অনিল বাগচীর জন্ম মেদিনীপুর জেলায়। সংগীত শিক্ষায় হাতেখড়ি পিতা হরিপ্রসন্ন বাগচীর কাছে। পরবর্তী কালে গণেশপ্রসাদ মিশ্র, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী, অনাদি দস্তিদার, কাজী নজরুল প্রভৃতির কাছেও সংগীত শিক্ষা নিয়েছেন। বেতারে প্রথম সংগীত পরিবেশন ১৯২৭ সালে এবং ১৯৩০ সালে তাঁর প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়।
অনিল বাগচী
অনিল বাগচী চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসাবে প্রথম কাজ অপূর্ব মিত্র পরিচালিত সন্ধি (১৯৪৪) ছবিতে। ১৯৪৪-৭৩ পর্যন্ত ৪৮টি ছবিতে সংগীত পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন। উল্লেখযোগ্য যে সব পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন তাঁরা হলেন দেবকী বসু, মধু বসু, পশুপতি চট্টোপাধ্যায়, প্রফুল্ল রায়, সুধীর মুখার্জী, অজয় কর, বিজয় বসু, চিত্ত বসু, অজিত গাঙ্গুলী, পীযূষ গাঙ্গুলী প্রমুখ। দেবকী বসু পরিচালিত কবি (১৯৪৯) ছবিতে সংগীত পরিচালক হিসাবে তাঁর কাজ গুণী জনের প্রশংসা অর্জন করে। পরবর্তী কালে তাঁর সুরারোপিত অনেক ছবিই শুধুমাত্র সংগীতের কারণে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।

চলচ্চিত্রপঞ্জি—
- ১৯৪৪ : সন্ধি;
- ১৯৪৬ : শান্তি;
- ১৯৪৭ : ঝড়ের পরে, স্যার শঙ্করনাথ;
- ১৯৪৮ : উমার প্রেম;
- ১৯৪৯ : কবি, মহাদান;
- ১৯৫০ : মানদণ্ড, রাধারাণী;
- ১৯৫১: দুর্গেশনন্দিনী;
- ১৯৫২ : অনিবার্য;
- ১৯৫৩ : মায়াকানন, বৈমানিক;
- ১৯৫৪ : সতী, সতী বেহুলা, ষোড়শী;
- ১৯৫৫ : রাণী রাসমণি, কনে বৌ;
- ১৯৫৬ : ভাদুড়ীমশাই, অসমাপ্ত, মহাকবি গিরিশচন্দ্র;
- ১৯৫৭ : বড়দিদি, খেলা ভাঙার খেলা, ওগো শুনছো; ১৯৫৮ : শ্রীশ্রীমা, সাধক বামাক্ষ্যাপা, কংস;
- ১৯৫৯ : ঠাকুর হরিদাস, শশীবাবুর সংসার, আম্রপালী;
- ১৯৬০ : ত্রৈলঙ্গস্বামী, যাত্রী;
- ১৯৬১ : সাধক কমলাকান্ত;
- ১৯৬২ : ভগিনী নিবেদিতা, তরণীসেন বধ;
- ১৯৬৪ : বীরেশ্বর বিবেকানন্দ*;
- ১৯৬৫ : ভারতের সাধক;
- ১৯৬৭ : দেবীতীর্থ কামরূপ কামাখ্যা, এন্টনী ফিরিঙ্গী;
- ১৯৬৯ : শেষ থেকে শুরু;
- ১৯৭০ : রূপসী;
- ১৯৭১ : ত্রিনয়নী মা;
- ১৯৭২ : মা ও মাটি, শেষ পর্ব;
- ১৯৭৩ : আমি সিরাজের বেগম;
- ১৯৭৫ : কবি;
- ১৯৭৬: বিল্বমঙ্গল;
- ১৯৭৭ : ভোলা ময়রা।

বীরেশ্বর বিবেকানন্দ ছবিটিতে নেপথ্য সংগীত শিল্পী হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।
আরও দেখুনঃ