কবি চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন দেবকীকুমার বসু।
বংশী ডোমের বংশধর নিতাইচরণ ছেলেবেলা থেকেই স্বভাব কবি। কবিগানের আসরে কবিয়ালদের গান শুনে শুনে সে গানে সুর দেয়। রাজনের শ্যালিকা ঠাকুরঝি নিতাইকে ভালোবাসে। নিতাই বাড়ি ছেড়ে চলে আসে রাজনের কাছে। গ্রামে ঝুমুর গানের আসর বসে।ঝুমুর দলের মেয়ে বসন অসুস্থ হয়ে নিতাইয়ের কাছে আসে এবং তার বাড়িতে রাত্রে থেকে যায়। ঠাকুরঝি নিতাইকে ভুল বোঝে। নিতাই চণ্ডীপুর থেকে চলে যায়।
কবি চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — চিত্র- মায়া।
- কাহিনি, সংলাপ ও গীতরচনা – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
- প্রযোজনা, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা — দেবকীকুমার বসু।
- সংগীত পরিচালনা — অনিল বাগচী।
- চিত্রগ্রহণ- ধীরেন দে।
- শিল্প নির্দেশনা – শুভো মুখোপাধ্যায়।
- শব্দগ্রহণ নৃপেন্দ্র পাল।
- নৃতা পরিকল্পনা – প্রহ্লাদ দাস।
- সম্পাদনা – রবীন দাস।
কবি চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
রবীন মজুমদার, অনুভা গুপ্তা, নীতীশ মুখোপাধ্যায়, নীলিমা দাস, নিভাননী দেবী, রেবা দেবী, রাজলক্ষ্মী দেবী, তুলসী চক্রবর্তী, নৃপতি চট্টোপাধ্যায়, আশু বসু, হরিধন মুখোপাধ্যায়, গোকুল মুখোপাধ্যায়, কুমার মিত্র।

কবি চলচ্চিত্রে যারা কণ্ঠ দিয়েছেন —
রবীন মজুমদার, হরিধন মুখোপাধ্যায়, তুলসী চক্রবর্তী।
কবি চলচ্চিত্রের কাহিনি—
রাঢ় দেশের চণ্ডীতলা গ্রামে বংশী ডোমের বংশধর নিতাইচরণ (রবীন) ছেলেবেলা থেকেই স্বভাব কবি। কবিগানের আসরে কবিয়ালদের গান শুনে শুনে সে গানে সুর দেয়। চণ্ডীতলার মেলায় মহাদেব কবিয়ালের (তুলসী) সাথে তার গানের লড়াই হয় এবং মহাদেব নিতাইচরণের কাছে হার স্বীকার করে।
গ্রামের রেল স্টেশনের পয়েন্টসম্যান রাজনের শ্যালিকা ঠাকুরঝি (অনুতা) নিতাইকে ভালোবাসে। গ্রামের স্বজাতের লোকেরা কবিয়াল খ্যাতিতে নিতাইয়ের উপর ক্ষুব্ধ, নিতাই বাড়ি ছেড়ে চলে আসে রাজনের কাছে। গ্রামে ঝুমুর গানের আসর বসে। নিতাইয়ের সাথে ঝুমুর দলের গানের লড়াই-এ নিতাই জয়লাভ করে। ঝুমুর দলের মেয়ে বসন (নীলিমা) অসুস্থ হয়ে নিতাইয়ের কাছে আসে এবং তার বাড়িতে রাত্রে থেকে যায়। ঠাকুরঝি নিতাইকে ভুল বোঝে।
হঠাৎই ঝুমুর দলের কবিয়াল কাজ ছেড়ে চলে যায় এবং বসন নিতাইকে তাদের দলে কাজ করার জন্য ডেকে পাঠায়, নিতাই রাজনকে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চণ্ডীপুর থেকে চলে যায়।
ছবিটি ঐ সময়ে চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসা অর্জনের পাশাপাশি দর্শকদের আনুকূল লাভ করে। এই ছবির সংগীতাংশও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। ১৯৫৪ সালে দেবকী বসু এই ছবির হিন্দী পুনর্নির্মাণ করেন এবং ছবিটিতে গীতাবালী, নলিনী জয়ন্ত এবং ভরতভূষণ যথাক্রমে ঠাকুরঝি, বসন এবং নিতাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে ছবিটি বাংলায় পুনর্নির্মিত হয়।
আরও দেখুনঃ