আরোহী চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি অসীম পাল প্রোডাকসন্সের প্রযোজনা করা এই চলচ্চিত্রটির পরিচালনা তপন সিংহ। চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায়, দিলীপ রায়, জহর রায়, রবি ঘোষ।
অর্জুন মণ্ডল জাতে জেলে। অর্জুন লেখাপড়া শেখার সিদ্ধান্ত নেয়, ডাক্তার বাবুর ছেলে বলাই-এর কাছে অর্জুনের হাতেখড়ি হয়।ডাক্তারবাবুর আকস্মিক মৃত্যুতে সমস্ত ওলটপালট হয়ে যায়। অর্জুন নিজে দায়িত্ব নিয়ে নিজের সর্বস্ব দিয়ে বলাইকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিলেতে পাঠায়। অর্জুন সংসার জীবনে সব লড়াইতে হেরে গেলেও জীবনের অন্তিম লড়াইতে জয়ী হয়।
আরোহী চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা -অসীম পাল প্রোডাকসন্স।
- প্রযোজক — অসীম পাল।
- কাহিনি – বনফুল।
- চিত্রনাট্য, ও পরিচালনা—-তপন সিংহ।
- সংগীত পরিচালনা – হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
- চিত্রগ্রহণ – বিমল মুখোপাধ্যায়।
- শিল্প নির্দেশনা—সুনীতি মিত্র।
- সম্পাদনা— সুবোধ রায়।
- শব্দগ্রহণ-অতুল চট্টোপাধ্যায়, দেবেশ ঘোষ।
- গীতিকার – দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, মদন ফকির।
আরোহী চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায়, দিলীপ রায়, জহর রায়, রবি ঘোষ, দেবী নিয়োগী, রসরাজ চক্রবর্তী, শ্যাম লাহা, সুখেন দাস, খগেশ চক্রবর্তী, খগেন পাঠক, প্রহ্লাদ ব্রহ্মাচারী, শিল্পা দেবী, ছায়া দেবী, নূপুর ঘোস্বামী, অগুলি বিশ্বাস, বিপাশা গোস্বামী, দীপু দত্ত, অজন্তা কর, অজয় গঙ্গোপাধ্যায়, দোলনচাপা দাশগুপ্ত।

আরোহী চলচ্চিত্রের কাহিনি—
অর্জুন মণ্ডল (কালী) জাতে জেলে, মাছ ধরে হাটে বিক্রি করে সংসার চালায়। একদিন জমিদারের অত্যাচারের হাত থেকে ডাক্তারবাবু (বিকাশ) তাকে রক্ষা করেন। অর্জুন বুঝতে পারে যে শিক্ষিত ডাক্তার বাবুকে জমিদারও মান্য করে। অর্জুন লেখাপড়া শেখার সিদ্ধান্ত নেয়, ডাক্তার বাবুর ছেলে বলাই-এর কাছে অর্জুনের হাতেখড়ি হয়। কিছুটা লেখাপড়া শেখার পর অর্জুন ডাক্তার বাবুর হাসপাতালে এ্যাপ্রেনটিস ড্রেসার হিসাবে কাজ করা শুরু করে। ভালো মনের মানুষ হলেও অর্জুন ড্রেসারের পরীক্ষায় পাস করতে পারে না।
ডাক্তারবাবু অর্জুনকে কম্পাউন্ডার করার চেষ্টাও করেছিলেন, কিন্তু ডাক্তারবাবুর আকস্মিক মৃত্যুতে সমস্ত ওলটপালট হয়ে যায়। বলাই (দিলীপ) তখন কলকাতায় থেকে ডাক্তারি পড়ে, সে সিদ্ধান্ত নেয় পড়াশোনা ছেড়ে দেবে, কিন্তু অর্জুনের জেদ তাকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে বাধ্য করে। অর্জুন নিজে দায়িত্ব নিয়ে বলাই-এর বিয়ে দেয় এবং নিজের সর্বস্ব দিয়ে বলাইকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিলেতে পাঠায়। অর্জুন সংসার জীবনে সব লড়াইতে হেরে গেলেও বলাইকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিলেত পাঠাতে পেরে জীবনের অন্তিম লড়াইতে জয়ী হয়।
পুরস্কার –
১৯৬৪ সালে সেরা কাহিনির জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতির পুরস্কার, সেরা বাংলা ছবির জন্য রৌপ্য পদক এবং ১৯৬৫ সালে লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে মানবিক সম্পর্ক উপস্থাপনার জন্য পুরস্কার লাভ করে। ১৯৬৪ সালে লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটি প্রশংসিত হয়েছিল।
আরও দেখুনঃ