একই অঙ্গে এত রূপ চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত এর কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন হরিসাধন দাশগুপ্ত।
হাসি এবং সৌমেন পরস্পরকে ভালোবেসেছিল। হঠাৎ সৌমেন নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। হাসির বিয়ে হয় হাজারিবাগে চৌধুরী পরিবারে। হাসি শ্বশুর বাড়ির সকলকে ভালোবেসে নিজের করে নিয়েছে। হঠাৎই হাসির শ্বশুর বাড়িতে উদয় হয় সৌমেন। সৌমেন হাসিকে তার সাথে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। শেষ পর্যন্ত সৌমেন চলে যায় এবং আত্মহত্যা করে হাসিকে চিরদিনের মতো মুক্তি দিয়ে যায়। হাসি রমেনকে তার পূর্ব ইতিহাস খুলে বলে। রমেন হাসির বিবাহ পূর্ব সম্পর্কের কথা জানতে পেরেও তাকে নিজের করে নেয়।
একই অঙ্গে এত রূপ চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — বিষয় চ্যাটার্জী ও হরিসাধন দাশগুপ্ত প্রোডাকসন্স।
- কাহিনি – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা – হরিসাধন দাশগুপ্ত।
- সংগীত পরিচালনা – আলি আকবর খান।
- চিত্রগ্রহণ — দীনেন গুপ্ত।
- শিল্প নির্দেশনা – বিজয় বসু।
- শব্দগ্রহণ বাণী দত্ত, শামসুন্দর ঘোষ।
- সম্পাদনা — তরুণ দত্ত।
- গীতিকার – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
একই অঙ্গে এত রূপ চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বসন্ত চৌধুরী, মাধবী মুখোপাধ্যায়, ছায়া দেবী, হরেন চট্টোপাধ্যায়, সুবল দত্ত, শেখর চট্টোপাধ্যায়, নিবারণ সেন, সুমিতা সান্যাল, দোলনচাপা দাশগুপ্ত, ডেন ম্যানুয়েল।
নেপথ্য কণ্ঠ —
প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমিত্রা সেন।
একই অঙ্গে এত রূপ চলচ্চিত্রের কাহিনি –
হাসি (মাধবী) এবং সৌমেন (সৌমিত্র) পরস্পরকে ভালোবেসেছিল। হঠাৎ সৌমেন নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এক বছরের মধ্যে সৌমেনের কোনো খবর পাওয়া যায় না। হাসির বাড়ির লোকেরা তার বিয়ে ঠিক করে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও হাসি না করতে পারে না। তার বিয়ে হয় হাজারিবাগে চৌধুরী পরিবারে।
হাসির শ্বশুর (হরেন), শাশুড়ি (ছায়া) এবং স্বামী রমেন (বসন্ত) সকলেই অত্যন্ত ভালো মানুষ। অল্প দিনের মধ্যেই তাঁরা হাসিকে আপন করে নেন। রমেন চাকরি করে কলকাতায়। ঠিক হয় কলকাতায় একটা বাড়ি ভাড়া করে রমেন হাসিকে নিয়ে যাবে, হাসিও শ্বশুর বাড়ির সকলকে ভালোবেসে নিজের করে নিয়েছে। হঠাৎই হাসির শ্বশুর বাড়িতে উদয় হয় সৌমেন, হাসি তাকে দেখে চমকে ওঠে। তার মনে হয় সৌমেন তার সব সুখ, তার বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব নষ্ট করে দেবার জন্যই এখানে এসেছে।

সৌমেন হাসিকে পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয় এবং তার সাথে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। হাসি সৌমেনকে বোঝাবার চেষ্টা করে, তাকে পায়ে ধরে অনুরোধ করে ফিরে যাওয়ার জন্য। সৌমেন কিছুই মানতে চায় না। শেষ পর্যন্ত সৌমেন বুঝতে পারে হাসি তাকে সত্যিই মন থেকে মুছে ফেলেছে এবং হাজারিবাগের চৌধুরীবাড়ির সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছে।
সৌমেন চলে যায় এবং আত্মহত্যা করে হাসিকে চিরদিনের মতো মুক্তি দিয়ে যায়। হাসি রমেনকে তার পূর্ব ইতিহাস খুলে বলে। রমেন হাসির বিবাহ পূর্ব সম্পর্কের কথা জানতে পেরেও তাকে নিজের করে নেয়। ছবিটি চিত্র সমালোচকদের পাশাপাশি সমঝদার দর্শকদেরও প্রশংসা অর্জন করে।
আরও দেখুনঃ