গৌর দাস এর জন্ম কলকাতায়, আই. এ. পাস করার পর প্রথাগত শিক্ষা অসম্পূর্ণ রেখেই রেডিও ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে কারিগরি ট্রেনিং নেন। ১৯৩২ সালে ম্যাডান থিয়েটার্সে যোগ দেন সহকারী শব্দযন্ত্রী হিসাবে।
গৌর দাস
স্বাধীন ভাবে প্রথম শব্দগ্রহণ ইন্দ্ৰ মুভিটোন প্রযোজিত এবং চারু রায় পরিচালিত পথিক ছবিতে। ইন্দ্র মুভিটোন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ১৯৩৯ সালে কাজ ছেড়ে দেন এবং মাদ্রাজে চলে যান ও সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম কর্পোরেশনে কাজ নেন। পরবর্তী কালে ই মুভিটোন নাম পরিবর্তন করে হয় ইন্দ্রপুরী স্টুডিওজ। জার্মান শব্দযন্ত্রীরাও কাজ ছেড়ে দেয়। যে সব উল্লেখযোগ্য পরিচালকের সাথে তিনি কাজ করেছেন তাঁরা হলেন নীরেন লাহিড়ী, হেন্দ্রপুরী স্টুডিও কর্তৃপক্ষ গৌরবাবুর হাতে শব্দ বিভাগের দায়িত্ব অর্পণ করেন। চলচ্চিত্র জীবনে দেবকী বসু, প্রফুল্ল রায়, অমর মল্লিক প্রভৃতি।
বাংলা ছাড়াও হিন্দী, পাঞ্জাবী, তামিল এবং তেলুগু ছবির শব্দ গ্রহণ করেছেন।
চলচ্চিত্রপঞ্জি :
- ১৯৩৯ পথিক:
- ১৯৪১ মায়ের প্রাণ, রাসপূর্ণিমা, শকুন্তলা, শ্রীরাধা, উত্তরায়ণ
- ১৯৪২ গরমিল, মিলন, পাষাণ দেবতা,
- ১৯৪৩ দম্পতি, দ্বন্দ্ব, নীলাঙ্গুরীয়, পোষ্যপুত্র, সহধর্মিণী, সমাধান:
- ১৯৪৪ সন্ধি
- ১৯৪৫ ভাবীকাল, বন্দিতা
- ১৯৪৬ নতুন বৌ:
- ১৯৪৭ চন্দ্রশেখর, ১৯৪৮ জয়যাত্রা, নারীর রূপ, প্রিয়তমা, সাধারণ মেয়ে, শ্যামলের স্বপ্ন:
- ১৯৪৯ দাসীপুত্র, দেবী চৌধুরাণী, যার যেথা ঘর, নিরুদ্দেশ, সিংহদ্বার,
- ১৯৫০ গরবিনী, মানদণ্ড, সন্ধ্যা বেলার রূপকথা:
- ১৯৫১ ভক্ত রঘুনাথ, দুর্গেশনন্দিনী, শঙ্খবাদী,
- ১৯৫২ স্কুলের শেষে নতুন পাঠশালা, নীলদর্পণ, রাণী ভবানী, শ্যামলী
- ১৯৫৩ যোগ-বিয়োগ, লাখ টাকা, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, রোশেনারা, শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ,
- ১৯৫৪ অঙ্কুশ, এটম বম্, বিক্রম উর্ধ্বশী, মা অন্নপূর্ণা, মণি আর মানিক:
- ১৯৫৫ হ্রদ, কথা কও, শ্রীকৃষ্ণ সুদামা
- ১৯৫৬ আদর্শ হিন্দু হোটেল, অসমাপ্ত, ভাদুড়ীমশাই, ভোলামাষ্টার, চলাচল, ধূলার ধরণী, সাবধান, সিথির সিঁদুর:
- ১৯৫৮ বাঘাযতীন, মেঘমল্লার:
- ১৯৬০ গরীবের মেয়ে।

আরও দেখুনঃ