গল্প হলেও সত্যি চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- এটি তপন সিনহা পরিচালিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৬৬ সালে মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রতে বিখ্যাত অভিনেতা রবি ঘোষ মুখ্য-চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটির কাহিনিকার পরিচালক তপন সিনহা স্বয়ং। তার এই গল্পের উপর ভিত্তি করে ছবিটি নির্মান করা হয়।
গল্প হলেও সত্যি চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — নিউ থিয়েটার্স (একজিবিটার্স) প্রাইভেট লিমিটেড।
- প্রযোজক – দিলীপ সরকার।
- কাহিনি, চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও সংগীত — তপন সিং।
- চিত্রগ্রহণ — বিমল মুখোপাধ্যায়।
- শিল্প নির্দেশনা – সুনীতি মিত্র।
- সম্পাদনা— সুবোধ রায়।
- শব্দগ্রহণ – অতুল চট্টোপাধ্যায়, ইন্দু অধিকারী।
গল্প হলেও সত্যি চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
যোগেশ চট্টোপাধ্যায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, বঙ্কিম ঘোষ, প্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অজয় গঙ্গোপাধ্যায়, পার্থ মুখোপাধ্যায়, মমতাজ আহমেদ, বলীন সোম, রুদ্রপ্রসাদ, সেনগুপ্ত, চিন্ময় রায়, সাধন সেনগুপ্ত, অরুণ রায়, তপন ভট্টাচার্য, নির্মল চট্টোপাধ্যায়, হাসি মজুমদার, স্বদেশ চক্রবর্তী, মৃণাল মুখোপাধ্যায়, ছায়া দেবী, ভারতী দেবী, কৃষ্ণা বসু, জ্যোৎস্না মুখোপাধ্যায়, রমা দাস।
গল্প হলেও সত্যি চলচ্চিত্রের কাহিনি—
হালদারদের একান্নবর্তী পরিবারের কর্তার (যোগেশ) বয়স আশির কোঠায়। সংসারে আছে চাকুরিরত বড় ছেলে (প্রসাদ), তার স্ত্রী (ছায়া), সেজ ছেলে (বঙ্কিম), তার স্ত্রী (ভারতী), ন ছেলে (ভানু) সংগীতশিল্পী, বড়ছেলের পুত্র, পুত্রবধূ এবং মৃত সেজ ছেলের কন্যা কৃষ্ণা। পরিবারের সকলেই নিজেকে নিয়ে এবং নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। প্রধান সমস্যা কাজের লোকের কিছুতেই লোক টেকে না, পরিবারের সকলে একে অন্যকে দোষারোপ করে। এই অবস্থায় ঐ পরিবারে চাকর-কাম- রাঁধুনি হিসাবে ধনঞ্জয়ের (রবি) প্রবেশ।
তার ব্যবহার এবং কর্মতৎপরতায় সকলেই মুগ্ধ, সংসারে শান্তি বিরাজমান, পরিবারের সকলেই একে অন্যের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, যেখানে আগে একে অন্যকে দোষারোপ করতেই অভ্যস্ত ছিল। সকলের মধ্যে শুভ বুদ্ধির জাগরণ ঘটিয়ে বিবেকরূপী ধনঞ্জয়ের প্রস্থান। প্রধানত হাসির মোড়কে পরিবেশিত হলেও এই ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয় বাংলা ছবির সম্পদ, বিশেষ করে ধনঞ্জয়ের ভূমিকায় রবি ঘোষের অনবদ্য অভিনয় মনে রাখার মতো।
হিন্দীতে ছবিটির রিমেক করেছিলেন হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়। ‘বাবুর্চি’ নামক এই ছবিতে রাজেশ খান্না ধনঞ্জয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন।

পুরস্কার—
১৯৬৬ সালে ছবিটি আঞ্চলিক ভাষায় (বাংলা) নির্মিত শ্রেষ্ঠ ছবি হিসাবে ভারতের রাষ্ট্রপতির সম্মান লাভ করে।
আরও দেখুনঃ