অজয় দাসঃ জন্ম কলকাতায় বৌবাজারে। ছোটবেলায় মায়ের কাছে সংগীত শিক্ষা শুরু হয়। মায়ের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে প্রথাগত শিক্ষায় ছেদ ঘটে এবং ছোট ভাই অভিনেতা ও পরিচালক সুখেন দাসের সাথে অনাথ আশ্রমে চলে যেতে বাধ্য হন। মূলত স্বশিক্ষিত সংগীত পরিচালক অজয় দাস পরবর্তী সময়ে নির্মল সরকার এবং চিন্ময় লাহিড়ীর কাছে সংগীত শিক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন।
অজয় দাস
অজয় দাস সংগীত পরিচালক হিসাবে প্রথম কাজ অমল দত্ত পরিচালিত পান্না হীরে চুণী (১৯৬৯) ছবিতে। এই ছবির সংগীতাংশর জনপ্রিয়তা তাঁকে প্রতিষ্ঠা এনে দেয়। সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে সত্তরটিরও বেশি ছবির সংগীত পরি-চালক এই শিল্পীর বহু ছবিই সংগীতাংশের জন্য বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল।
অমল দত্ত ছাড়াও পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়, তরুণ মজুমদার, গুরু বাগচী, অজিত গঙ্গোপাধ্যায়, সুখেন দাস, সুজিত গুহ, স্বপন সাহা প্রভৃতি পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন। সুখেন দাস পরিচালিত প্রায় সব ছবিরই সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সংগীত পরিচালনায় নির্মিত বহু ছবিতেই কিশোরকুমার নেপথ্য সংগীতে অংশ নিয়েছেন। সংগীত পরিচালনা ছাড়াও ছবির জন্য গান লিখেছেন এবং দুটি ছবিতে ‘নেপথ্য সংগীতেও অংশ নিয়েছেন।
চলচ্চিত্রপঞ্জি—
১৯৬৯ : পান্না হীরে চুণী; ১৯৭১ : সোনা বৌদি; ১৯৭২ : নয়া মিছিল, অর্চনা, বহুরূপী; ১৯৭৩ : অচেনা অতিথি; ১৯৭৪ : সাধু যুধিষ্ঠিরের কড়চা; ১৯৭৭ : নয়ন; ১৯৭৮ : চারমূর্তি, মান অভিমান, সিংহদ্বার, টুসি; ১৯৮০ : বিচার, রাজা সাহেব, রাজনন্দিনী; ১৯৮১ : ন্যায় অন্যায়, সোনায় সোহাগা, প্রতিশোধ; ১৯৮২ : মমতা, সঙ্কল্প, স্বর্ণমহল; ১৯৮৩ : জীবনমরণ, সমাপ্তি; ১৯৮৪ : দাদামণি, পারাবত প্রিয়া, সমর্পিতা; ১৯৮৫ : আহুতি, মিলনতিথি; ১৯৮৬ : অভিমান, লালমহল, অমরকণ্টক, অনুরাগের ছোঁয়া, পরিণতি, শাপমুক্তি; ১৯৮৭ : অর্পণ, পাপপুণ্য; ১৯৮৮ : মা এক মন্দির, প্রতিপক্ষ, দেনাপাওনা, শুধু তোমারি; ১৯৮৯ : অভিসার, আশা, বিদায়, জজ সাহেব, নিশিবধূ, শ্রীমতী হংসরাজ; ১৯৯০ : ব্যবধান, ঘরের বৌ, জোয়ার ভাঁটা, ন্যায়দণ্ড; ১৯৯১ : কথা দিলাম, মান মর্যাদা, শুভ কামনা, সজনী গো সজনী; ১৯৯২ : পেন্নাম কলকাতা, পিতৃঋণ; ১৯৯৩ : অর্জুন, তপস্যা, দান প্রতিদান, কাঁচের পৃথিবী, মান সম্মান, সুখের স্বর্গ; ১৯৯৫ : মশাল, প্রতিধ্বনি, উজান; ১৯৯৭ : মান অপমান সপ্তমী; ১৯৯৮ : অপরাজিতা, সাগর বন্যা; ১৯৯৯ : চাওয়া পাওয়া; ২০০১ : শেষ বিচার; ২০০৩ : বিশ্বাসঘাতক; ২০০৪ : সিঁদুরের বন্ধন ।

আরও দেখুনঃ