কুহেলি চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় বাংলা রহস্য চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন তরুণ মজুমদার অভিমন্যু ছদ্মনামে।
কুহেলি চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা- ভারত চিত্র।
- প্রযোজক তরুণ মজুমদার।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা – অভিমন্যু।
- কাহিনি ধীরেন দাশ।
- সংগীত পরিচালনা – হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
- চিত্রগ্রহণ – সৌমেন্দু রায়।
- শিল্প নির্দেশনা – সুনীতি মিত্র।
- সম্পাদনা – দুলাল দত্ত।
- শব্দগ্রহণ বাণী দত্ত, নৃপেন পাল, – সুজিত সরকার।
- গীতিকার—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
- নেপথ্য সংগীত — লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
কুহেলি চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায় (দ্বৈত ভূমিকায়), সুমিতা সান্যাল, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, ছায়া দেবী, শেখর চট্টোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত, রবি ঘোষ, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, তরুণ রায়, চুমকি রায়, মৃণাল মুখোপাধ্যায়, অমর মল্লিক, গৌর শী।
কুহেলি চলচ্চিত্রের কাহিনি—
পুলিস অফিসারের বোন সেবা (সুমিতা) ভালোবাসে প্রশান্তকে (শুভেন্দু)। আর্থিক প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও সেবা নিঝুমগড়ে রায়কুঠিতে গভর্নেসের কাজ নেয়। রায়কুঠির মালিক ছিলেন শঙ্করের (বিশ্বজিৎ) কাকা, নিজ পুত্র সত্যভূষণ (অজিতেশ) বিপথগামী বলে ছেলেকে বঞ্চিত করে ভাইপো শঙ্করের হাতে সব সঞ্চয় তুলে দেন। সত্যভূষণ বাড়ির পুরোনো কাজের লোক মোক্ষদার (ছায়া দেবী) সাহায্যে পিতার সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
অন্যদিকে ডঃ হরিহর চৌধুরী (সত্য) এই সম্পত্তি হস্তগত করার জন্য নিজের পালিতা কন্যা অপর্ণার (সন্ধ্যা) সাথে শঙ্করের বিয়ে দেন, ইচ্ছে ছিল অপর্ণার মাধ্যমে বিষ প্রয়োগে শঙ্করের মৃত্যু ঘটাবেন। কার্যক্ষেত্রে অপর্ণা শঙ্করকে ভালোবেসে বিষ প্রয়োগে অপারগ হয় এবং কিছুদিনের মধ্যেই একটি কন্যা রাণুর জন্ম দেয়।

হরিহর অপর্ণাকে গুলি করে হত্যা করে সেই দায় শঙ্করের উপর চাপানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। হুবহু অপর্ণার মতো দেখতে বারবনিতা চম্পার (সন্ধ্যা) সন্ধান পেয়ে হরিহর তাকে লুকিয়ে নিঝুমগড়ে নিয়ে আসেন এবং একটি ভৌতিক পরিবেশ তৈরি করে শঙ্করকে মানসিক রুগি হিসাবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন।
সত্যভূষণ শঙ্করের কন্যা রাণুকে অপহরণ করতে গিয়ে মোক্ষদার সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে এবং নিজের রিভলভারের গুলিতে মারা যায়।
সেবা দাদা ও প্রশান্তর সাহায্যে ডঃ হরিহর চৌধুরীর মুখোশ খুলে দেয়। জানা যায় অপর্ণা ও চম্পা যমজ বোন, ছোটবেলায় একটি আকস্মিক ঘটনায় দুজন পৃথক হয়ে যায়, অপর্ণা হরিহরের কাছে বড় হয় এবং চম্পা মতিলালের হেফাজতে বারবনিতায় পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত চম্পা নিঝুমগড় ছেড়ে চলে যেতে চাইলেও রাণু তাকে যেতে দেয় না, শঙ্করও রানুর এই চেষ্টাকে নীরবে সম্মতি জানায়।
অভিমন্যু ছদ্মনামের আড়ালে এই ছবির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেন তরুণ মজুমদার। ছবিটি তৎকালীন সময়ে জনপ্রিয় হয়েছিল।
আরও দেখুনঃ