অমৃতকুম্ভের সন্ধানে চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- অমৃতকুম্ভের সন্ধানে ১৯৮২ সালের দিলীপ রায় পরিচালিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র। এটি সমরেশ বসুর ছদ্মনাম (১৯২৪-১৯৮৮) “কালকুটের” একটি গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। সংগীত পরিচালনা করেছেন সুধীন দাশগুপ্ত এবং অভিনয় করেছেন শুভেন্দু চ্যাটার্জী, অপর্ণা সেন, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, সমিত ভঞ্জ, রুমা গুহঠাকুরতা প্রমুখ।
এই চলচ্চিত্রে ভারতীয় হিন্দুদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় মেলা, কুম্ভ মেলার অবয়ব রয়েছে। এ মেলা গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীসমূহের মোহনায় অনুষ্ঠিত হয়।
অমৃতকুম্ভের সন্ধানে চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — অভিনেতৃ সংঘ।
- কাহিনি – কালকূট (সমরেশ বসু)।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা- দিলীপ রায়।
- চিত্রগ্রহণ—গিরীশ পাধিয়ার।
- সংগীত — সুধীন দাশগুপ্ত।
- শিল্প নির্দেশনা—রবি চট্টোপাধ্যায়।
- শব্দগ্রহণ— জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়।
অমৃতকুম্ভের সন্ধানে চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রুমা গুহঠাকুরতা, অনুপকুমার, শমিত ভঞ্জ, গীতা দে, মহুয়া রায়চৌধুরী, বিমল দেব, চিন্ময় রায়, মৃণাল মুখোপাধ্যায়, অলকা গঙ্গোপাধ্যায়, প্রেমাংশু বসু। নেপথ্য কণ্ঠ— অমর পাল, শক্তি ঠাকুর, অরুন্ধতী হোমচৌধুরী, সুজাতা সরকার, রুমা গুহঠাকুরতা।
অমৃতকুম্ভের সন্ধানে চলচ্চিত্রের কাহিনি—
লেখক (শুভেন্দু) প্রয়াগে কুম্ভ মেলায় যান, বিভিন্ন মানুষের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয় হয় বৃদ্ধ ডাঃ প্রাণগোপাল রায়ের সাথে, তিনি তাঁর দীর্ঘদিন আগে হারিয়ে যাওয়া মেয়ের সন্ধানে প্রয়াগে এসেছেন। বলরাম বিকলাঙ্গ মানুষ, সেও কষ্ট সহ্য করে প্রয়াগে এসেছে। এসেছেন এক বৃদ্ধা ঠাকুরমা, তাঁর বিশ্বাস কুম্ভমেলায় প্রদীপ ভাসাতে পারলে তাঁর পরিবারে (অপর্ণা) নামে একটি যুবতী মেয়ের, পরে লেখক জানতে পারেন শ্যামা এক বৃদ্ধের তৃতীয় সমৃদ্ধি আসবে, তাঁর নাতির কারখানায় লকআউট উঠে যাবে।
লেখকের সাথে দেখা হয় শ্যামা এক ব্রিধের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী, সে তার মনাকষ্ট মনের মধ্যেই চেপে রাখে। শ্যামার জীবনে প্রেম এসেছিল কিন্তু পারিবারিক একটি ঋণ শোধ করার জন্য তাকে এই বৃদ্ধের কাছে নিজেকে বিক্রি করতে হয়েছে। যে সব মানুষের সাথে তার দেখা হয় তাদের অনেকেরই একটা দুঃখজনক অতীত আছে,প্রয়াগে পুণ্যস্নানে তাদের মুক্তি হবে এমন বিশ্বাস নিয়ে তারা এখানে ছুটে এসেছে।

লেখক লক্ষ করেন সকলেই আগে চানে যাবে এই বাসনায় ঠেলাঠেলিতে অনেক মানুষ পায়ের চাপে মারা যায়, বহু মানুষ আহত হয়। ফেরার পথে লেখকের মনে এই সব মানুষদের জন্য একটা কষ্টের অনুভূতি জেগে ওঠে। ১৯৮২-৮৩ সালে ছবিটি ইন্ডিয়ান প্যানোরামায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
আরও দেখুনঃ