দিলীপ মুখোপাধ্যায় জন্ম ভাগলপুরে। প্রথাগত শিক্ষা শুরু হয় সেখানেই। ভাগলপুরের দুর্গাচরণ হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং টি.এন.টি. কলেজ থেকে স্নাতক হন। কলকাতায় এসে শ্রীমতী পিকচার্সে সহকারী হিসাবে কাজ শুরু করেন। ঐ সময়ে তরুণ মজুমদার এবং শচীন মুখোপাধ্যায়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা হয় এবং একত্রে ‘যাত্রিক’ নামে পরিচালক গোষ্ঠী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন।
দিলীপ মুখোপাধ্যায়
অভিনেতা হিসাবে প্রথম কাজ হরিদাস ভট্টাচার্য পরিচালিত আশা (১৯৫৬) ছবিতে। সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে তিরিশটিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
অভিনীত উল্লেখযোগ্য চরিত্র সঞ্জীব (কাচের স্বর্গ, ১৯৬২), প্রণব (কুমারী মন, ১৯৬২), ইন্দ্রনীল (উত্তর ফাল্গুনী, ১৯৬৩), অতীশ (শেষ প্রহর, ১৯৬৩); পিকলু (তাহলে, ১৯৬৪), অমল (স্বর্গ হতে বিদায়, ১৯৬৪); তাপস (থানা থেকে আসছি, ১৯৬৫), অজিত (আকাশ ছোঁয়া, ১৯৬৭); বিজিত (প্রস্তর স্বাক্ষর, ১৯৬৭), নব্যেন্দু (এখানে পিঞ্জর, ১৯৭১); সুরজিৎ (ছিন্নপত্র, ১৯৭২); অজিতেশ (নগর দর্পণে, ১৯৭৫) প্রভৃতি।
হরিদাস ভট্টাচার্য ছাড়াও অসিত সেন, মৃণাল সেন, গুরু বাগচী, হীরেন নাগ, চিত্ত বসু, রাজেন তরফদার, পিনাকী মুখোপাধ্যায়, অজিত গঙ্গোপাধ্যায়, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় প্রভৃতি চলচ্চিত্রকারের সাথে কাজ করেছেন।
তরুণ মজুমদার ১৯৬৪ সালে যাত্রিক গোষ্ঠী ছাড়বার পরও দিলীপবাবু ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত যাত্রিক গোষ্ঠীর কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। যাত্রিক গোষ্ঠী ছাড়াও নিজের একক পরিচালনায় তৈরি করেন ফাদার (১৯৮০) এবং ব্যবধান (১৯৯০) ছবি।
অভিনয় এবং পরিচালনার বাইরে প্রযোজনা করেন সন্ধ্যা দীপের শিখা (১৯৬৪)। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন হরিদাস ভট্টাচার্য। বিভিন্ন সময়ে নায়কের ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি নেগেটিভ চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গে দুরদর্শন ধারাবাহিকেও অভিনয় করতেন।

চলচ্চিত্রপঞ্জি —
- ১৯৫৬ আশা,
- ১৯৬১ স্বরলিপি, পুনশ্চ,
- ১৯৬২ কাচের স্বর্গ, কুমারী মন:
- ১৯৬৩ দ্বীপের নাম টিয়ারং, শেষ প্রহর, বিনিময়, উত্তর ফাল্গুনী,
- ১৯৬৪ তাহলে, সপ্তর্ষি, স্বর্গ হতে বিদায়, অশান্ত ঘূর্ণী, সন্ধ্যা দীপের শিখা,
- ১৯৬৫ থানা থেকে আসছি,
- ১৯৬৬ গৃহ সন্ধানে,
- ১৯৬৭ আকাশ ছোঁয়া, প্রস্তর স্বাক্ষর:
- ১৯৭১ এখানে পিঞ্জর,
- ১৯৭২ মেমসাহেব, ছিন্নপত্র,
- ১৯৭৩ নকল সোনা, রাতের রজনীগন্ধা, এপার ওপার:
- ১৯৭৫ নগর দর্পণে, প্রিয় বান্ধবী,
- ১৯৭৬ মোমবাতি
- ১৯৭৮ গোলাপ বৌ,
- ১৯৭৯ প্রতিবিম্ব,
- ১৯৮১ ফাদার’,
- ১৯৯০ ব্যবধান।
আরও দেখুনঃ