ঠগিনী চলচ্চিত্র নিয়ে আজকের আলোচনা। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছিল ছায়া ও ছবি প্রোডাকসন্স। চিত্রনাট্য,সংলাপ ও পরিচালনা করেছিলেন তরুণ মজুমদার।
ঠগিনী চলচ্চিত্র
প্রযোজনা:
- ছায়া ও ছবি প্রোডাকসন্স।
প্রযোজক:
- সর্বাণী ভট্টাচার্য
- চিত্রা ভট্টাচার্য
চিত্রনাট্য,সংলাপ ও পরিচালনা:
- তরুণ মজুমদার।
কাহিনি:
- সুবোধ ঘোষ।
সংগীত পরিচালনা:
- হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
চিত্রগ্রহণ:
- শক্তি বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিল্প নির্দেশনা:
- সুনীতি মিত্র।
সম্পাদনা:
- দুলাল দত্ত।
শব্দগ্রহণ:
- বাণী দত্ত
- অনিল নন্দন
- সৌমেন চট্টোপাধ্যায়
- ইন্দু অধিকারী
গীতিকার:
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
- তরুণ মজুমদার
অভিনয় :
- সন্ধ্যা রায়
- অনুপকুমার
- উৎপল দত্ত
- রবি ঘোষ
- অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়
- চিন্ময় রায়
- শেখর চট্টোপাধ্যায়
- অশোক মিত্র
- হরিধন মুখোপাধ্যায়
- তপেন চট্টোপাধ্যায়
- জুঁই বন্দ্যোপাধ্যায়
- শোভা সেন
- সীমা দাস
নেপথ্য সংগীত:
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখোপাধ্যায়, সুশীল মল্লিক, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাহিনি:
হরিপদ (উৎপল) একটি অফিসের কর্মচারী, সংসারে আছে তার কন্যা সুধা (সন্ধ্যা)। পরোপকারী হরিপদ একসময় বন্ধুকে (রবি) একটি বিপদ থেকে রক্ষা করে এবং তার পর থেকেই বন্ধু হরিপদর সঙ্গে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ।
সুধার বিয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গিয়ে হরিপদ যখন প্রায় সর্বস্বান্ত, তখনই মূর্তিমান শনির মতো উদয় হয় হরিপদর ছেলেবেলার বন্ধু রাজেন (শেখর)। রাজেন মিথ্যা কথা বলে সুধার বিয়ের জন্য রাখা বরপণের টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। হরিপদ অফিসের টাকা তছরুপের দায়ে জেলে যায়, সুধারও বিয়ে ভেঙে যায়। জেলে বসেই হরিপদ জানতে পারে সে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত।
মানুষের প্রতি আস্থা হরিপদর আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সর্বস্বান্ত অবস্থায় জেল থেকে বেরিয়ে সে চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য জালিয়াতির আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সুধার পরিচয় কখনও হয় সর্বস্বান্ত রিফিউজি বাবার মাহারা বোবা মেয়ে, কখনও ভাগ্য বিপর্যস্ত জমিদারের সংগীতপটু মেয়ে, আবার কখনও গরিবের অন্ধ মেয়ে।

এই পরিচয়ের সাহায্যে শাঁসালো শিকার পাকড়াও করে বিয়ের ব্যবস্থা হয় এবং ফুলশয্যার রাতে স্বামীকে সর্বস্বান্ত করে বধূর পলায়ন, এইভাবে একে একে বড়বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মন্মথ সাহা (অশোক), বোলপুরের সোনার দোকানদার বিধু স্যাকরা (চিন্ময়) এবং বর্ধমানের উঠতি পলিটিসিয়ান বীরেশ পাল (অজিতেশ) তার শিকার হয়।
এই সময় বন্ধুর মাধ্যমে রাজেনের ছেলে অভির (অনুপ) খবর পাওয়া যায়। হরিপদ, বন্ধু, সুধা তিনজনই প্রতিশোধ নিতে চায়, সুধা রূপের জালে অভিকে জড়িয়ে ফেলে বিয়ে করে এবং নিজেই অভির ভালোবাসার জালে জড়িয়ে পড়ে। একটা মধুর প্রতিশোধের মাধ্যমে ছবি শেষ হয়।
আরও দেখুনঃ