কঙ্কাবতী দেবী

কঙ্কাবতী দেবী একজন গায়িকা এবং অভিনেত্রী ছিলেন। কঙ্কাবতী দেবীর জন্ম হয় বিহারের মজঃফরপুরে, প্রথাগত শিক্ষা সেখানেই শুরু হয়। পরবর্তী কালে কলকাতায় চলে আসেন এবং বেথুন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে বেথুন কলেজে ভর্তি হন। চক্রান্তের কারণে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হলেও প্রাইভেটে পরীক্ষা দিয়ে সাম্মানিক সহ স্নাতক হন।

কঙ্কাবতী দেবী

কঙ্কাবতী দেবী । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

বেথুন কলেজে বি এ পড়বার সময় তিনি রবীন্দ্রনাথের সংস্পর্শে আসেন এবং জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তার সাথে ‘গৃহপ্রবেশ’ নাটকের মাসির ভূমিকায় অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। পরে এম. এ. পড়ার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও শিক্ষা অসম্পূর্ণ রেখেই নাট্য অভিনয়ের সাথে যুক্ত হন। শিশিরকুমার ভাদুড়ীর নাট্যদলে যোগ দিয়ে বহু উল্লেখযোগ্য নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন।

 

কঙ্কাবতী দেবী । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

প্রথম চলচ্চিত্রাভিনয় নির্বাক যুগে ইস্টার্ন ফিল্ম সিন্ডিকেট প্রযোজিত এবং শিশিরকুমার পরিচালিত বিচারক (১৯২৯) ছবিতে। এই ছবিতে তিনি ক্ষীরোদার ভূমিকায় অভিনয় করেন।

শিশিরকুমার ভাদুড়ীর সাথে ‘দিগ্বিজয়ী’ নাটকে ভারত নারীর ভূমিকায় অভিনয় থেকে তার পেশাদারী অভিনয় জীবনের শুরু হয়। এরপর ‘সীতা’, ‘যোগাযোগ’, ‘পল্লীসমাজ’, ‘টকী অফ টকীজ’, ‘চন্দ্রগুপ্ত’ প্রভৃতি নাটকে শিশিরকুমারের সহঅভিনেত্রীরূপে অভিনয়জগতে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দে শিশিরকুমারের দলের সাথে আমেরিকা যান। শিশিরকুমারের পরিচালিত কয়েকটি চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেন।

সবাক যুগে প্রথম চিত্রাভিনয় নিউ থিয়েটার্স প্রযোজিত পল্লী সমাজ (১৯৩২) ছবিতে। সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে মাত্র পাঁচটি ছবিতে অভিনয় করেন যার সবকটিরই পরিচালক ছিলেন শিশিরকুমার। সীতা (১৯৩৩) ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে এবং দস্তুরমত টকী (১৯৩৭) ছবিতে স্বাগতার ভূমিকায় তাঁর অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে। দস্তুরমত টকী ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি নেপথ্য সংগীতও পরিবেশন করেন। ১৯৩০ সালে শিশিরকুমারের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রখ্যাত অভিনেত্রী চন্দ্রাবতী দেবী তার বোন।

 

Google News কঙ্কাবতী দেবী
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

চলচ্চিত্রপঞ্জি —

  • ১৯২৯ বিচারক:
  • ১৯৩২ পল্লী সমাজ;
  • ১৯৩৩ সীতা,
  • ১৯৩৭ দস্তুরমত টকী;
  • ১৯৩৯ চাণক্য।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment