অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়: জন্ম ২৪ পরগণা জেলায় পানিহাটিতে। প্রবেশিকা পাস করে কিছুদিন স্টেনোগ্রাফার হিসাবে কাজ করেছেন।
অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়
অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটবেলা থেকেই নাটকের প্রতি আকর্ষণ তাঁকে অভিনয়ের জীবনে নিয়ে আসে। প্রথম দিকে বিভিন্ন নাট্যদলের সাথে অভিনয় করলেও ১৯৭২ সালে নিজের নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রধানত নাট্যব্যক্তিত্ব হলেও প্রায় ৬০টি ছবিতে চরিত্রাভিনেতা হিসাবে কাজ করেছেন। প্রথম কাজ বিনয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত শান্তি (১৯৪৬) ছবিতে। পরবর্তী কালে মধু বসু, নরেশ মিত্র, চিত্ত বসু, সতীশ দাশগুপ্ত, পিনাকী মুখোপাধ্যায়, মৃণাল সেন, সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, তরুণ মজুমদার প্রভৃতি চলচ্চিত্রকারের সাথে কাজ করেছেন।
ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত নাগরিক (১৯৭৭) ছবিতে সাগর, সত্যজিৎ রায় পরিচালিত শাখাপ্রশাখা-য় (১৯৯২) আনন্দমোহন এবং সন্দীপ রায় পরিচালিত গুপী বাঘা ফিরে এলো (১৯৯২) ছবিতে ব্রহ্মানন্দর ভূমিকায় তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। অজিতবাবু ১৯৪৬ সালে শ্রীরংগমে শিশিরকুমার ভাদুড়ীর সান্নিধ্যে আসেন। দীর্ঘদিন পেশাদার রঙ্গমঞ্চে অভিনয়ের সাথে চলচ্চিত্রে এবং দূরদর্শন ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন।

চলচ্চিত্রপঞ্জি—
১৯৪৬ : শান্তি, প্রতিমা; ১৯৪৭ : পূর্বরাগ; ১৯৪৮ : স্যার শঙ্করনাথ উমার প্রেম, পদ্মা প্রমত্তা নদী; ১৯৪৯ : আশাবরী; ১৯৫০ : জীবন সৈকতে, মাইকেল মধুসূদন; ১৯৫১ : নিয়তি, পণ্ডিতমশাই; ১৯৫২ : কৃষ্ণকান্তের উইল, বিন্দুর ছেলে, অনিবার্য; ১৯৫৩ : মহারাজা নন্দকুমার; ১৯৫৪ : নরমেধযজ্ঞ, সাদা কালো, মরণের পরে; ১৯৫৫ : দস্যু মোহন; ১৯৫৬ : সতী অহল্যা, অসবর্ণা, পাপ ও পাপী, সাধক রামপ্রসাদ, মদনমোহন, নবজন্ম; ১৯৫৭ : রাত একটা, খেলা ভাঙার খেলা, গড়ের মাঠ; ১৯৫৮ : মা শীতলা, নাগিনী কন্যার কাহিনী, ধূমকেতু, কংস; ১৯৫৯ : লালু ভুলু, ঠাকুর হরিদাস; ১৯৬০ : ক্ষুধা, শহরের ইতিকথা; ১৯৬১ : নেকলেস; ১৯৬২ : ভগিনী নিবেদিতা, সঞ্চারিণী, বধূ, ধূপছায়া; ১৯৬৩ : উত্তর ফাল্গুনী; ১৯৬৪ : এরা কারা, মহাতীর্থ কালীঘাট; ১৯৬৮ : আদ্যাশক্তি মহামায়া; ১৯৭০ : প্রথম কদম ফুল, নল দময়ন্তী; ১৯৭১ : সোনা বৌদি, এখনই, নিশান, ত্রিনয়নী; ১৯৭২ : হার মানা হার; ১৯৭৩ : আলো হাসি গান, শেষ পৃষ্ঠায় দেখুন, এপার ওপার; ১৯৭৪ : ঠগিনী; ১৯৭৭ : নাগরিক, শ্রীশ্রী মালক্ষ্মী; ১৯৭৮ : করুণাময়ী, সূর্যকন্যা; ১৯৭৯ : যত মত তত পথ, মাদার; ১৯৮২ : মাটির স্বর্গ; ১৯৯০ : সতী; ১৯৯২ : গুপী বাঘা ফিরে এলো, আগন্তুক, শাখাপ্রশাখা, ইন্দ্রজিৎ।
আরও দেখুনঃ