অভি ভট্টাচার্য হিন্দি ও বাংলা চলচ্চিত্রের একজন ভারতীয় অভিনেতা , যিনি ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বেশি পরিচিত।
অভি ভট্টাচার্য
জন্ম পূর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশ) রাজশাহীতে। গয়ার একটি স্কুল থেকে প্রবেশিকা এবং পাবনাএডওয়ার্ড কলেজ থেকে আই. এ. পাস করেন। রাজশাহী কলেজ থেকেই স্নাতক হন।১৯৪৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উপন্যাস অবলম্বনে নীতিন বোস পরিচালিত বোম্বে টকিজের নৌকাডুবি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরুর হয়।সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে প্রায় তিরিশটি বাংলা ছবিতে অভিনয়ের সাথে বহু হিন্দী ছবিতেও অভিনয় করেছেন।
অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র রমেশ (নৌকাডুবি, ১৯৪৭); রামনাথ (মায়ের ডাক, ১৯৪৮); সুরথ (নতুন পাঠশালা, ১৯৫২); ঈশ্বর (সুবর্ণরেখা, ১৯৬৫); মদ্যপ চরিত্রহীন পুলিস অফিসার বাদল (পাড়ি, ১৯৬৬) ইত্যাদি। নীতিন বসু ছাড়াও যে সব পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায় কার্তিক চট্টোপাধ্যায়, সত্যেন বসু, তপন সিংহ, ঋত্বিক ঘটক, বিকাশ রায়, নীরেন লাহিড়ী, পিনাকী মুখোপাধ্যায়, শক্তি সামন্ত প্রভৃতি।
কর্মজীবনের শেষের দিকে তিনি বহু পৌরাণিক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তিনি বিনোদ খান্না এবং যোগিতা বালি অভিনীত মেমসাব এবং বিশ্বজিৎ, সাধনা এবং ধর্মেন্দ্র অভিনীত ইশক পার জোর নেহি-তে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি তুলসী বিভা, বিষ্ণু পুরাণ, হরি দর্শন, এবং কিষাণ অর ভগবান এবং মহাভারতে কৃষ্ণের মতো অনেক ছবিতে ভগবান বিষ্ণুর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অভিনেত্রী প্রণতি ঘোষের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। পিনাকী মুখোপাধ্যায় পরিচালিত মধ্যরাতের তারা (১৯৬১) ছবিটি তাঁর প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছিল।

চলচ্চিত্রপঞ্জি—
- ১৯৪৭ : নৌকাডুবি;
- ১৯৪৮ : দেবদূত, মায়ের ডাক;
- ১৯৪৯ : বিষের ধোঁয়া;
- ১৯৫০ : শেষবেশ;
- ১৯৫১ : পরিত্রাণ, ভৈরব মন্ত্র;
- ১৯৫২ : নতুন পাঠশালা, মহাপ্রস্থানের পথে, চিতা বহ্নিমান, সহসা;
- ১৯৫৩ : ভোর হয়ে এলো;
- ১৯৫৪ : অমর প্রেম, অঙ্কুশ;
- ১৯৫৬ : সূর্যমুখী, সাধক রামপ্রসাদ;
- ১৯৫৭ : মধু মালতী;
- ১৯৬০ : শখের চোর;
- ১৯৬১ : মধ্যরাতের তারা;
- ১৯৬৫ : সুবর্ণরেখা;
- ১৯৬৬ : পাড়ি;
- ১৯৬৭ : বধূবরণ;
- ১৯৭৪ অমানুষ;
- ১৯৭৭ : আনন্দ আশ্রম, বেহুলা লখীন্দর;
- ১৯৭৮ : আরাধনা;
- ১৯৮১ : অনুসন্ধান;
- ১৯৮৫ : হরিশ্চন্দ্র শৈব্যা;
- ১৯৮৯ : সংসার;
- ১৯৯০ : স্বর্ণতৃষ্ণা।
আরও দেখুনঃ