ডাক্তার চলচ্চিত্র

ডাক্তার চলচ্চিত্র নিয়ে আজকের আলোচনা। এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছিল নিউ থিয়েটার্স। শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় এর কাহিনী অবলম্বনে পরিচালনা করেছিলেন ফণী মজুমদার।

 

ডাক্তার চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

ডাক্তার চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

  • প্রযোজনা — নিউ থিয়েটার্স।
  • কাহিনি – শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়।
  • চিত্রনাট্য ও পরিচালনা – ফণী মজুমদার।
  • সংগীত পরিচালনা – পঙ্কজকুমার মল্লিক।
  • গীতিকার – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অজয় ভট্টাচার্য।
  • চিত্রগ্রহণ – ইউসুফ মুলজী।
  • শব্দগ্রহণ লোকেন বসু।
  • সম্পাদনা – হরিদাস মহলানবীশ।

অভিনয়—

অহীন্দ্র চৌধুরী, পঙ্কজকুমার মল্লিক, জ্যোতিপ্রকাশ, অমর মল্লিক, শৈলেন চৌধুরী, ইন্দু মুখোপাধ্যায়, পান্না দেবী, ভারতী দেবী, কমলা ঝরিয়া, হরিসুন্দরী দেবী, টোনা রায়, বোকেন চট্টোপাধ্যায়, অরবিন্দ সেন, নরেশ বসু, হরিমোহন বসু, অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায়, কেনারাম মুখোপাধ্যায়, কানু বন্দ্যোপাধ্যায়, সুকুমার পাল, বীরেন দাস, দ্বিজেন গঙ্গোপাধ্যায়।

 

ডাক্তার চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

নেপথ্য সংগীত —

পঙ্কজকুমার মল্লিক ভারতী দেবী।

কাহিনি—

রায়ধাম গ্রামের জমিদার রক্ষণশীল মানসিকতার সীতানাথ রায়চৌধুরী (অহীন্দ্র)। তার পুত্র অমরনাথ (পঙ্কজ) স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত, সে জাত-পাত মানে না। ডাক্তারি পাস করে অমরনাথ সংকল্প নেয় দাতব্য চিকিৎসালয় তৈরি করে জাতিধর্মবর্ণনির্বিশেষে গরিব মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করবে, বিশেষ করে গ্রাম থেকে কলেরার মতো মহামারী দূর করে সে গ্রামগুলিকে সাধারণের বাসযোগ্য করে তুলবে।

কলেরায় আক্রান্ত বেণী চক্রবর্তীকে সুস্থ করে তুলতে না পারলেও মৃত্যু পথযাত্রী বেণীর অনুরোধে সে তার কন্যা মায়াকে (পান্না) স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করে। সীতানাথ পুত্রের এই বিয়েকে স্বীকৃতি দেন নি, ফলে অমর স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। একটি ছোট হাসপাতাল তৈরি করে গরিব মানুষের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। কিছুদিনের মধ্যেই মায়া একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে মারা যায়।

 

Google News ডাক্তার চলচ্চিত্র
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

অমরনাথ সন্তান নিয়ে অসুবিধার মধ্যে থাকলেও পিতার কাছে ফিরে যায় নি। সীতানাথের পুরোনো কাজের লোক দয়াল (অমর) এক সময় অমরনাথকে বড় করে তুলেছিল। সে এই খবর পেয়ে অমরনাথের কাছ থেকে শিশুটিকে নিয়ে সীতানাথের কাছে তার পরিচয় গোপন করে আত্মীয়ের সন্তান পরিচয়ে নিজের উদ্যোগে তাকে বড় করে তোলে।

২৫ বছর পর সোমনাথ (জ্যোতিপ্রকাশ) ডাক্তারি পাস করে চাকরির সন্ধান করছে জানতে পেরে অমরনাথ নিজ পরিচয় গোপন রেখে তাকে ভর্ৎসনা করেন এবং দরিদ্র মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে অনুরোধ করেন। সোমনাথ তার প্রেমিকা শিবানীকে (ভারতী) নিয়ে অমরনাথের হাসপাতালে যায় এবং দরিদ্র মানুষের সেবায় তাঁর প্রচেষ্টায় উৎসাহিত হয়। সোমনাথ ঐ হাসপাতালের কাছাকাছি একটি ওষুধ কারখানা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। শেষ পর্যন্ত দয়ালের উদ্যোগে তিন প্রজন্ম একত্রিত হয় এবং সোমনাথ পিতা এবং দাদুর পরিচয় জানতে পারে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment