জিঘাংসা চলচ্চিত্র (১৯৫১)

জিঘাংসা চলচ্চিত্র ১৯৫১ সালে প্রকাশিত একটি বাংলা রহস্য চলচ্চিত্র যা স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের বিখ্যাত গোয়েন্দা কাহিনী বাস্কারভিলের কুকুর-এর ছায়ায় নির্মিত। এই সিনেমাটির পরিচালক অজয় কর এবং সংগীত পরিচালক ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।

 

জিঘাংসা চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

জিঘাংসা চলচ্চিত্র

  • প্রযোজনা — চয়নিকা চিত্রমন্দির, কিনে ক্রাফটস।
  • আলোকচিত্রশিল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা- অজয় কর।
  • সংগীত পরিচালনা – হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
  • সংলাপ – মনোরঞ্জন ঘোষ, হীরেন নাথ।
  • চিত্রগ্রহণ — বিমল মুখোপাধ্যায়।
  • শিল্প নির্দেশনা – ধীরেন নাগ।
  • শব্দগ্রহণ – বাণী দত্ত, তপন সিংহ।
  • সম্পাদনা— সন্তোষ গঙ্গোপাধ্যায়।
  • গীতিকার— গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
  • নৃত্যপরিকল্পনা – ললিতকুমার

 

অভিনয়

মঞ্জু দে, শিশির বটব্যাল, রমলা চৌধুরী, গৌতম মুখোপাধ্যায়, কল্পনা সরকার, বীরেন চট্টোপাধ্যায়, সুষমা ঘোষ, ধীরাজ দাস, পুষ্প দেবী, কমল মিত্র, বিকাশ রায়, কানু বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্তোষ সিংহ, অবনী গঙ্গোপাধ্যায়, পান্নালাল চক্রবর্তী, সরসী চট্টোপাধ্যায়।

 

জিঘাংসা চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

কাহিনি:

রত্নগড়ের মহারাজা চন্দ্রকান্ত রায়ের মৃতদেহ পাওয়া যায় তাঁরই জমিদারির অন্তর্গত একটি জলার ধারে, পাশে দেখতে পাওয়া যায় বিরাট বড় বড় কয়েকটি পায়ের ছাপ, কিন্তু হত্যাকারীর কোনো খবর পাওয়া যায় না।

প্রবাদ আছে চার পুরুষ আগে কোনো অত্যাচারী রাজা এক সুন্দরী নারীর উপর অত্যাচার করতে গিয়ে জলার ধারেই ঐ নারীর ছুরিকাঘাতে মারা যান এবং ঐ মহিলাও আত্মহত্যা করেন। তার পর থেকেই ঐ রাজা এবং ঐ মহিলার প্রেতাত্মা জলার ধারে ঘুরে বেড়ায়। অমাবস্যার রাতে অনেক সময় তাদের দেখা মেলে।

রাজ পরিবারের চিকিৎসক ডাঃ পালিতের কাছ থেকে বিখ্যাত গোয়েন্দা স্মরজিৎ (শিশির) এবং তার সহকারী বিমল (গৌতম) বিষয়টি জানতে পারে। চন্দ্রকান্ত রায়ের বর্তমান উত্তরাধিকারী সূর্যকান্তের (বীরেন) অনুরোধে স্মরজিৎ ও বিমল রত্নগড়ে আসে। কিছুদিনের মধ্যেই আবার আততায়ীর আক্রমণে সূর্যকান্তের মৃত্যু হয়।

 

Google News জিঘাংসা চলচ্চিত্র (১৯৫১)
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

উদ্ভিদ বিদ্যায় বিশেষজ্ঞ আনন্দরামের (বিকাশ) সাথে স্মরজিতের দেখা হয়। স্মরজিৎ জানতে পারে যে আনন্দরাম চন্দ্রকান্তের বৈমাত্রেয় ভাই এবং কয়েকটি কারণে চন্দ্রকান্ত আনন্দরামকে তার জমিদারি থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত স্মরজিৎ বুঝতে পারে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আনন্দরামই চক্রান্ত করে চন্দ্রকান্ত ও সূর্যকান্তকে খুন করেছে। আনন্দরামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তৎকালীন সময়ে ছবিটি বিপুল জনপ্রিয়তার পাশাপাশি সমালোচকদেরও প্রশংসা অর্জন করেছিল।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment