আমোদিনী চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- ১৯৯৪ সালের ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র। পরিচালনা করেছেন চিদানন্দ দাশগুপ্ত। ছবিটি ১৯৯৫ সালে ইন্ডিয়ান প্যানোরামায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
ধনী জমিদারের মেয়ে আমোদিনীর বিয়ে ঠিক হয় পার্শ্ববর্তী জমিদারের ছেলের সাথে। কিন্তু লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে মেয়েকে রক্ষা করার জন্য আমোদিনীর বাবা তার সাথে বাড়ির যুবক চাকর পাণ্ডুর বিয়ে দেন। বাড়ির চাকরের সাথে বিয়ে আমোদিনী মানতে পারে নি। পাণ্ডু কলকাতায় ব্যবসা করে ধনী হয়। ধনী পাণ্ডু দ্বিতীয়বার বিবাহ করে। আমোদিনী স্বেচ্ছায় পাণ্ডুর বাড়ি আসে এবং পাণ্ডুর দ্বিতীয় স্ত্রী রাসমণিকে মারধোর করে নিজের অধিকার কায়েম করতে চায়।
আমোদিনী চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা – জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিগম ও দূরদর্শন।
- কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও সংগীত — চিদানন্দ দাশগুপ্ত।
- চিত্রগ্রহণ – মধু আম্বাট।
- শিল্প নির্দেশনা—রূপচাঁদ কুণ্ডু।
- শব্দ গ্রহণ—অনুপ মুখোপাধ্যায়।
- সম্পাদনা – উজ্জ্বল নন্দী।
আমোদিনী চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, তথাগত সান্যাল, অপর্ণা সেন, অনুশ্রী দাস।
আমোদিনী চলচ্চিত্রের কাহিনি—
ধনী জমিদারের মেয়ে আমোদিনীর (রচনা) বিয়ে ঠিক হয় পার্শ্ববর্তী জমিদারের ছেলের সাথে। কিন্তু বিয়ের দিন বরপক্ষ হাজির না হওয়ায় লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে মেয়েকে রক্ষা করার জন্য আমোদিনীর বাবা তার সাথে বাড়ির যুবক চাকর পাণ্ডুর (পীযূষ) বিয়ে দেন। বাড়ির চাকরের সাথে বিয়ে আমোদিনী মানতে পারে নি, পাণ্ডুকে সে ঘরে ঢুকতে দিত না।
একদিন অপমানিত পাণ্ডু বাড়ি থেকে পালিয়ে ভাগ্যান্বেষণে কলকাতায় আসে। কলকাতায় নানা রকম কাজ এবং ব্যবসা করে পাণ্ডুর ভাগ্য খুলে যায়। ধনী পাণ্ডু স্ত্রী হিসাবে আমোদিনীকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং দ্বিতীয়বার বিবাহ করে।

আমোদিনী স্বেচ্ছায় পাণ্ডুর বাড়ি আসে এবং পাণ্ডুর দ্বিতীয় স্ত্রী রাসমণিকে (অনুশ্রী) মারধোর করে নিজের অধিকার কায়েম করতে চায়। শেষ পর্যন্ত পাণ্ডু আমোদিনীকে গ্রহণ করে, আমোদিনী এবং রাসমণি পরস্পরের সাথে সহমত রেখে সংসার চালায়।
আরও দেখুনঃ