গঙ্গা চলচ্চিত্র

গঙ্গা চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- এই চলচ্চিত্রটি সমরেশ বসুর কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন রাজেন তরফদার। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন নিরঞ্জন রায়, আনেশ মুখোপাধ্যায়, রুমা গঙ্গোপাধ্যায়, সীতা মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায় প্রমুখ।

পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের জীবন সংগ্রামের কাহিনি অবলম্বনে এই ছবিতে তাদের ধর্মীয় আচার, সামাজিক উৎসব, তাদের দৈনন্দিন জীবনকে তথ্যচিত্রের ধাঁচে চিত্রায়িত করা হয়েছে। বিভিন্ন খণ্ড দৃশ্যের মধ্য দিয়ে ছবির চরিত্রগুলিকে প্রতিষ্ঠায় সিনেমার ভাষার যথার্থ প্রয়োগ লক্ষ করা যায়।

 

গঙ্গা চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

গঙ্গা চলচ্চিত্র

  • প্রযোজনা — সিনে আর্ট প্রোডাকসন।
  • চিত্রনাট্য ও পরিচালনা — রাজেন তরফদার।
  • কাহিনি— সমরেশ বসু।
  • সংগীত পরিচালনা ও গীত রচনা – সলিল চৌধুরী।
  • চিত্রগ্রহণ – দীনেন গুপ্ত।
  • শিল্প নির্দেশনা—রবি চট্টোপাধ্যায়।
  • সম্পাদনা — হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়।
  • শব্দগ্রহণ — বি. এন. শর্মা, দুর্গাদাস মিত্র, অবনী চট্টোপাধ্যায়, সত্যেন চট্টোপাধ্যায়।
  • নেপথ্য কন্ঠ – মান্না দে, নির্মল চৌধুরী, সবিতা চট্টোপাধ্যায়, পঙ্কজ মিত্র, রত্না দেবী ও সম্প্রদায়

গঙ্গা চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —

নিরঞ্জন রায়, আনেশ মুখোপাধ্যায়, রুমা গঙ্গোপাধ্যায়, সীতা মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায়, রঞ্জন মুখোপাধ্যায়, প্রমথনাথ ঘোষ, তুলসী লাহিড়ী, সুরুচি সেনগুপ্ত, সাধনা রায়চৌধুরী।

 

কালীপ্রসাদ ঘোষ । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

গঙ্গা চলচ্চিত্রের কাহিনি—

ইছামতী নদীর পাড়ে মৎস্যজীবীদের গ্রাম। গ্রামের নাম ধলতিতে। এই গ্রামে বছরে নয় মাস পুরুষ মানুষ জলে ভাসে, মাছ ধরাই তাদের পেশা। গ্রামের জোয়ান ছেলেদের নেতা বিলাস (নিরঞ্জন) পাঁচু মালো (জ্ঞানেশ) র ভাইপো। পাঁচু মালো বর্তমানে এই গ্রামের কর্তাব্যক্তি। গ্রামের লোক নৌকো বাইচে বিলাসের দলের জয়ে গর্বিত। গ্রামের মেয়ে গামলী পাঁচি (সন্ধ্যা) বিলাসকে ভালোবাসে।

পাঁচুর ইচ্ছে গামলীর সাথে বিলাসের বিয়ে হয়, সে ঠিক করে এ বছর মাছ ধরার মরশুম শেষ হলে বিলাসের সাথে গামলীর বিয়ে দেবে। পাঁচু মালোর নেতৃত্বে পুরুষেরা মরশুমের শুরুতে মাছ ধরার আয়োজনে বেরিয়ে পড়ে। তাদের মহাজন দামিনী (সীতা) জানায় এখন থেকে তার নাতনি হিমি (রুমা) তার ব্যবসা দেখাশোনা করবে, হিমির সাথেই তাদের কথা বলতে হয়।

হিমি প্রথমে বিলাস ও তার দলকে অবহেলা করলেও বিলাসের ব্যবহারে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। অতিরিক্ত পরিশ্রমে পাঁচু অসুস্থ হয়ে পড়ে। হিমি পাঁচুর সেবা করতে চায়, পাঁচু প্রথমে হিমিকে অবিশ্বাস করলেও পরে বিলাসের প্রতি তার আকর্ষণের কথা বুঝতে পারে এবং তার প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন হয়ে পড়ে। একদিন ঝড়জলের রাত্রে পাঁচু মারা যায়। বিলাস দলের নেতৃত্ব নিজের হাতে তুলে নেয় এবং মাছ ধরার জন্য সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়।

ছবিটি চলচ্চিত্র সমালোচকদের পাশাপাশি সমঝদার দর্শকদের প্রশংসা লাভ করেছিল।

 

 

Google News গঙ্গা চলচ্চিত্র
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

পুরস্কার—

১৯৬০ সালে রাষ্ট্রপতির (সার্টিফিকেট অফ মেরিট) পুরস্কারে ভূষিত হয়।

প্রকাশনা—

ছবির চিত্রনাট্য ‘বৈশাখী’ পত্রিকার রাজেন তরফদার সংখ্যায় ( সংখ্যা ২১, ২০১১-১২) প্রকাশিত হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment