জীবন মরণ চলচ্চিত্র (১৯৮৩) / রঙিন/১৫ রীল/৩৫ মিমি. একটি ছবি। এই ছবিটি প্রযোজনা সংস্থা ছিল নিউ থিয়েটার্স। চিত্রনাট্য, পরিচালনা এবং চিত্রগ্রহণ করেন নীতিন বসু।
জীবন মরণ চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা- নিউ থিয়েটার্স।
- চিত্রনাট্য, পরিচালনা এবং চিত্রগ্রহণ — নীতিন বসু।
- গল্প ও সংলাপ – শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, বিনয় চট্টোপাধ্যায়।
- শিল্প নির্দেশনা পি. এন. রায়, সৌরেন সেন।
- সংগীত পরিচালনা – পঙ্কজ মল্লিক।
- শব্দগ্রহণ — মুকুল বসু।
- সম্পাদনা — সুবোধ মিত্র।
- গীতিকার-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অজয় ভট্টাচার্য, চন্ডীদাস
অভিনয় :
কে. এল. সায়গল, লীলা দেশাই, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (বড়), ইন্দু মুখোপাধ্যায়, অমর মল্লিক, মনোরমা দেবী, নিভাননী দেবী, সতা মুখার্জি, শৈলেন চৌধুরী। নেপথ্য সংগীত — কুন্দনলাল সায়গল, রাজেশ্বরী দত্ত।
কাহিনি:
যক্ষ্মা নিবারণী তহবিলের আর্থিক অনুদানে তৈরি এই ছবির নায়ক মোহন (সায়গল) রেডিওতে গান গায়। গীতা (লীলা) ও মোহন পরস্পরকে ভালোবাসে, যদিও গীতার মা (মনোরমা) এই সম্পর্ক মানতে চান নি। বিজয় (ভানু, বড়) মোহনের বন্ধু, জানতে পায় মোহনের যক্ষ্মা হয়েছে, সে মোহনকে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেয়। বিজয়ের পরামর্শে মোহন স্যানেটোরিয়ামে চিকিৎসা করাতে যায়। যাওয়ার আগে সে গীতার কাছে তার রোগ সম্পর্কে জানিয়ে বিদায় নেয়।
গীতা মোহনের রোগ সম্পর্কে জানলেও মোহনের সুস্থ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে চায়। বিজয়ের সাথে গীতার বিয়ের সম্বন্ধ করেন গীতার মা। গীতা ও মোহনের সম্পর্কের কথা বিজয়ের কাছে গোপন করা হয়। বিজয়ও এই বিয়েতে রাজি হয়। টি. বি. স্যানেটোরিয়ামের ডাক্তার (শৈলেন) মোহনের রোগ নিরাময়ে সমর্থ হন। অন্য দিকে গীতা ও বিজয় মোহনের সেরে ওঠার সংবাদ পায়। বিয়ের দিন ঘটনাক্রমে গীতা মোহনকে স্বামী হিসাবে গ্রহণ করতে চায়, বিজয়ও গীতা- মোহনের সম্পর্কের কথা জানতে পারে।

এই ছবির হিন্দী দুষমন ১৯৩৮ সালে তৈরি হয়। তৎকালীন সমাজে যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে অহেতুক ভীতি এবং সেরে যাওয়ার পরও রোগীকে একঘরে করে রাখার প্রবণতার বিরুদ্ধে এই ছবি সেই সময়ের একটি সাহসী পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল।
আরও দেখুনঃ