তাহাদের কথা চলচ্চিত্রটি বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত পরিচালিত ১৯৯২ সালের পুরস্কার বিজয়ী বাংলা ভাষার ভারতীয় সিনেমা। এতে অভিনয় করেন মিঠুন চক্রবর্তী যিনি ১৯৯৩ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এবং চলচ্চিত্রটি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ সিনেমা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
শিবনাথ চরিত্রে রূপদানকারী মিঠুন চক্রবর্তী এই ছবিতে একজন আন্দামান ফেরত সাম্যবাদী বিপ্লবী, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন মুক্তিযোদ্ধা।
তাহাদের কথা চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা – ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।
- কাহিনি – কমলকুমার মজুমদার।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা- বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত।
- সংগীত পরিচালনা — বিশ্বদেব দাশগুপ্ত।
- চিত্রগ্রহণ— বেনু।
- শিল্প নির্দেশনা নিখিল সেনগুপ্ত।
- সম্পাদনা— উজ্জ্বল নন্দী।
- শব্দগ্রহণ — জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, অনুপ মুখোপাধ্যায়।
অভিনয় –
মিঠুন চক্রবর্তী অনসূয়া মজুমদার, দীপঙ্কর দে, সুব্রত নন্দী, অশোক মুখোপাধ্যায়, দেবর্ষি চক্রবর্তী, বিদিশা ভট্টাচার্য।
কাহিনি –
স্বাধীনতা সংগ্রামী শিবনাথ মুখোপাধ্যায় (মিঠুন) স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন ভারতবর্ষের। দেশভাগ এবং একদল ধান্দাবাজ রাজনৈতিক নেতার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে তাঁর মোহভঙ্গ হয়, তিনি মানসিক অসুস্থতার কারণে মানসিক হাসপাতালে থাকতে বাধ্য হন।
শিবনাথের জেল জীবনের শেষ দিকে পুলিসের গুপ্তচর বিপিন গুপ্ত জেলখানায় বিপ্লবীদের কর্মকাণ্ড জানার জন্য অপরাধী সেজে জেলে যায়। মুক্তি পাওয়ার পর বিপিন শিবনাথের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে দেশ সেবক প্রমাণ করে নির্বাচনে জয়লাভের উচ্চাশা পোষণ করে।
শিবনাথের স্ত্রী হেমাঙ্গিনী, কন্যা অন্নপূর্ণা এবং পুত্র জ্যোতিকে নিয়ে দীর্ঘদিন অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। শিবনাথের মুক্তির পর হেমাঙ্গিনী বিপিনের সহযোগিতায় সুদিনের স্বপ্ন দেখেন। শিবনাথ সহমত হতে পারেন না। হেমাঙ্গিনী, অন্নপূর্ণা এবং বিপিন শিবনাথকে পাগল প্রতিপন্ন করে আবার মানসিক হাসপাতালে দেওয়ার চেষ্টা করে। জ্যোতি কিন্তু তার বাবাকে পাগল মনে করে না, তার সতর্কবার্তায় শিবনাথ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
অন্যদিকে আবদুল্লা নামে এক জাদুকর গ্রামের মানুষদের তার জাদুর প্রভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে। শিবনাথকেও সে আচ্ছন্ন করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এবং শিবনাথের হাতেই তার মৃত্যু হয়। চক্রান্তকারীরা সাময়িক ভাবে সফল হয়, শিবনাথকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর দৃশ্যায়নের মধ্য দিয়ে ছবি শেষ হয়।

পুরস্কার —
১৯৯২ সালে বাংলা ভাষায় নির্মিত শ্রেষ্ঠ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার লাভ এবং মিঠুন চক্রবর্তী শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন।
আরও দেখুনঃ