অজিত দাস: সত্তরের দশকের মধ্যবর্তী সময় থেকে বাংলা ছবিতে একদল নতুন পরিচালকের আবির্ভাবে বাংলা চলচ্চিত্র আবারও সমৃদ্ধ হল। এদের প্রায় সকলেই সক্রিয় ভাবে না হলেও ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এবং এদের মধ্যে কারো কারো তথ্যচিত্র বা স্বল্পদৈর্ঘ্য চিত্র তৈরি করার অভিজ্ঞতা ছিল। নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, গৌতম ঘোষ, উৎপলেন্দু চক্রবর্তী, অপর্ণা সেন, বিপ্লব রায়চৌধুরী, সৈকত ভট্টাচার্য ইত্যাদি পরিচালকরা তাঁদের প্রথম ছবিতেই এই শিল্পের প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতার প্রমাণ রাখলেন।
আশির দশকের মধ্যবর্তী সময় থেকে বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে কাহিনি নির্বাচন থেকে শুরু করে ছবির নাম নির্বাচন, সংলাপ, গান, কাহিনি বিন্যাস, অভিনয় ইত্যাদি প্রায় সবক্ষেত্রেই একটা অদ্ভুত পরিবর্তন এসেছে।
অজিত দাস
অজিত দাসের জন্ম পূর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশ) বরিশালে। বরিশাল থেকে আই.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ায় প্রথাগত শিক্ষায় ছেদ ঘটে। অল্পবয়সেই রাজবন্দী হিসাবে দীর্ঘ কারাবাস এমনকী দ্বীপান্তরও হয়।
কালী ফিল্মস স্টুডিওতে কিছুদিন সহকারী সম্পাদক হিসাবে কাজ করেন। স্বাধীন ভাবে প্রথম কাজ শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত রং বেরং (১৯৪৮) ছবিতে। চল্লিশ বছরের চলচ্চিত্র জীবনে মাত্র চব্বিশটি বাংলা ছবিতে সম্পাদনার কাজ করেছেন। শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় ছাড়াও যেসব উল্লেখযোগ্য পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন তাঁরা হলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র, সতীশ দাশগুপ্ত, দেবনারায়ণ গুপ্ত, পিনাকী মুখোপাধ্যায় প্রভৃতি।
সতীশ দাশগুপ্ত পরিচালিত মরণের পরে (১৯৫৪) ছবিটি তিনিই প্রযোজনা করেছিলেন । তাঁর সম্পাদনায় শেষ ছবি রবি বসু পরিচালিত বিলে নরেন (১৯৮৮)। বাংলা ছাড়াও কয়েকটি হিন্দী এবং নেপালী ছবিও সম্পাদনা করেছেন তিনি।

চলচ্চিত্রপঞ্জি- —
১৯৪৮ : রং বেরং; ১৯৪৯ : কুয়াশা; ১৯৫১ : আনন্দমঠ; ১৯৫২ : রঘু ডাকাত, নীলদর্পণ, আবু হোসেন; ১৯৫৩ : বিষবৃক্ষ, রোশেনারা, বাস্তব; ১৯৫৪ : বাংলার নারী, রিফিউজি; ১৯৫৫ : ছোটো বৌ, ঝড়ের পরে; ১৯৫৮ : ও আমার দেশের মাটি; ১৯৬১: মধ্যরাতের তারা; ১৯৬৪ : এরা কারা, বিংশতি জননী; ১৯৬৬ : পাড়ি; ১৯৭২ : জনতার আদালত; ১৯৭৪ : বিসর্জন; ১৯৭৭ : শ্ৰীশ্ৰী মালক্ষ্মী; ১৯৭৮ : আগুনের ফুলকি; ১৯৮০ : জয় মা মঙ্গলচণ্ডী; ১৯৮৮ : বিলে নরেন। ‘
আরও দেখুনঃ