আমার ভুবন চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন প্রযোজিত। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মৃণাল সেন। চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে আছে নন্দিতা দাস, কৌশিক সেন, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
সখিনা, তার দ্বিতীয় স্বামী মেহের এবং তাদের তিন ছেলে মেয়ে। সখিনার প্রথম স্বামী নূর আবার বিয়ে করেছে কামেলাকে। নূর এবং সখিনার মনের মধ্যে তাদের বিয়ের এবং অল্পদিনের দাম্পত্য জীবনের কিছু মধুর স্মৃতি রয়ে গিয়েছে। নূরের বাড়িতে গ্রামের সকলের আমন্ত্রণ, স্বাভাবিক ভাবেই মেহের ও সখিনাও আমন্ত্রিত। কামেলা এই প্রথমবার সখিনাকে দেখে। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের পুনরাবিষ্কার করে।
আমার ভুবন চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা— ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।
- কাহিনি—আফসার আহমেদ।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা- মৃণাল সেন।
- চিত্রগ্রহণ — অভীক মুখোপাধ্যায়।
- সংগীত পরিচালনা- দেবজ্যোতি মিশ্র।
- শব্দগ্রহণ – অরুণ বসু।
- শিল্প নির্দেশনা — গৌতম বসু।
- সম্পাদনা – মৃত্যুয় চক্রবর্তী।
- গীতিকার—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- কণ্ঠসঙ্গীত— শ্রীকান্ত আচার্য, রূপঙ্কর।
আমার ভুবন চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
নন্দিতা দাস, কৌশিক সেন, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, অরুণ মুখোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী, শ্রীজাতা ভট্টাচার্য, সায়ন কুণ্ডু, শুভান্বিতা গুহ, অসিত বসু, জীবন গুহ, নিমাই লাহিড়ী, অলোক মুখোপাধ্যায়, বরুণ চক্রবর্তী, শিবানী ভট্টাচার্য।
আমার ভুবন চলচ্চিত্রের কাহিনি—
শহরের কোলাহল থেকে দূরে একটি শান্ত গ্রামে বাস করে সখিনা (নন্দিতা), তার দ্বিতীয় স্বামী মেহের (কৌশিক) এবং তাদের তিন ছেলে মেয়ে। সখিনার প্রথম স্বামী নূর (শাশ্বত) আবার বিয়ে করেছে কামেলাকে। নূর প্রথমবার বিয়ের পর সখিনাকে সত্যিকারের ভালোবেসেছিল, কিন্তু নূরের দাদার অকারণ হস্তক্ষেপে তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। নূর এবং সখিনার মনের মধ্যে তাদের বিয়ের এবং অল্পদিনের দাম্পত্য জীবনের কিছু মধুর স্মৃতি রয়ে গিয়েছে।
আর্থিক অসুবিধার কারণে দ্বিতীয় বার বিয়ের পর নূর তার স্ত্রী কামেলাকে তার বাপের বাড়িতে রেখে বিদেশে যায় কাঠের মিস্ত্রির কাজ নিয়ে, সেখানে অনেক অর্থ উপার্জন করে আবার ফিরে আসে গ্রামের বাড়িতে। সখিনার সাথে নূরের দেখা হয়, মনের ভেতরে দুজনেরই দুজনের জন্য কিছুটা ভালোবাসা রয়ে গিয়েছে।
সখিনা তার স্বামী মেহেরকেও ভালোবাসে। অর্থনৈতিক অসুবিধা থাকলেও তাদের স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনে তিনটি সন্তানকে নিয়ে তারা সুখী হতে চায়। নূর বিভিন্ন ভাবে মেহেরকে আর্থিক সাহায্য করার চেষ্টা করে, কারণ এই সাহায্যে সখিনাও উপকৃত হবে।
নূরের বাড়িতে গ্রামের সকলের আমন্ত্রণ, স্বাভাবিক ভাবেই মেহের ও সখিনাও আমন্ত্রিত, সখিনা তার আগের বিয়ের কথা এবং বর্তমান আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে এই নিমন্ত্রণে অংশ গ্রহণ করতে চায় না, মেহেরের অনুরোধে সে তার সাথে নূরের বাড়ি যায়, সকলের দেখা হয়। কামেলা এই প্রথমবার সখিনাকে দেখে। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের পুনরাবিষ্কার করে।

প্রকাশিত গ্রন্থ ও চিত্রনাট্য —
বিশ্ব রায় সম্পাদিত ‘আমার ভুবন’। দে’জ পাবলিশিং, ২০০৪।
আরও দেখুনঃ