টনসিল চলচ্চিত্র নিয়ে আজকের আলোচনা। এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন বাণী চিত্রম। চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা করেছিলেন তপন সিংহ।
টনসিল চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা – বাণী চিত্রম।
- কাহিনি – বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়।
- চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা- তপন সিংহ।
- সংগীত পরিচালনা — শৈলেশ রায়।
- চিত্রগ্রহণ – অনিল বন্দ্যোপাধ্যায়।
- শিল্প নির্দেশনা -সত্যেন রায়চৌধুরী।
- সম্পাদনা— সুবোধ রায়।
- শব্দগ্রহণ – জে. ডি. ইরানী, ক্ষেত্র ভট্টাচার্য।
- গীতিকার — শিশির সেন, পণ্ডিত ভূষণ।
অভিনয়:
কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায়, অনুপকুমার, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, অতনুকুমার, শ্যাম লাহা, নৃপতি চট্টোপাধ্যায়, পীযূষ বসু, হরিমোহন বসু, কেষ্ট দাস, আশু বসু, পরিতোষ রায়, অনু দত্ত, ননী মজুমদার, যমুনা সিংহ, মাধুরী মুখোপাধ্যায় (মাধবী), নিভাননী দেবী, করবী বন্দ্যোপাধ্যায়, নিতু বসু, কিটি মোজেস্।
কাহিনি:
গন্শা (কালী), ঘোনা (জহর), গোরাচাঁদ (অনুপ), রাজেন (ভানু), ত্রিলোচন (অতনু) এবং কে. গুপ্ত (সত্য) ছয় বন্ধু। ঘোনা, ত্রিলোচন, এবং গোরাচাঁদের আগেই বিয়ে হয়েছিল এবং কিছুদিন আগে গনশারও বিয়ে হয়েছে পুঁটুরানীর সাথে। বাকি শুধু রাজেন এবং কে গুপ্ত।
রাজেনদের পাড়ায় বাড়ি নেয় ছায়াময়ী (মাধুরী) ও তার দিদিমা (নিভাননী)। রাজেন ছায়াময়ীর প্রেমে পড়ে, এবং অনেক ফন্দিফিকির করে তারা ছায়ার দিদিমার আস্থা অর্জন করে। একটাই সমস্যা ছায়াময়ী অত্যন্ত রোগা, সকলে মিলে টনিক খাইয়ে তাকে মোটা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। টনসিল অপারেশন করলে রোগা থেকে মোটা হওয়া যায় জেনে তারা দিদিমাকে জপিয়ে ছায়াময়ীকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

টনসিল অপারেশনের পর ছায়াময়ী এতটাই মোটা হয় যে রাজেন আর তাকে (যমুনা) বিয়ে করতে চায় না, শেষ পর্যন্ত কে. গুপ্তর সাথে ছায়াময়ীর বিয়েতে এই ছবিটি শেষ হয়। বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের ‘বরযাত্রী’ অবলম্বনে আগেই সত্যেন বসুর পরিচালনায় ছবি নির্মিত হয়েছিল। গনশা ও পুঁটুরানীর বিবাহের অংশ নিয়ে এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫১সালে।
তপন সিংহ পরিচালিত এই ছবি বাণিজ্যিক সাফল্য লাভ করে, অভিনয়, চিত্রনাট্য এবং দৃশ্যগ্রহণে মুনশিয়ানার কারণে এই ছবি দর্শকদের সাথে সাথে সমালোচকদেরও প্রশংসা লাভ করেছিল।
আরও দেখুনঃ