অনুষ্টুপ ছন্দ চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন পীযূষ বসু। এতে সংগীত পরিচালনা করেছেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন বসন্ত চৌধুরী, সুমিতা সান্যাল, অঞ্জনা ভৌমিক, মলিনা দেবী, লিলি চক্রবর্তী, সীতা মুখোপাধ্যায়, এন. বিশ্বনাথন প্রমুখ।
প্রণব ব্যারিস্টারি পড়তে যাওয়ার আগেই মায়ের অনুরোধে গ্রামের মেয়ে সৌদামিনীকে বিয়ে করে। কিন্তু দুজনের মধ্যে একটা মানসিক ব্যবধান থেকে গিয়েছিল। হঠাৎই প্রণবের সাথে তার পুরোনো বন্ধু বরদা সেনের যোগাযোগ হয়। বরদার বোন সুচরিতা ও প্রণব পরস্পর পরস্পরকে পছন্দ করলেও তাদের ভালোবাসা লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করে নি। পুত্র কন্যার বিয়ের পর প্রণবের একাকী জীবনের সঙ্গী হিসাবে সুচরিতা এগিয়ে আসে। প্রণবের ছেলেমেয়ের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই প্রণব সুচরিতাকে কাছে টেনে নেয়।
অনুষ্টুপ ছন্দ চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা—বি. কে. প্রোডাকসন্স।
- কাহিনি—সরোজকুমার রায়চৌধুরী।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা—পীযূষ বসু।
- সংগীত পরিচালনা—মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।
- চিত্রগ্রহণ—দিলীপরঞ্জন মুখোপাধ্যায়।
- শিল্প নির্দেশনা—কার্তিক বসু।
- শব্দগ্রহণ—বাণী দত্ত, সুজিত সরকার, শ্যামসুন্দর ঘোষ।
- সম্পাদনা—দুলাল দত্ত।
- নৃত্যপরিচালনা—অনাদিপ্রসাদ।
- গীতিকার—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অতুলপ্রসাদ সেন।
- রবীন্দ্রসংগীত পরিচালনা—সুচিত্রা মিত্র।
অনুষ্টুপ ছন্দ চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
বসন্ত চৌধুরী, সুমিতা সান্যাল, অঞ্জনা ভৌমিক, মলিনা দেবী, লিলি চক্রবর্তী, সীতা মুখোপাধ্যায়, এন. বিশ্বনাথন, বিপিন গুপ্ত, সতীন্দ্র ভট্টাচার্য, আশীষ মুখোপাধ্যায়, উপালী গুপ্তা, তমাল লাহিড়ী, শিবেন বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও অনেকে। নেপথ্য কণ্ঠ—সুমিত্রা সেন, মৃণাল চক্রবর্তী, কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়।

অনুষ্টুপ ছন্দ চলচ্চিত্রের কাহিনি—
প্রণব (বসন্ত) ব্যারিস্টারি পড়তে যাওয়ার আগেই মায়ের অনুরোধে গ্রামের মেয়ে সৌদামিনীকে (অঞ্জনা) বিয়ে করে। ব্যারিস্টারি পাস করে ফিরে আসার পর প্রণব সৌদামিনীর সাথে সুখের সংসার গড়ে তুললেও সৌদামিনীকে নিয়ে তার মধ্যে একটা অভাববোধ কাজ করত। দুজনের মধ্যে একটা মানসিক এবং বৌদ্ধিক ব্যবধান থেকে গিয়েছিল। হঠাৎই প্রণবের সাথে তার পুরোনো বন্ধু বরদা সেনের (বিশ্বনাথন) যোগাযোগ হয়।
বরদার বোন সুচরিতার (সুমিতা) সাথে পরিচিত হয়ে প্রণব মুগ্ধ হয়। দুজন দুজনের পরিশীলিত চিন্তার অংশীদার হলেও এবং পরস্পর পরস্পরকে পছন্দ করলেও তাদের অনুচ্চারিত ভালোবাসা কখনও লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করে নি। দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে সৌদামিনীর মৃত্যু হয়। মায়ের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও প্রণব দ্বিতীয় বিয়েতে রাজি হয় নি। অন্য দিকে সুচরিতাও বাবা-মার মনোনীত কোনো পাত্রকে স্বামী হিসাবে গ্রহণ করতে পারে নি। বার বার তাদের দেখা হলেও ভালোবাসা কোনো পূর্ণতা পায় নি। পুত্র কন্যার বিয়ের পর প্রণবের একাকী জীবনের সঙ্গী হিসাবে সুচরিতা এগিয়ে আসে। প্রণবের ছেলে বিমান এবং মেয়ে মাধুরীর আপত্তি অগ্রাহ্য করেই প্রণব সুচরিতাকে কাছে টেনে নেয়।
ছবিটি বাংলা ভাষায় নির্মিত বছরের সেরা ছবি হিসাবে ভারতের রাষ্ট্রপতির সম্মান ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট’ লাভ করে।
আরও দেখুনঃ