গুরুদক্ষিণা চলচ্চিত্র ১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র। পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত চলচ্চিত্র এটি। এই চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় আছেন রঞ্জিত মল্লিক, তাপস পাল, শতাব্দী রায়, কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, শকুন্তলা বড়ুয়া, ভবেশ কুন্ডু প্রমুখ। এই চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেন বাপ্পী লাহিড়ী।
গুরুদক্ষিণা চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা ভবেশ কুণ্ডু।
- কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা — অঞ্জন চৌধুরী।
- সংগীত পরিচালনা — বাপী লাহিড়ী।
- চিত্রগ্রহণ – শক্তি বন্দ্যোপাধ্যায়।
- শিল্প নির্দেশনা – কার্তিক বসু।
- শব্দগ্রহণ— অনুপ মুখোপাধ্যায়, জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়।
- গীতিকার — ভবেশ কুণ্ডু।
- সম্পাদনা- স্বপন গুহ।
অভিনয়:
ভবেশ কুণ্ডু, কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, শকুন্তলা বড়ুয়া, তাপস পাল, রঞ্জিত মল্লিক, শতাব্দী রায়, সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ঈশানী বন্দ্যোপাধ্যায়, মাষ্টার রিন্টু।
নেপথ্য সংগীত:
কিশোরকুমার, আশা ভোঁসলে, বাপী লাহিড়ী, ভূপেন্দ্র, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাহিনি:
সম্পন্ন ব্যবসায়ী রুদ্রকান্ত রায় (ভবেশ) এলাকায় প্রভাবশালী মানুষ হিসাবেই পরিচিত। পুত্র রজত (রঞ্জিত) এবং কন্যা রূপাকে (শতাব্দী) নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। রূপা ছোটবেলা থেকেই হরমাষ্টারের (কালী) কাছে গান শেখে। গরিব বাড়ির ছেলে জয়ন্তও (তাপস) হরর কাছে গান শিখত। জয়ন্তর অধ্যবসায় এবং সংগীত প্রতিভায় সকলেই মুগ্ধ। রূপা ও জয়ন্ত পরস্পরকে ভালোবাসে।
পুত্রের অনিচ্ছা সত্ত্বেও রুদ্রকান্ত বন্ধুপুত্র শেখরকে (সৌমিত্র) নিজের বাড়িতে স্থান দেন এবং কন্যা রূপার সাথে তার বিয়ের ব্যবস্থা করেন। দাম্ভিক এবং খল প্রকৃতির মানুষ শেখর রূপা ও জয়ন্তর সম্পর্কের কথা জানতে পেরে বিভিন্ন ভাবে জয়ন্তকে হেনস্থা করার চেষ্টা করে। আর্থিক কারণে রুদ্রকান্তের দ্বারস্থ হরমাষ্টার তার আদেশেই পুত্রসম ছাত্র জয়ন্তকে সাময়িক ভাবে সংগীত শিক্ষা বন্ধ রাখতে আদেশ করেন। জয়ন্তও গুরুর কথার মর্যাদা দিতে গান গাওয়া বন্ধ রাখে।
শেষ পর্যন্ত রজতের চেষ্টায় এবং উদ্যোগে শেখরের স্বরূপ উদ্ঘাটিত হয় এবং জয়ন্ত ও রূপার ভবিষ্যৎ মিলনের ইঙ্গিতে ছবির সমাপ্তি ঘটে। ছবিটি তৎকালীন সময়ে বক্স অফিসে সাফল্য পায় এবং ছবির সংগীতাংশও অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
আরও দেখুনঃ