আবার অরণ্যে চলচ্চিত্র

আবার অরণ্যে চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা-  ১৯৭০ সালে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল।

সঞ্জয়, অসীম ও হরি সপরিবারে ডুয়ার্স বেড়াতে যায়। হঠাৎই  অসীম-অপর্ণার কন্যা অমৃতা হারিয়ে যায়, তাকে স্থানীয় আদিবাসীরা উদ্ধার করে এবং তার সম্মতিক্রমে তার বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়, এই টাকা স্থানীয় আদিবাসীদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। স্থানীয় পুলিস অমৃতাকে উদ্ধার করে এবং ঐ আদিবাসী নেতা গ্রেফতার হয়। অমৃতা বাবা-মার সাথে কলকাতা ফিরে যেতেও অস্বীকার করে।  তার মা তার পক্ষ নেয়।

 

 

আবার অরণ্যে চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

আবার অরণ্যে চলচ্চিত্র

  • প্রযোজনা — রেনবো প্রোডাকসন্স ও টি. সরকার প্রোডাকসন্স।
  • প্রযোজক রমেশ গান্ধী, সুমিতা ভট্টাচার্য।
  • কাহিনি, চিত্রনাট্য, চিত্রগ্রহণ, সংগীত ও পরিচালনা—গৌতম ঘোষ।
  • শিল্প নির্দেশনা—অশোক বসু, সুদীপ ভট্টাচার্য।
  • সম্পাদনা — মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • শব্দগ্রহণ—অনুপ মুখোপাধ্যায়।

আবার অরণ্যে চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শর্মিলা ঠাকুর, টাব্বু, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, চম্পা, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, শমিত ভঞ্জ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্ত, অরুণ মুখোপাধ্যায়, অরিজিৎ দত্ত।

 

আবার অরণ্যে চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

নেপথ্য সংগীত –

শর্মিলা বসু, ইন্দ্রাণী সেন, অন্তরা চৌধুরী, নীল অধিকারী, অনুশীলা বসু।

আবার অরণ্যে চলচ্চিত্রের কাহিনি —

১৯৭০ সালে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। ঐ ছবিতে অসীম (সৌমিত্র), সঞ্জয় (শুভেন্দু), শেখর (রবি) এবং হরি (শমিত) কয়েক দিনের ছুটি কাটাতে পালামৌর জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছিল। তিন দশক পর শেখর ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে, হরি দুরারোগ্য কর্কট রোগে আক্রান্ত। সঞ্জয়, অসীম ও হরি সপরিবারে ডুয়ার্স বেড়াতে যায়। পালামৌ বর্তমানে পর্যটকদের পক্ষে নিরাপদ নয় বলেই তারা ডুয়ার্সের জঙ্গলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে।

হঠাৎই একদিন নদীর ধার থেকে অসীম-অপর্ণার (শর্মিলা) কন্যা অমৃতা (টাব্বু) অপহাত হয় বা হারিয়ে যায়, তাকে স্থানীয় আদিবাসীরা উদ্ধার করে এবং তার সম্মতিক্রমে তার বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়, এই টাকা স্থানীয় আদিবাসীদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

 

Google News আবার অরণ্যে চলচ্চিত্র
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

ঐ আদিবাসীদের মধ্যে থাকার সময় অমৃতা তাদের কল্যাণে নিয়োজিত এক নেতার কথায় অনুপ্রাণিত হয় এবং ভবিষ্যৎ জীবন তাদের মধ্যে কাটাবার পরিকল্পনা করে। সঞ্জয় কলকাতার পুলিসের বড়কর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে। স্থানীয় পুলিস অমৃতাকে উদ্ধার করে এবং ঐ আদিবাসী নেতা গ্রেফতার হয়। অমৃতা নিজের শ্রেণির মানুষদের প্রতি অনাস্থা পোষণ করে এবং বাবা-মার সাথে কলকাতা ফিরে যেতেও অস্বীকার করে। এমনকী তার মা তার পক্ষ নেয় এবং স্বামী ও স্বামীর বন্ধুদের এক দল কপটাচারী বা ভণ্ড বলে মনে করে।

ছবিটি সত্যজিতের অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৭০) ছবির অনুপ্রেরণায় তৈরি হলেও সমালোচক ও আগ্রহী দর্শকদের প্রশংসা লাভে তেমন ভাবে সফল হয় নি।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment