কোনি চলচ্চিত্র

কোনি চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- ১৯৮৬ সালে সরোজ দে পরিচালিত এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত একটি জাতীয় পুরস্কার (ভারত) প্রাপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র।চলচ্চিত্রটি মতি নন্দীর একই নামের বাংলা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত।

“কোনি” একজন প্রশিক্ষক ও তার প্রশিক্ষার্থী কোনির একটি প্রেরণাদায়ক কাহিনী যারা সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছায়। ক্ষিদদা (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) একজন সাঁতারের প্রশিক্ষক যিনি সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের সাঁতার শেখান। তিনি কলকাতার একটি বস্তি এলাকা থেকে কোনি’কে নিয়ে এসে তাকে ‘ন্যাশনাল সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে’ যোগ দিতে ‘বেঙ্গল সুইমিং টিম’ এ ভর্তি করান এবং তাকে পারদর্শী করে তোলেন। তবুও, ক্রীড়ায় রাজনীতি, দারিদ্র্য ও সামাজিক কলঙ্ক তাদের পথের কাঁটা হয়ে কাঁদে।

 

কোনি চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

কোনি চলচ্চিত্র

  • প্রযোজক — তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
  • কাহিনি – মতি নন্দী।
  • চিত্রনাট্য — সরোজ দে, জয়ন্ত ভট্টাচার্য।
  • পরিচালনা — সরোজ দে।
  • চিত্রগ্রহণ — কমল নায়েক।
  • সংগীত পরিচালনা – চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়।
  • শব্দগ্রহণ – দুর্গাদাস মিত্র।
  • শিল্প নির্দেশনা – সুভাষ সিংহরায়।
  • সম্পাদনা— রমেশ যোশী।

কোনি চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়, মৌসুমী রায়, শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়, সুব্রত সেন, স্বরূপ দত্ত।

 

কোনি চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

কোনি চলচ্চিত্রের কাহিনি—

ক্ষিতীশ সিংহ (সৌমিত্র) কলকাতায় একটা নামকরা সাঁতার ক্লাবের প্রশিক্ষক। একদিন গঙ্গার ঘাটে তিনি কোনি (শ্রীপর্ণা) নামে একটি মেয়ের সাক্ষাৎ পান, তাঁর মনে হয় উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে মেয়েটি সফল সাঁতারু হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। প্রাথমিক ভাবে কোনি ক্ষিতীশ বাবুর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

তিনি কোনির বাড়িতে যান, তাদের আর্থিক দুরবস্থায় বিচলিত হন এবং কোনির দাদার সাথে কথা বলেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই তিনি কোনির দায়িত্ব নিতে চান। কোনির দাদা প্রশিক্ষক হিসাবে ক্ষিতীশ সিংহের সুনামের কথা জানত, সে তখনি কোনির প্রশিক্ষণের বিষয়ে তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়।

 

কোনি চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

অন্যদিকে ক্লাবে তার একটি বিরুদ্ধ গোষ্ঠী তাকে ক্লাব থেকে বহিষ্কার করে, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের কাছে প্রস্তাব দেন তারা যদি তাদের ক্লাবে কোনিকে বিনামূল্যে সদস্যা করে নেয় তাহলে ঐ ক্লাবের সাথে তিনি সব রকম সহযোগিতা করবেন এবং কোনির প্রশিক্ষণের সমস্ত দায়িত্ব নেবেন।

কোনির প্রশিক্ষণ শুরু হয়, সে বুঝতে পারে তার বিষয়ে প্রশিক্ষক কতটা যত্নবান, সে সর্বশক্তি দিয়ে তাঁর এই চেষ্টার মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি নিজে এমনকী তাঁর স্ত্রীও কোনিকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কোনি নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়। সর্বভারতীয় সাঁতার কর্তৃপক্ষ এমনকী সংবাদ মাধ্যমের লোকেরাও কোনির কৃতিত্বকে সম্মান জানায়। ভারতীয় সাঁতারে একটি নতুন নক্ষত্রের জন্ম হয়। ছবিটি সমালোচকদের সাথে সাথে দর্শক আনুকূল্যও পেয়েছিল, শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের দর্শক এই ছবির সমাদর করেছে।

 

Google News কোনি চলচ্চিত্র
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

পুরস্কার—

১৯৮৪ সালে ছবিটি শ্রেষ্ঠ ছবির জাতীয় মর্যাদা ‘স্বর্ণকমল’ লাভ করে। প্রেরণামূলক ছবি হিসাবেও এই ছবি প্রশংসা পেয়েছিল।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment