির ক্লাসিক ছবি ‘সারা আকাশ’-এ। এই ছবিটি তাঁকে শুধু প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেননি, পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও এনে দিয়েছিল। বড়পর্দায় অভিনয় ছাড়াও তিনি একজন থিয়েটার অভিনেতা ছিলেন। তিনি পুণের ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (FTII) থেকে প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে ভারতেন্দু একাডেমি অফ ড্রামাটিক আর্টসে যোগ দেন। তিনি IPTA (ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন)-এর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন, যেখানে তিনি অভিনয়ের একটি স্বাভাবিক এবং বাস্তবসম্মত শৈলী গড়ে তোলেন।
থিয়েটারের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয়ে সহায়তা করেছিল। রাকেশ পাণ্ডে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ছবি ‘সুদর্শন চক্র’-এ অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া তিনি বলিউডের ‘ইন্ডিয়ান’, ‘বেটা হো তো অ্যায়সা’, ‘চ্যাম্পিয়ন’, ‘অমর প্রেম’, ‘হিমালয় সে উঁচা’, ‘দেবদাস’ (২০০২), ‘দিল চাহতা হ্যায়’ (২০০১), ‘লক্ষ্য’ (২০০৪), এবং ‘ব্ল্যাক’ (২০০৫) ছবিতে অভিনয় করেছেন।
বড়পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি রাকেশ পাণ্ডে টেলিভিশনেও পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি ‘ছোটি বহু’, ‘দেহলিজ’, ‘পিয়া বিনা’, ‘দেবী’, ‘পেয়ার কে দো নাম- এক রাধা এক শ্যাম’ এবং ঐতিহাসিক ধারাবাহিক ‘ভারত এক খোঁজ’ (১৯৮৮)-এ অভিনয় করেছিলেন।
দীর্ঘ দুই দশক পর, ২০১৭ সালে কপিল শর্মার ‘ফিরাঙ্গি’ ছবির মাধ্যমে তিনি শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করেন, যা তাঁর অভিনয় শিল্পের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, তিনি ‘হুরদাং’ (২০২২) এবং ওয়েব সিরিজ ‘দ্য লয়ার্স শো’-এর মতো প্রকল্পগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।