
অভিনেত্রী রোজিনার প্রারম্ভিক জীবন
চলচ্চিত্রে আগমন
‘কসাই’ চলচ্চিত্রের পর মতিন রহমান পরিচালিত ‘জীবনধারা’ ছবির জন্য তিনি ১৯৮৮ সালে আবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর কবীর আনোয়ার পরিচালিত ‘দিনকাল’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্যও পুরস্কৃত হন।
খ্যাতিমান এই অভিনেত্রী ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানী যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘হাম সে হায় জামানা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। ওই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সেই সময়ের জনপ্রিয় নায়ক নাদিম।
এরপর ১৯৮৪ সালে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘অবিচার’ এ মিঠুন চক্রবর্তীর বিপরীতে অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।
রোজিনা অভিনীত চলচ্চিত্রের গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ‘এই মন তোমাকে দিলাম, তুমি চোখের আড়াল হও, কাছে কি বা দূরে রও’ ‘ছেড়ো না ছেড়ো না হাত’ ‘তুমি আমার কত চেনা’ এ ধরনের অসংখ্যা কালজয়ী গানের মাধ্যমে রোজিনা নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
অভিনেত্রী রোজিনা বর্তমানে লন্ডনেই বেশিরভাগ সময় থকেন। ক্ষতিপূরণ, ধনী গরীব, আনারকলি, কসাই, দোলনা, রুপবান, অবিচার, রাস্তার রাজা, মিস ললিতা, অভিযান, মানসীসহ প্রায় ২৫৫টি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ ২০০৫ সালে ‘রাক্ষসী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে এ জগত থেকে বিদায় নেন এক সময়ের পর্দা কাঁপানো এই অভিনেত্রী।

সন্মাননা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী – কসাই (১৯৮০)
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী – জীবন ধারা (১৯৮৮)
বাচসাস পুুরস্কার
- বিজয়ীঃ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী – সুরু মিঞা (১৯৮৬)
আরও দেখুনঃ