ছায়াসূর্য চলচ্চিত্র নিয়ে আজকের আলাপ। এই ছবিটি প্রযোজনা করেছিলেন আর ভি. বনশল। আশাপূর্ণা দেবীর কাহিনি নিয়ে সম্প্রসারণ করে ছবিটি তৈরি করেন পার্থপ্রতিম চৌধুরী। তিনিই চিত্রনাট্য, অতিরিক্ত সংলাপ ও পরিচালনা করেন।
ছায়াসূর্য চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান
- প্রযোজনা- আর ভি. বনশল।
- কাহিনি – আশাপূর্ণা দেবী।
- কাহিনি সম্প্রসারণ, চিত্রনাট্য, অতিরিক্ত সংলাপ ও পরিচালনা – পার্থপ্রতিম চৌধুরী।
- সংগীত পরিচালনা — ভি বালসারা।
- চিত্রগ্রহণ বিশু চক্রবর্তী।
- শিল্প নির্দেশনা – কার্তিক বসু।
- শব্দগ্রহণ অতুল চট্টোপাধ্যায়, শ্যামসুন্দর ঘোষ।
- সম্পাদনা—তরুণ দত্ত।
অভিনয় –
শর্মিলা ঠাকুর, কল্যাণী ঘোষ, মলিনা দেবী, অনুভা গুপ্তা, গীতা দে, মিতা চট্টোপাধ্যায়, পাহাড়ী সান্যাল, বিকাশ রায়, নির্মলকুমার, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়।
কাহিনি—
এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ঘেঁটু (শর্মিলা)। বাড়িতে আছে ছোট বোন মল্লিকা (কল্যাণী), বাবা (পাহাড়ী), মা (মলিনা), মেজকাকা (বিকাশ), মেজ কাকিমা (অনুভা) এবং ছোটকাকা সুরঞ্জন (নির্মলকুমার)। ঘেঁটু ছোটবেলা থেকেই এক টমবয় টাইপের মেয়ে, পড়াশোনায় তার মন নেই। বাড়িতে ছোটকাকা ছাড়া আর কেউ তাকে বুঝবার চেষ্টা করে না। মল্লিকাকে নিয়ে বাড়ির সকলেই খুশি। সে খুব বাধ্য, ঘেঁটু মোটেই বাধ্য নয়।
সুরঞ্জান এই পরিবেশ থেকে ফেঁটুকে মুক্তি দেয়, তাকে সঙ্গে করে নিজের কাজের জায়গায় নিয়ে যায়। ঘেঁটু ভালোবেসেছিল পিন্টুকে (অরুণ)। পিন্টু শিক্ষিত হলেও উপযুক্ত কাজ না পেয়ে কারখানায় শ্রমিকের কাজ নিতে বাধ্য হয়। ঘেঁটুর পারিবারিক অবস্থার কথা পিন্টু জানত, তাকে স্ত্রী হিসাবে মর্যাদার সাথে গ্রহণ করতে হলে একটা উপযুক্ত চাকরি প্রয়োজন।

সে উপযুক্ত চাকরির জন্য চেষ্টা করত। যখন পিন্টু উপযুক্ত চাকরি পেল তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তার চাকরির চিঠি যখন আসে তার আগেই দীর্ঘ দিন রোগে ভুগে এক রকম বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়।
ঘেঁটু তার সব দুঃখ, সব বেদনা ছোটকাকার কাছে ব্যক্ত করে। এই ছবিতে ঘেঁটুর ভূমিকায় শর্মিলা ঠাকুর অসাধারণ অভিনয় করেন। ছবিটি চলচ্চিত্র সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি সমজদার দর্শকদেরও প্রশংসা অর্জন করে।
আরও দেখুনঃ