আলো চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি তরুণ মজুমদার পরিচালিত এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত ২০০৩ সালের একটি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র। কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছোটগল্প অবলম্বনে এই ছবিটি নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারএর জন্য “জনপ্রিয়তা ও সার্বিক মনোরঞ্জনের নিরিখে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র” বিভাগে মনোনীত হয়েছিল।
গল্পটি একজন নারীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। কুসংস্কার এবং অশিক্ষায় আচ্ছন্ন গ্রামের রমণীকুল প্রথমে আলোর প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ হলেও আলোর সহানুভূতিপূর্ণ ব্যবহারে তার প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং আলো একক চেষ্টায় গ্রামের মেয়েদের মধ্যে সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়।
আলো চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — প্রিজম এন্টারটেনমেন্ট।
- কাহিনি – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা—তরুণ মজুমদার।
- চিত্রগ্রহণ – শক্তি বন্দ্যোপাধ্যায়।
- শিল্প নির্দেশনা – সুরেশচন্দ্র চন্দ, জয়চন্দ্র চন্দ্র।
- সম্পাদনা – শক্তি রায়।
- সংগীত পরিচালনা – অরুন্ধতী শিবাজী।
আলো চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কুণাল মিত্র, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, নয়না দাস, ভারতী দেবী, জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, সৌমিলি বিশ্বাস, আনন্দী বসু, তা দত্ত চক্রবর্তী। নেপথ্য সংগীত শিবাজী চট্টোপাধ্যায়, অরুন্ধতী হোমচৌধুরী, শম্পা কুণ্ডু।

আলো চলচ্চিত্রের কাহিনি
বিভূতিভূষণের ‘বিভার দল’ অবলম্বনে এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন নারী, – নাম আলো (ঋতুপর্ণা)। আলো কলকাতা শহরের একটি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সংস্কৃতি মনস্ক মেয়ে, দেখতেও যেমন সুন্দর তেমনই তার গানের গলা, সকলের সাথে আছে তার ভদ্র ব্যবহার।
ঘটনাক্রমে তার সাথে বিয়ে হয় শুভঙ্কর (কুণাল) নামে এক অধ্যাপকের। শুভঙ্করের বাবা-মা নেই, সংসারে আছে তার একমাত্র ভাই (ভাস্বর)। আলো বিয়ের পর শুভঙ্করের গ্রামের বাড়ি আসে। আলো সিদ্ধান্ত নেয় সে এরপর থেকে গ্রামের বাড়িতেই থাকবে এবং শুভঙ্কর চাকরির সূত্রে কলকাতায় থাকলেও প্রতি সপ্তাহে গ্রামের বাড়িতে আসবে।
কুসংস্কার এবং অশিক্ষায় আচ্ছন্ন গ্রামের রমণীকুল প্রথমে আলোর প্রতি বিদ্বেষপরায়ণ হলেও আলোর সহানুভূতিপূর্ণ ব্যবহারে তার প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং আলো একক চেষ্টায় গ্রামের মেয়েদের মধ্যে সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়। সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে আলোর মৃত্যু হয়। গ্রামের মেয়েরা আলোর সন্তানকে বড় করে তোলার দায়িত্ব নেয়।
দীর্ঘদিন পর তরুণবাবুর এই ছবি মধ্যবিত্ত দর্শককে সপরিবারে চিত্রগৃহে নিয়ে আসে।
প্রকাশনা —
ছবির চিত্রনাট্য ২০০৬ সালে বৈশাখী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
আরও দেখুনঃ