কাল চলচ্চিত্রটি হল একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন নরেশচন্দ্র মিত্র। চলচ্চিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত।
প্রফেসর চ্যাটার্জী তাঁর পিতৃমাতৃহীন বোন তরলাকে অত্যন্ত স্নেহ করলেও তরলার বৌদি তাকে পছন্দ করে না। বৌদির ভাই লম্পট, মাতাল অভয়। তরলা অভয়কে প্রত্যাখ্যান করে দাদার প্রাক্তন ছাত্র রতনকে বিয়ে করে। অভয় কৌশলে রতনের খুড়তুতো বোন অনিমাকে বিয়ে করে । অভয় খালি বাড়িতে অনিমার নাম করে তরলাকে ডেকে পাঠায় এবং তার শ্রীলতা হানি করে খুন কারে মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়। অভয় ডাঃ সান্যালের কাছে চিকিৎসার জন্য আসে, সুযোগ পেয়ে তরলার কঙ্কাল প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য গলা টিপে অভয়কে হত্যা করে।
কাল চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা – মধুচক্র।
- প্রযোজক — শিশির মল্লিক।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা- নরেশচন্দ্র মিত্র।
- সংগীত পরিচালনা—প্রণব দে ।
- চিত্রগ্রহণ – প্রভাত দে।
- শব্দগ্রহণ – ক্ষেত্র ভট্টাচার্য।
- শিল্প নির্দেশনা—অরুণ বসু, ভোলানাথ ভট্টাচার্য।
- শব্দগ্রহণ – ক্ষেত্র ভট্টাচার্য।
- সম্পাদনা — রাজেন চৌধুরী।
- গীতিকার — কমলেশ বসু, প্রভাত বসু।
কাল চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
মলয়া সরকার, ধীরাজ ভট্টাচার্য, পরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেশচন্দ্র মিত্র, প্রভা দেবী, রবি রায়, গীতা সোম, জীবেন বসু, কালী সরকার, শিশির বটব্যাল, কেতকী দত্ত, ম্যালকম।

নেপথ্য সংগীত —
সুপ্রীতি ঘোষ, রমা দেবী।
কাল চলচ্চিত্রের কাহিনি—
প্রফেসর চ্যাটার্জী (নরেশ) গণিতের অধ্যাপক, সংসারে আছেন স্ত্রী (প্রভা) এবং অবিবাহিতা বোন তরলা (মলয়া)। প্রফেসর তাঁর পিতৃমাতৃহীন বোন তরলাকে অত্যন্ত স্নেহ করলেও বৌদি তাকে পছন্দ করে না। বৌদির ভাই লম্পট, মাতাল অভয় (ধীরাজ) তরলাকে বিয়ে করতে না চাইলেও তাকে শয্যাসঙ্গী করতে আগ্রহী।
তরলা অভয়কে প্রত্যাখ্যান করে দাদার প্রস্তাবমতো তাঁর প্রাক্তন ছাত্র রতনকে (পরেশ) বিয়ে করে। অভয় এই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে পারে না, কৌশলে রতনের খুড়তুতো বোন অনিমাকে (কেতকী) বিয়ে করে এবং বিভিন্ন কৌশলে রতনের সম্পত্তি গ্রাস করার চেষ্টা করে। তরলার বারংবার অনুরোধেও রতন অভয়ের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারে না।
অভয় খালি বাড়িতে অনিমার নাম করে তরলাকে ডেকে পাঠায় এবং তার শ্রীলতা হানি করে খুন কারে মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়। তরলার কোনো খবর না পেয়ে রতন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, বন্ধু থিয়সফিস্ট ডাঃ সান্যালের (শিশির) চিকিৎসাধীন থাকে।
হঠাৎই একদিন রতন গঙ্গার ঘাটে একটা কঙ্কাল পায়, এবং সেটি তরলার কঙ্কাল বলে চিহ্নিত করে, রতনের কাছে ঐ কঙ্কালটিই তরলা, অন্য সকলেও কঙ্কালের হাতের বালা দেখে সেটিকে তরলার কঙ্কাল হিসাবে সনাক্ত করে।
অভয় ডাঃ সান্যালের কাছে চিকিৎসার জন্য আসে, সুযোগ পেয়ে তরলার কঙ্কাল প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য গলা টিপে অভয়কে হত্যা করে। রহস্য কাহিনি হিসাবে ছবিটি তৎকালীন সময়ে সমালোচকদের সাথে সাথে দর্শকদেরও প্রশংসা অর্জন করে।
আরও দেখুনঃ