আধারে আলো চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত নির্বাক বাংলা চলচ্চিত্র। এটি কলকাতা তাজমহল ফিল্মস প্রযোজিত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ছোটগল্প আঁধারে আলো অবলম্বনে এবং শিশিরকুমার ভাদুড়ী ও নরেশ মিত্রের পরিচালনায় এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়। এর চিত্রগ্রাহক ছিলেন ননি গোপাল সান্যাল। চলচ্চিত্রে যুগ্ম পরিচালক শিশিরকুমার ভাদুড়ী ও নরেশ মিত্র সহ যোগেশ চৌধুরী এবং দুর্গা রানী অভিনয় করেছেন।
চলচ্চিত্রটি একটি ত্রিকোণ প্রেমের গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত, যেখানে সত্যেন্দ্র নামক এক ব্যক্তি পারিবারিক বাধ্যবাধকতার কারণে রাধারানী নামে এগারো বছরের যুবতী কন্যাকে বিয়ে করেন এবং অন্য মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করে। এই ধরনের গল্প নিয়ে নির্মিত বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে এই ছায়াছবির খ্যাতি ছিল।
আধারে আলো চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা – ‘তাজমহল ফিল্ম কোম্পানি।
- প্রযোজক – বিমলচন্দ্র ঘোষ।
- কাহিনি—শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা শিশিরকুমার ভাদুড়ী।
- চিত্রগ্রহণ — ননীগোপাল সান্যাল।
আধারে আলো চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
শিশিরকুমার ভাদুড়ী, নরেশচন্দ্র মিত্র, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, দুর্গারাণী, কঙ্কাবতী দেবী।
আধারে আলো চলচ্চিত্রের কাহিনি –
সত্যেন্দ্র (শিশির) উচ্চশিক্ষার জন্য গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় বাস করতে আসে। তার সাথে পরিচয় হয় নিষিদ্ধপল্লির বাসিন্দা বিজলীর (দুর্গারাণী)। বিজলী তার আত্মপরিচয় গোপন রেখেই সত্যেন্দ্রর সাথে যোগাযোগ রাখত। সত্যেন্দ্র বিজলীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনাক্রমে সত্যেন্দ্র বিজলীর আসল পরিচয় জানতে পারে এবং তার সাথে সব সম্পর্ক ত্যাগ করে গ্রামে ফিরে যায়।
পরে সে রাধারাণীকে (কঙ্কাবতী) বিয়ে করে। বিজলী নিজের পেশা ছেড়ে গান গেয়ে নিজের খরচ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পিতার মৃত্যুর পর সত্যেন্দ্র সম্পত্তির মালিকানা পাওয়ার পর বিজলীকে অপমান করার অভিপ্রায়ে তাকে মুজরো করার জন্য নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায়।

রাধারাণী বিষয়টি জানতে পেরে স্বামীকে ভর্ৎসনা করে এবং বিজলী সর্বসমক্ষে অপদস্থ হওয়া থেকে রক্ষা পায়। ছবিটি মুক্তির পর তৎকালীন পত্রপত্রিকায় প্রশংসিত হয়েছিল।
আরও দেখুনঃ