ঝড় চলচ্চিত্র নিয়ে আজকের আলোচনা। ছবিটি প্রযোজনা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছিলেন উৎপল দত্ত।
ঝড় চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
- কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা- উৎপল দত্ত।
- সংগীত পরিচালনা – প্রশান্ত ভট্টাচার্য।
- চিত্রগ্রহণ – দীনেন গুপ্ত।
- শিল্প নির্দেশনা – সূর্য চট্টোপাধ্যায়।
- সম্পাদনা – হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়।
- গীতরচনা – হেনরী ডিরোজিও, উৎপল দত্ত, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
অভিনয় :
সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়, উজ্জ্বল সেনগুপ্ত, সাগরিকা অধিকারী, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, মৃণাল ঘোষ, শোভা সেন, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত, রমাপ্রসাদ বণিক, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজকুমার বিশ্বাস, সমীর মজুমদার।
নেপথ্য কন্ঠ :
অনুপ ঘোষাল, অনীতা মজুমদার, শ্যামল ভট্টাচার্য।
কাহিনি:
ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলায় নবজাগরণ, ডিরোজিও প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ এবং সমসাময়িক ঘটনাবলির পটভূমিকায় এই ছবিটি তৈরি হয়েছে। সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে গিয়ে সরস্বতী (সুমিত্রা) নামে একটি মহিলাকে ডিরোজিও (উজ্জ্বল) নিজের গৃহে আশ্রয় দেন। রাজ্য রাধাকান্ত দেবের (উৎপল) নেতৃত্বে হিন্দু সমাজপতিরা এর বিরুদ্ধাচরণ করেন।
ডিরোজিওর শিষ্যরা হিন্দু সমাজপতিদের রক্তচক্ষুকে অগ্রাহ্য করে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। ডিরোজিওর প্রিয় শিষ্য দ্বারিককে (কৌশিক) ডিরোজিওর বিরুদ্ধে মিথ্যে সাক্ষ্য দিতে প্ররোচিত করা হয়। ডিরোজিওকে তাঁর চাকরি থেকে অর্থাৎ তারই প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ থেকে পদচ্যুত করা হয়।

এ সব সত্ত্বেও হিন্দু সমাজপতিরা ব্রিটিশ রাজশক্তির সহায়তায় ডিরোজিওকে নতি স্বীকারে বাধ্য করতে পারে নি। মৃত্যুশয্যায় ডিরোজিও জানতে পারেন হিন্দু সমাজপতিদের প্রেরিত একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা তাঁর বাসগৃহটি জ্বালিয়ে দিয়েছে। রাধানাথ শিকদার (রাজকুমার), যদুপতি ভট্টাচার্য (রবি ঘোষ), নাহ শর্মা (সমীর) সহ অন্যান্য অনুগামীরা সব বাধা অতিক্রম করে তাঁর শেষ শয্যার পাশে উপস্থিত হয়, এবং তাঁর আরক কাজ শেষ করার অঙ্গীকার করে।
ছবিটি ১৯৭৯-৮০ সালে ইন্ডিয়ান প্যানোরামায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। সমঝদার দর্শক সহ চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করতে পারলেও ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য পায় নি।
আরও দেখুনঃ