এখানে পিঞ্জর চলচ্চিত্রটি একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন যাত্রিক। এই চলচ্চিত্রটি বিখ্যাত লেখক প্রফুল্ল রায় এর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৭১ সালে কলামন্দির আর্টস মুভিজ ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন ভূপেন হাজারিকা।এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, অপর্ণা সেন, দিলীপ মুখার্জী, গঙ্গাপদ বসু।
এখানে পিঞ্জর চলচ্চিত্র
- কাহিনি-প্রযুগ্ম রায়।
- চিত্রনাট্য – প্রশান্ত দেব।
- পরিচালনা — যাত্রিক।
- সংগীত পরিচালনা — ভূপেন হাজারিকা।
- চিত্রগ্রহণ – অনিল গুপ্ত, জ্যোতি লাহা।
- শিল্প নির্দেশনা— সুবোধ দাস ।
- শব্দগ্রহণ – অনিল দাশগুপ্ত, সৌমেন চট্টোপাধ্যায়, সত্যেন চট্টোপাধ্যায় ।
- সম্পাদনা—সন্তোষ গঙ্গোপাধ্যায়।
- গীতিকার — অতুলপ্রসাদ সেন, শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিনয়-
উত্তম কুমার, অপর্ণা সেন, দিলীপ মুখোপাধ্যায়, গঙ্গাপন বসু, তরুণকুমার, জহর রায়, শী, অপর্ণা দেবী, দোলনচাপা, কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়, জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়, রত্না ঘোষ, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলোৎপল দে, অরুণ চৌধুরী, দিলীপ রায়চৌধুরী, অনাদি বন্দ্যোপাধ্যায়, পারিজাত বসু, জ্যোৎস্না বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলচ্চিত্রটি অমল বসুকে নিয়ে তৈরি হয় যার জীবন অসামাজিক নবেন্দু চ্যাটার্জীর সঙ্গে দেখা করার পর বদলে যায়। অমল বুঝতে পারে যে নবেন্দু পরিস্থিতির শিকার এবং তিনি কঠোর শাস্তির যোগ্য নন। তিনি তার অফিসার বন্ধুকে, নবেন্দুকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেন। ফলস্বরূপ, নবেন্দুর শাস্তি হ্রাস করা হয়।
অমল বুঝতে পারে যে নবেন্দু পরিস্থিতির শিকার এবং তিনি কঠোর শাস্তির যোগ্য নন। তিনি তার অফিসার বন্ধুকে, নবেন্দুকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেন। ফলস্বরূপ, নবেন্দুর শাস্তি হ্রাস করা হয়। জেল থেকে মুক্তির পর নবেন্দু অমলকে ধন্যবাদ জানাতে যান।
সে তার গল্প বলে এবং কেন তাকে অপরাধের জীবন বেছে নিতে হয়েছিল। তার পরিবারকে সাহায্য করার চাপে নবেন্দু আবার অপরাধ জগতে ঘুরে বেড়ায়। নবেন্দুকে পুলিশ গুলি করে এবং অমলকে নবেন্দুর পরিবারকে জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নবেন্দুর বোন নীলা চোরাচালানের সাথে জড়িত। নীলার কণ্ঠের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে অমল বলে যে সে তাকে গায়িকা হতে সাহায্য করবে।অমলের অনুরোধ মনে রেখে, নীলা অপরাধীর কাছে যায় চোরাচালানের চাকরি ছেড়ে দিতে।চোরাচালানের দায়ে নীলার তিন মাসের কারাদণ্ড হয়। ছবিটি শেষ হয় অমল কারাগারে নীলাকে বলে যে সে সবসময় তার পাশে থাকবে।

নেপথ্য সংগীত —
প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, মাধবী চট্টোপাধ্যায়, ভূপেন হাজারিকা।
কাহিনি—
নব্যেন্দু চ্যাটার্জীর (দিলীপ) সাথে সাহিত্যিক অমল বসুর (উত্তমকুমার) পরিচয় হয়েছিল একটি অদ্ভূত পরিস্থিতিতে। নব্যেন্দু তখন থানার লকআপে বন্দী এবং অমলের বন্ধু ছিল ঐ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার। অমল গিয়েছিল বন্ধুর সাথে দেখা করতে। নব্যেন্দু ওয়াগান ব্রেকার হলেও অমল তাকে দেখে বুঝতে পারে আর্থিক পরিস্থিতির চাপেই ভদ্র বাড়ির সন্তান হয়েও এই কাজে নামতে বাধ্য হয়েছে।
অমলের সহানুভূতি ও আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও সে নব্যেন্দুর জন্য কোনো চাকরি জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়। নব্যেন্দুর বীরপুরের বাড়িতে পঙ্গু বাবা, মা, দুই বোন এবং এক ভাই। বাড়ির বড় ছেলে নব্যেন্দুই পরিবারের ভরসা। বাধ্য হয়েই নব্যেন্দু অমলের আপত্তি সত্ত্বেও অপরাধ জগতে ফিরে যায় এবং কিছুদিনের মধ্যেই পুলিসের গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
নব্যেন্দুর মৃত্যুর জন্য সমাজব্যবস্থা দায়ী হলেও অমল নিজেকেও কিছুটা দায়ী মনে করে এবং নব্যেন্দুর বীরপুরের বাড়িতে খবর দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেয়।
বীরপুর যাওয়ার পথেই সে ট্রেনে নব্যেন্দুর বোন নীলার (অপর্ণা) সাক্ষাৎ পায় এবং বুঝতে পারে নীলাও সাংসারিক অবস্থার চাপে চোরাকারবারিদের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছে। নব্যেন্দুর মা, বাবার আন্তরিক ব্যবহারে মুগ্ধ অমল ক্রমশ ঐ পরিবারের ভালো-মন্দের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে।
মূলত তার চেষ্টাতেই অপরাধ চক্রের পাণ্ডারা (জ্ঞানেশ, গঙ্গাপদ) ধরা পড়ে এবং নীলার স্বল্প মেয়াদের জেল হয়। অমল নীলাকে জানায় নব্যেন্দুর বন্ধু হিসাবে সে তাদের সংসারের দায়িত্ব গ্রহণ করছে এবং সে নীলার জন্যও অপেক্ষা করবে, দুজনের ভবিষ্যৎ মিলনের ইঙ্গিতে ছবি শেষ হয়।
আরও দেখুনঃ