আলিবাবা চলচ্চিত্র

আলিবাবা চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি শ্রী ভারতলক্ষ্মী পিকচার্স প্রযোজনায় মধু বসু পরিচালিত।

আলিবাবা ও চল্লিশ চোর এর কাহিনি নিয়ে ছবিটি নির্মিত। আলিবাবার ধনী ভাই কাসেম গুহায় যায় এবং দস্যুদলের হাতে ধরা পড়ে। দস্যুরা কাসেমকে হত্যা করে।  কাসেমের সুন্দরী ক্রীতদাসী মর্জিনা এবং আলিবাবার পুত্র পরস্পরকে ভালোবাসে। তাদের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে সর্দার সমেত সমস্ত দস্যুদল মারা যায়।

আলিবাবা চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

আলিবাবা চলচ্চিত্র

  • প্রযোজনা—শ্রী ভারতলক্ষ্মী পিকচার্স।
  • প্রযোজক – বাবুলাল চৌখানী।
  • কাহিনি— ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ।
  • পরিচালনা — মধু বসু।
  • চিত্রগ্রহণ — বিভূতি দাস, গীতা ঘোষ।
  • শিল্প নির্দেশনা – সুধাংশু চৌধুরী।
  • সংগীত পরিচালনা – ফ্রাস্কোপোলো, নাগর দাস নায়েক।
  • সম্পাদনা— শ্যাম দাস।

আলিবাবা চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —

মধু বসু, সাধনা বসু, সুপ্রভা মুখোপাধ্যায়, ইন্দিরা রায়, বিভূতি গঙ্গোপাধ্যায়, প্রীতিকুমার মজুমদার, কমল বিশ্বাস, বি. পি. মেহেরা।

নেপথ্য সংগীত—

কলকাতা আর্ট প্লেয়ার্স-এর শিল্পীবৃন্দ।

 

Google News আলিবাবা চলচ্চিত্র
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

আলিবাবা চলচ্চিত্রের কাহিনি—

গরিব কাঠুরে আলিবাবা (বিস্তৃতি) জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়ে এক গুহায় দস্যুদলের সঞ্চিত সম্পদের সন্ধান পায় এবং সেই সম্পদের অল্প কিছু অংশ নিয়ে এসে নিজের অর্থাভাব মিটিয়ে ফেলে। আলিবাবার ধনী ভাই কাসেম (কমল) দাদার কাছ থেকে দস্যুদলের ধনভাণ্ডারের খবর জানতে পেরে আরও ধনী হওয়ার আশায় গুহায় যায় এবং দস্যুদলের হাতে ধরা পড়ে। দস্যুরা কাসেমকে হত্যা করে এবং আলিবাবার সন্ধান শুরু করে।

কাসেমের সুন্দরী ক্রীতদাসী মর্জিনা (সাধনা) এবং আলিবাবার পুত্র পরস্পরকে ভালোবাসে। মর্জিনা ও ক্রীতদাস আবদাল্লার (মধু) উপস্থিত বুদ্ধির জোরে দস্যুরা আলিবাবার সন্ধান পেলেও তার ক্ষতি করতে পারে না। সর্দার সমেত সমস্ত দস্যুদল মারা যায়। আলিবাবার ছেলের সাথে মর্জিনার মিলনের মধ্য দিয়ে ছবির সমাপ্তি।

১৮৯৭ সালে ক্ষীরোদপ্রসাদের লেখা এই মঞ্চসফল নাটক ঐ বছরই ক্ল্যাসিক থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়। আবদাল্লা ও মর্জিনার ভূমিকায় নৃপেনবাবু এবং কুসুমকুমারীর অভিনয় তৎকালীন সংবাদপত্রে প্রশংসিত হয়েছিল। হীরালাল সেন ঐ নাটকের কিছু দৃশ্যের চলচ্চিত্রায়ণ করেন এবং খণ্ডচিত্র হিসাবে এগুলি ক্ল্যাসিক থিয়েটারে প্রদর্শিত হত।

 

 

 

পরবর্তী কালে মধু বসু প্রতিষ্ঠিত ক্যালকাটা আর্ট প্লেয়ার্স এই জনপ্রিয় নাটকটি (১৯৩৪ সালে) মঞ্চস্থ করে। গীতিনাট্যের ধাঁচে লেখা এই নাটক ঐ সময়েও প্রভূত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক তিমিরবরণ এই নাটকটির সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। মধু বসু পরিচালিত এই ছবি তাকে এবং সাধনা বসুকে প্রভূত খ্যাতি এনে দেয় এবং ছবিটির সংগীতাংশও অসম্ভব জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৭৩ সালে একই কাহিনি অবলম্বনে শেখর চট্টোপাধ্যায়ের চিত্রনাট্য অবলম্বনে দীনেন গুপ্তর পরিচালনায় নির্মিত মর্জিনা আবদাল্লা ছবিটিও জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন সলিল চৌধুরী।

Leave a Comment