একদিন প্রতিদিন চলচ্চিত্র

একদিন প্রতিদিন চলচ্চিত্রটি মৃণাল সেন পরিচালিত একটি ১৯৭৯ সালের বাংলা চলচ্চিত্র। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন মমতা শঙ্কর, গীতা সেন ও শ্রীলা মজুমদার প্রমুখ। এটি ১৯৮০ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল।

অর্থনৈতিকভাবে মধ্যবিত্ত পরিবারের কন্যা এক রাতে বাড়ি ফিরতে ব্যর্থ হয়। তার পরিবার উদ্বেগ প্রকাশ করে, অনুসন্ধান করে এবং এটি গভীর সঙ্কটে রূপান্তরিত হয়, কারণ তিনি পরিবারের একমাত্র রুটি-রুজি উপার্জনক্ষম। অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য ছবিটি ব্যপক প্রভাব বিস্তারে সক্ষম।

 

একদিন প্রতিদিন চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

একদিন প্রতিদিন চলচ্চিত্র

  • প্রযোজনা – মৃণাল সেন প্রোডাকসন্স।
  • কাহিনি – অমলেন্দু চক্রবর্তী।
  • চিত্রনাট্য ও পরিচালনা — মৃণাল সেন।
  • চিত্রগ্রহণ – কে কে মহাজন।
  • শিল্প নির্দেশনা – সুরেশ চন্দ।
  • সংগীত পরিচালনা — বি ভি করস্থ।
  • সম্পাদনা — গঙ্গাধর নস্কর।

একদিন প্রতিদিন চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —

সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, গীতা সেন, মমতাশঙ্কর, শ্রীলা মজুমদার, তপন দাস, অরুণ মুখোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, উমানাথ ভট্টাচার্য, গৌতম চক্রবর্তী, টুপুর ঘোষ, নলিনী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গুপ্ত কবিরাজ, প্রমোদ গঙ্গোপাধ্যায়, শেফালী বন্দ্যোপাধ্যায়, রাধারাণী দেবী, উমা দে, অমল সরকার, রাজা সেন, বিজয় সাহা, বকুল ঘোষ।

 

Google News একদিন প্রতিদিন চলচ্চিত্র
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

একদিন প্রতিদিন চলচ্চিত্রের কাহিনি—

কলকাতা শহরে নবীন মল্লিক লেনে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন হৃষিকেশ সেনগুপ্ত (সত্য)। তাঁর পরিবারে আছে স্ত্রী (গীতা), বড় মেয়ে চিনু (মমতা), ছোট মেয়ে মিনু (শ্রীলা), ছেলে তপু (তপন), সবাইকে নিয়ে মোট সাতজন। হৃষিকেশ বাবু রিটায়ার করার পর সংসারের দায়িত্ব চিনুর উপর পড়েছে, চিনু একটি অফিসে চাকরি করে।

একদিন চিনু নির্ধারিত সময়ে বাড়ি ফিরতে পারে না, বাড়ির সকলে উৎকণ্ঠায় থাকে। ক্রমশ রাত বাড়ে, চিনু তখনও ফেরে না, রাস্তায় কোনো গণ্ডগোল? দুর্ঘটনা? বিভিন্ন ধরনের চিন্তা। মিনু পাড়ার ডাক্তারখানা থেকে দিদির অফিসে ফোন করে, রাত নটায় সেই ফোন কেউ ধরে না। তপু থানায় এবং হাসপাতালের মর্গে খোঁজ নেনা, ক্রমশ সেই ভাড়াটে বাড়ির সব ভাড়াটে এমনকী বাড়িওয়ালাও জেনে যায় চিনু আজ বাড়ি ফেরে নি।

 

google news logo একদিন প্রতিদিন চলচ্চিত্র

 

বিভিন্ন লোকের নানারকম মন্তবো বাড়ির লোক দিশাহারা, লোকনিন্দার ভয়ে বাড়ির লোকেরা শঙ্কিত। রাত তিনটেতেও চিনুর কোনো খবর পাওয়া যায় না, বাড়ির প্রতিটি মানুষ একে অপরকে অভিযুক্ত করে।

ঠিক সেই সময় একটি ট্যাক্সি করে চিনু বাড়ি ফেরে, দেরি হওয়ার কারণ অজ্ঞাত, পরিবারের লোকেদের সংকট আরও বাড়ে, প্রতিবেশীদের কি কৈফিয়ত দেওয়া হবে। পুরস্কার ১৯৭৯ সালে বাংলা ভাষায় নির্মিত শ্রেষ্ঠ ছবি হিসাবে ভারতের রাষ্ট্রপতির সম্মান সহ মৃণাল সেন সেরা পরিচালক এবং গঙ্গাধর নস্কর সেরা সম্পাদক হিসাবে পুরস্কৃত হন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment