একটুকু বাসা চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন তরুণ মজুমদার।এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায়, রবি ঘোষ, অনুপকুমার, পাহাড়ী সান্যাল।
নৃত্যলাল বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই কড়া মেজাজের লোক। নৃত্যলালের ছেলে প্রতুল বাবাকে খুবই ভয় পায়। প্রতুল ভালোবেসে বাবার অনুমতি না নিয়েই অলকাকে বিয়ে করে। প্রতুলের ফাইনাল পরীক্ষা এই বছরেই, তাই নৃত্যলাল হুকুম দেন পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখা শোনা বন্ধ। প্রতুলের এক সময়ের সহপাঠী এবং অলকার জ্যাঠতুতো দাদা বাবু। অলকার মার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কৃষ্ণনগর নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাবু তাদের একটি হোটেলে নিয়ে তোলে। হোটেলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন হাস্যকর ঘটনার মধ্যদিয়ে ছবিটি শেষ হয়।
একটুকু বাসা চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — চিত্রদীপ।
- কাহিনি – মনোজ বসু।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা – তরুণ মজুমদার।
- চিত্রগ্রহণ—সৌমেন্দু রায়।
- শিল্প নির্দেশনা—বংশী চন্দ্রগুপ্ত।
- সম্পাদনা – দুলাল দত্ত।
- শব্দগ্রহণ — নৃপেন পাল, দেবেশ ঘোষ, সুজিত সরকার, সুনীল বসু।
- গীতিকার — মুকুল দত্ত।
একটুকু বাসা চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায়, রবি ঘোষ, অনুপকুমার, পাহাড়ী সান্যাল, অনুতা গুপ্তা, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়, রেণুকা রায়, গীতা দে, হরিধন মুখোপাধ্যায়, শীতল বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্যাম লাহা, কেতকী দত্ত, পদ্মা দেবী, অজিত চট্টোপাধ্যায়।
নেপথ্য সংগীত —
আরতি মুখোপাধ্যায়, সবিতারত দত্ত।
একটুকু বাসা চলচ্চিত্রের কাহিনি—
আলিপুর কোর্টের উকিল নৃত্যলাল বন্দ্যোপাধ্যায় (পাহাড়ী) খুবই কড়া মেজাজের লোক। তাঁর ভয়ে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খায়। নৃত্যলালের ছেলে প্রতুল (সৌমিত্র) বাবাকে খুবই ভয় পায়। যখন প্রতুল ভালোবেসে বাবার অনুমতি না নিয়েই অলকাকে (সন্ধ্যা) বিয়ে করে, সকলেই ভেবেছিল এবার একটা লঙ্কাকাণ্ড বাধবে।
সবাইকে অবাক করে নৃত্যলাল ও তার স্ত্রী মনোরমা (পদ্মা) অলকাকে পুত্রবধূ হিসাবে মেনে নেন, এমনকী নৃত্যলাল ও মনোরমার সব কাজেই এখন অলকার প্রয়োজন হয়। প্রতুলের ফাইনাল পরীক্ষা এই বছরেই, তাই নৃত্যলাল হুকুম দেন পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত প্রতুলকে চিলে কোঠার ঘরে গিয়ে থাকতে হবে এবং এখন থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখা শোনা বন্ধ।

সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর পক্ষে এই আদেশ মেনে নেওয়া কঠিন, তারা লুকোচুরি করে দেখা করার চেষ্টা করে। তাদের উদ্ধারকর্তা রূপে আবির্ভূত প্রতুলের এক সময়ের সহপাঠী এবং অলকার জ্যাঠতুতো দাদা বাবু (রবি)। অলকার মার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কৃষ্ণনগর নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাবু তাদের একটি হোটেলে নিয়ে তোলে।
কথা ছিল বাবু কদিন পরে আবার তাদের বাড়ি পৌঁছে দেবে। কৃষ্ণনগর পৌঁছে বাবুর পা ভাঙে অন্যদিকে প্রতুল ও অলকার গোপন কাণ্ডকারখানায় হোটেলের লোকেদের সন্দেহ হয় তারা বোধ হয় সত্যিকারের স্বামী-স্ত্রী নয়। এই নিয়েই হাসির ছবি একটুকু বাসা। শেষ পর্যন্ত হোটেল ম্যানেজার পুলিস ডাকে এবং সকল সন্দেহের অবসান হয় মধুর পরিসমাপ্তির মধ্য দিয়ে। ছবিটি তৎকালীন সময়ে বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করেছিল।
আরও দেখুনঃ
ছবির গল্পটাই শুধু পড়লাম। সিনেমাটির প্রিন্ট নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ছবিটা কোনোদিন দেখতে পারা যাবে না!