অগ্রগামী গোষ্ঠী

অগ্রগামী গোষ্ঠী ছিল ভারতীয় চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের একটি দল। এরা যৌথভাবে চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। এই ঘটনাটি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য অনন্য একটি ঘটনা। ১৯৪৬ সালে গঠিত অগ্রদূত মূল ইউনিটে প্রাথমিকভাবে বিভূতি লাহা (ক্যামেরাম্যান), যতীন দত্ত (শব্দ গ্রহণ), সাইলেন ঘোষাল (ল্যাব ওয়ার্ক), নিতাই ভট্টাচার্য (দৃশ্যকল্পকার) এবং বিমল ঘোষ (উৎপাদন) কে নিয়ে গঠিত হয়েছিল। ওই গোষ্ঠী ১৯৮০ দশকের শেষ পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। অগ্রদূত থেকে বেরিয়ে এসে অগ্রগামী গোষ্ঠী যৌথ ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন অগ্রদূতের তিন কুশলী সহকারী – সরোজ দে, নিশীথ বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্বতী শংকর দে। এঁরা সকলেই আগে অগ্রদূত গোষ্ঠীতে সহপরিচালক হিসাবে কাজ করতেন।

 

অগ্রগামী গোষ্ঠী

 

অগ্রগামী গোষ্ঠী

১৯৫৬ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত অগ্রগামী দশটি ছবি পরিচালনা করে। এদের প্রথম ছবি নিতাই ভট্টাচার্যের কাহিনি অবলম্বনে সাগরিকা (১৯৫৬)। উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন অভিনীত এই ছবি এবং পরবর্তী ছবি শিল্পী (১৯৫৬) বাণিজ্যসফল ছবি হিসাবে অগ্রগামীকে প্রতিষ্ঠা এনে দেয়।

 

 

অগ্রগামী পরিচালিত তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে ডাক হরকরা (১৯৫৮) এবং রবীন্দ্রনাথের কাহিনি অবলম্বনে নিশীথে (১৯৬৩) ছবি দুটি রাষ্ট্রপতির পুরস্কারে (সার্টিফিকেট অব মেরিট) ভূষিত হয়।

এদের শেষ ছবি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে স্বাতী (১৯৭৭) দর্শকদের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই গোষ্ঠীর অন্তর্গত বিমল ভৌমিক নারায়ণ চক্রবর্তীর সাথে যুগ্মভাবে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে দিবারাত্রির কাব্য (১৯৭০) পরিচালনা করেন এবং ছবিটি বছরের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ছবি হিসাবে রাষ্ট্রপতির সম্মান লাভ করে।

মাধবী মুখোপাধ্যায় সেরা অভিনেত্রীর সম্মানে ভূষিত হন। পরবর্তী কালে এই গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য সরোজ দে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রযোজনায় নির্মাণ করেন কোনি (১৯৮৬)। এই ছবিটিও বছরের সেরা ছবি হিসাবে ভারতের রাষ্ট্রপতির পুরস্কার (স্বর্ণকমল) লাভ করে।

 

google news , গুগল নিউজ
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

চলচ্চিত্ৰপঞ্জি- —

১৯৫৬ : সাগরিকা, শিল্পী; ১৯৫৮ : ডাক হরকরা; ১৯৫৯ : হেডমাষ্টার; ১৯৬২ : কান্না; ১৯৬৩ : নিশীথে; ১৯৬৬ : শঙ্খবেলা; ১৯৭০ : বিলম্বিত লয়;-১৯৭৪ : যে যেখানে দাঁড়িয়ে; ১৯৭৭ : স্বাতী।

 

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment