ইতি শ্রীকান্ত চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি অঞ্জন দাস পরিচালিত ২০০৪ সালের বাংলা পিরিয়ড ড্রামা চলচ্চিত্র। ছবিটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর উপন্যাস “শ্রীকান্ত”(১৯১৭) অবলম্বনে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি ২০০৪ সালে আই. এফ. এফ. আই-এ ভারতীয় প্যানোরামা বিভাগের একটি অংশ ছিল।
শ্রীকান্ত তার যৌবনে বহু নারীর সান্নিধ্যে আসলেও ভালোবেসেছিল তার ছেলেবেলার খেলার সাথী রাজলক্ষ্মীকে। এক বারসে তার বাল্যবন্ধু গহরের সাথে বোষ্টমদের আখড়ায় কমললতার সাক্ষাৎ পায় এবং তার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়। কমললতা তাকে ডাকত নতুন গোঁসাই নামে। রাজলক্ষ্মীর সাথেও কমলের সাক্ষাৎ হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত কমল আশ্রম সহ সব বন্ধন ত্যাগ করে বৃন্দাবনের উদ্দেশে যাত্রা করে। ছবিটি ২০০৪ সালে ইন্ডিয়ান প্যানোরামায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
ইতি শ্রীকান্ত চলচ্চিত্র
- প্রযোজক — দীপক বাজাজ।
- কাহিনি – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
- চিত্রনাট্য — শান্তশ্রী সরকার, রাজশ্রী রায়।
- পরিচালনা – অঞ্জন দাস।
- সংগীত পরিচালনা — বিক্রম ঘোষ।
- চিত্রগ্রহণ — শীর্ষ রায়।
- সম্পাদনা —সঞ্জীব দত্ত।
ইতি শ্রীকান্ত চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
আদিল হোসেন, সোহা আলি খান, রীমা সেন, পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়।
ইতি শ্রীকান্ত চলচ্চিত্রের কাহিনি—
শ্রীকান্ত (আদিল) তার যৌবনে বহু নারীর সান্নিধ্যে আসলেও ভালোবেসেছিল তার ছেলেবেলার খেলার সাথী রাজলক্ষ্মীকে (রীমা)। এক বার পাটনায় রাজলক্ষ্মীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে সে তার বাল্যবন্ধু গহরের (পীযূষ) সাথে বোষ্টমদের আখড়ায় কমললতার (সোহা) সাক্ষাৎ পায় এবং তার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়। কমললতা তাকে ডাকত নতুন গোঁসাই নামে।
আখড়ায় থাকাকালীন কমললতার সান্নিধ্যে সে তার গুণমুগ্ধ হয়ে ওঠে, যে দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে কমল আজকের জীবনে এসে পৌঁছেছে তা জানতে পেরে শ্রীকান্ত তার কষ্টের শরিক হলেও কমল তাকে বেঁধে রাখার কোনো চেষ্টা করে না।। রাজলক্ষ্মীর সাথেও কমলের সাক্ষাৎ হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত কমল আশ্রম সহ সব বন্ধন ত্যাগ করে বৃন্দাবনের উদ্দেশে যাত্রা করে। ছবিটি ২০০৪ সালে ইন্ডিয়ান প্যানোরামায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

১৯১৭ সালে লেখা শরৎচন্দ্রের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস চার খণ্ডের শ্রীকান্ত অবলম্বনে এখনও পর্যন্ত ৬টি ছবি তৈরি হয়েছে। প্রথম ছবি রাজা ফিল্ম কোম্পানির প্রযোজনায় তৈরি শ্রীকান্ত (নির্বাক) ১৯৩০ সালে মুক্তি পেয়েছিল, ছবিটিতে শ্রীকান্তের ভূমিকায় অভিনয় করেন তারাকুমার ভাদুড়ী।
১৯৫৮ সালে নির্মিত রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত ছবিতে শ্রীকান্তর ভূমিকায় উত্তমকুমার এবং রাজলক্ষ্মীর ভূমিকায় সুচিত্রা সেন অভিনয় করেন এবং ছবিটি প্রযোজনা করেছিলেন কানন দেবী। পরের বছর কানন দেবীর প্রযোজনা সংস্থা শ্রীমতী পিকচার্সের তৈরি ইন্দ্রনাথ শ্রীকান্ত ও অন্ননাদি (১৯৫৯) ছবি মুক্তি পায় এবং ছবিটিতে অন্নদাদির ভূমিকায় কানন দেবী নিজে অভিনয় করেন।
১৯৬৫ সালে মুক্তি পায় শ্রীমতী পিকচার্স প্রযোজিত অভয়া ও শ্রীকান্ত ছবিটি। শ্রীকান্তর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বসন্ত চৌধুরী।
শ্রীকান্ত উপন্যাসের কমললতা আখ্যান নিয়ে নির্মিত ছবি কমললতা (১৯৬৯)। ছবিটি পরিচালনা করেন হরিসাধন এবং এই ছবিতে শ্রীকান্ত ও কমললতার ভূমিকায় অভিনয় করেন যথাক্রমে উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন।
আরও দেখুনঃ