ইন্দুভূষণ মুখোপাধ্যায় এর জন্ম কলকাতায়। সাউথ সুবারবন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে শর্টহ্যান্ড এবং টাইপ শিক্ষা নেন। কিছুদিন এক আইনজীবীর অধীনে কাজ করলেও অভিনয়ের আকর্ষণে কাজে ইস্তফা দেন।
ইন্দুভূষণ মুখোপাধ্যায় । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান
অহীন্দ্র চৌধুরীর অন্তরঙ্গ বন্ধু ইন্দুভূষণের অভিনয়ে হাতেখড়ি যাত্রাভিনয়ের মধ্য দিয়ে। প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় তাজমহল ফিল্ম কোম্পানি প্রযোজিত এবং নরেশচন্দ্র মিত্র পরিচালিত মানভঞ্জন (নির্বাক, ১৯২৩) ছবিতে। সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে প্রায় সত্তরটি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। কৌতুক অভিনয়ে তার পারদর্শিতা ছিল।
অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র শ্রীশ (চিরকুমার সভা, ১৯৩২); কেবলরাম (দেবদাসী, ১৯৩৫), লোকেন (খাসদখল, ১৯৩৫), বিপুল (মুক্তি, ১৯৩৭); নটরাজ সামও (রজত জয়ন্তী, ১৯৩৯), ব্যারিস্টার লাহিড়ী (শোধবোধ, ১৯৪২); যাদব (গরমিল, ১৯৪২); রমাপতি (পূর্বরাগ, (১৯৪৭) ইত্যাদি।
নরেশচন্দ্র ছাড়াও প্রেমাঙ্কুর আতর্থী, নীতিন বসু, প্রমথেশ বড়ুয়া, অমর মল্লিক, দেবকী বসু, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, মধু বসু, নীরেন লাহিড়ী, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রভৃতি পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন। ভবানীপুর বান্ধব সমিতিতে যাত্রাভিনয় ছাড়াও পেশাদার রঙ্গমঞ্চে দীর্ঘদিন অভিনয় করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অভিনেতা শৈলেন মুখোপাধ্যায় তাঁর পুত্র।

চলচ্চিত্রপঞ্জি—
- ১৯২৩ মানভঞ্জন:
- ১৯৩২ : চিরকুমার সভা;
- ১৯৩৩ : শ্রীগৌরাঙ্গ, মীরাবাই,
- ১৯৩৪ মা,
- ১৯৩৫ দেবদাসী, রাতকানা, ভাগ্যচক্র, খাসদখল;
- ১৯৩৬ মহানিশা, গৃহদাহ, বিজয়া, মায়া,
- ১৯৩৭ : দিদি, মুক্তি,
- ১৯৩৮ : দেশের মাটি, অভিনয়:
- ১৯৩৯: অধিকার, বড়দিদি, রজত জয়ন্তী, জীবনমরণ:
- ১৯৪০: নর্তকী, মায়ের প্রাণ, নন্দিনী, উত্তরায়ণ, বাংলার মেয়ে,
- ১৯৪২ পাষাণ দেবতা, মহাকবি কালিদাস, শোধবোধ, অপরাধ, নারী, গরমিল, মীনাক্ষী, অশোক, বন্দী, পতিব্রতা,
- ১৯৪৩ অভিসার, স্বামীর ঘর, যোগাযোগ, সমাধান, দ্বন্দ্ব, নীলাঙ্গুরীয়, দেবর, পোষ্যপুত্র;
- ১৯৪৪: ছদ্মবেশী, মাটির ঘর, চাঁদের কলঙ্ক, সন্ধ্যা:
- ১৯৪৫ : অভিনয় নয়;
- ১৯৪৬: মৌচাকে ঢিল, পথের সাথী, এই তো জীবন, নিবেদিতা, বন্দেমাতরম্;
- ১৯৪৭ – রাত্রি, পূর্বরাগ, রামপ্রসাদ, অলকানন্দা, নতুন খবর, রামের সুমতি:
- ১৯৪৮: ঘুমিয়ে আছে গ্রাম, প্রিয়তমা, স্বর্ণসীতা, অরক্ষণীয়া, অঞ্জনগড়, রং বেরং:
- ১৯৪৯ মন্ত্রমুগ্ধ, প্রতিরোধ,
- ১৯৫০ এই তো সংসার।
আরও দেখুনঃ